|
|
|
|
|
চীনা চিকিত্সা তত্বের ক,খ
|
|
চীনা চিকিত্সা পদ্ধতির মূল তত্ত্ব জীবন চক্রের প্রকৃতি এবং রোগের পরিবর্তন ব্যাখ্যা করে। তার পাঁচটি তত্ত্ব আছেঃ “ইন” আর “ইয়াং” (চীনা চিকিত্সা বিদ্যানুসারে “ইন” আর “ইয়াং” হচ্ছে মানবদেহের দু’টি প্রধান চালিকাশক্তি)।
পাঁচটি মৌল উপাদান, দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং চ্যানেল অর্থাত্ নালী-প্রণালী। এই তত্ত্ব ডায়্যালেকটিকস্, রোগের কারণ বিশ্লেষণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সার উপায় এবং শরীরকে সুস্থ রাখার উপায়ের ওপর আলোকপাত করে।
ইন আর ইয়াংয়ের ধারণাটি একটি প্রাচীন দর্শন থেকে উত্সরিত। লক্ষণ বিশ্লেষণের পর প্রাচীনকালে লোকেরা সমস্ত পরস্পর-বিরোধী ধারণাগুলোকে ইন আর ইয়াং শ্রেণীতে অন্তর্ভূক্ত করতেন। নানান জিনিষের পরিবর্তন ব্যাখ্যা করতে তারা এই তত্ত্ব ব্যবহার করতেন। চীনা চিকিত্সাবিদ্যায় ইন আর ইয়াং দিয়ে নানান জিনিসের জটিল সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা হতো। যেমন শরীরের বিভিন্ন অংশের মধ্যকার সম্পর্ক এবং জীব জগত্ আর প্রকৃতি ও সমাজের মধ্যকার সম্পর্ক ইত্যাদি।
মনে করা হতো, ইন আর ইয়াংয়ের আপেক্ষিক ভারসাম্য হচ্ছে মানবদেহের স্বাভাবিক কর্মকান্ড বজায় রাখার ভিত্তি। এই ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে রোগের সৃষ্টি হয় এবং মানুষের স্বাস্থ্য প্রভাবিত হয়।
কারো শক্তিমত্তা নির্ধারণের তত্ত্ব জোতির্বিদ্যা ও আবহবিদ্যাগত অবস্থা এবং জলবায়ূ কীভাবে শরীরকে প্রভাবিত করে তার ওপর আলোকপাত করে। এ তত্ত্বের দুটো অংশ রয়েছেঃ পাঁচ শক্তিমতা এবং ছয় জলবায়ূগত শর্ত। পাঁচটি শক্তি হচ্ছে ধাতু, কাঠ, পানি, আগুন এবং মাটি , যেগুলো বিভিন্ন ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
ঋতুগুলো হচ্ছে বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরত্, হেমন্ত ও শীত। মানুষ তখন বাতাস, ঠাণ্ডা , গরম, কচিত্ব, শুষ্কতা আর আগুনকে জলবায়ূর ছ’টি মূল উপাদান বলে মনে করতেন। এই তত্ত্ব জলবায়ুর পরিবর্তন এবং জ্যোতির্বিদ্যার ধ্রুবকের দ্বারা রোগের প্রাদুর্ভাবের পূর্বাভাষ দেবার জন্যে ব্যবহৃত হতো।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|