সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ জোরদারের সঙ্গে সঙ্গে চীনের অধিক থেকে অধিক নারী সংস্থা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রকল্প এবং প্রগতিশীল আন্তর্জাতিক তত্ত্ব ব্যবহার করে নারীদের আসল সমস্যার সমাধান করে । বিগত পাঁচ বছরে নিখিল চীন জাতীয় নারী ফেডারেশন বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে নানা পদ্ধতিতে,নানা ক্ষেত্রে ও নানা আকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রকল্প চালিয়েছে । নারীদের স্বাস্থ্য উন্নয়ন,নিরক্ষরতা দূরীকরণ আর ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে চীনা নারী ও শিশুদের জীবিত থাকা ও উন্নয়ন-পরিবেশ উন্নত করার জন্যে ভাল ভূমিকা পালন করেছে । উচ্চ কাযকরীতা ও বিশ্বস্ততার কারণে চীনের জাতীয় নারী ফেডারেশন ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রশংসা লাভ করেছে এবং সেরা অংশীদার বলে আখ্যায়িত হয়েছে ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের নারী সংস্থা আন্তর্জাতিক প্রাসঙ্গিক নারী সংস্থার সঙ্গে বৈচিত্রময় ও ফলপ্রসূ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রকল্প চালিয়েছে । যেমনঃ
“চীন-কানাডা নারী আইন প্রকল্প”(১৯৯৮) । এটা কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন পরিষদের অর্থবিনিয়োগে নিখিল চীন জাতীয় নারী ফেডারেশন ও কানাডা আবাসিক এলাকা ইনস্টিটিউটেরমিলিতভাবে কাযকরী করার এক সহযোগিতা প্রকল্প । প্রকল্পটির লক্ষ্য হল , মূল স্তরের নারীদের আইন-সচেতনতা ও আইন ব্যবহারের দক্ষতা, আইন কর্মীদের সামাজিক লিঙ্গবোধ ও নারী ফেডারেশন সংস্থার আইন প্রচার ও শিক্ষাদানের ক্ষমতা উন্নত করার মাধ্যমে আরও ভালভাবে নারীদের অধিকার ও স্বার্থ সম্পর্কিত আইনবিধি বাস্তবায়িত করে নারীদের অধিকার রক্ষা করা । প্রকল্পভূক্ত নারীদের মধ্যে অনেকে প্রকল্পটির মাধ্যমে আইন ব্যবহারকরে কাযকরভাবে নিজেরঅধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করতে শিখেছেন ।
“মেকোং নদীর উপ-অঞ্চলের নারী-শিশু পাচার দমন ও প্রতিরোধ প্রকল্প”(২০০২)। এটি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সাহায্যে চীনের ইয়ুন্নান প্রদেশে নিখিল চীন জাতীয় নারী ফেডারেশনের চালানো এক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রকল্প । নারীদের সাংস্কৃতিক গুণমান উন্নত,আইনগত সচেতনতা গড়ে তোলা ওপ্রতিরক্ষার ক্ষমতা জোরদার করা এবং ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার মাধ্যমে নারী পাচার-প্রতিরোধের জ্ঞান-বুদ্ধি আয়ত্তে আনা এবং তাদেরআত্মবিকাশের জন্যে শর্ত সৃষ্টি করা প্রকল্পটির প্রধান লক্ষ্য । যাতে অতীতকালে বাইরে গিয়ে যে আয় পাওয়া যেতো এখন বাড়িতেও তা পাওয়া যায় এবং প্রতারণা ও পাচারের ঝুঁকি অনেক কমে যায় ।
|