সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা নারীদের স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা লক্ষ্যনীয়ভাবে উন্নত হয়েছে । ২০০২ সাল নাগাদ চীনের গর্ভবতীদের স্বাস্থ্যসেবার অন্তর্ভূক্তির হার৮৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে । প্রসূতিদের হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেয়ার হার ৭৮.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে , পাঁচ বছর আগের চেয়ে এটা ১২ শতাংশ বেশী । গর্ভবতী ও প্রসূতীদের মৃত্যু হার ১৯৯৭ সালের ০.০৬৩৬ শতাংশ থেকে ২০০২ সালের ০.০৫০২ শতাংশে নেমেছে । নারীদের গড়পড়তা আয়ু ৭৩.৬ বছর , পুরুষের চেয়ে তা ৩.৮ বছর বেশী ।
চীনে প্রাথমিকভাবে গ্রামীন পরিসেবা নেট গড়ে উঠেছে । ২০০০ সাল থেকে ২০০১ সাল পযন্ত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় সরকার পশ্চিম চীনের ১২টি প্রদেশ,স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও কেন্দ্র শাসিত মহা নগরে “গর্ভবতী ও প্রসূতীদের মৃত্যু হার কমিয়ে দেয়া এবং নবজাত শিশুদের ধনুষ্টংকার নির্মূলীকরণ প্রকল্প”চালিয়েছে,গরিব অঞ্চলের থানা ও ইউনিয়ন পযায়ের হাসপাতালের ধাত্রীবিদ্যা বিভাগের গঠন জোরদার করেছে এবং নিম্নস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে ।যার ফলে পশ্চিমাঞ্চলের ১২টি প্রদেশ,স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও কেন্দ্রশাসিত মহা নগরের গর্ভবতী ও প্রসূতীদের মৃত্যুহার দুবছরের মধ্যে ০.০৩৭২৮ শতাংশ কমেছে ।
২০০১ সালের এপ্রিল মাসে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ “গণ প্রজাতন্ত্রী চীনের মা ও শিশু স্বাস্থ্য রক্ষা আইন কাযকরী করার পদ্ধতি” প্রকাশ করেছে । এতে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা সম্পর্কে চিকিত্সা ও স্বাস্থ্য রক্ষা সংস্থাকে যে পরিসেবা সরবরাহ করতে হবে ,সারা দেশে সাধারণ নারী রোগ পরীক্ষা ও চিকিত্সা করার কাজ চালাতে হবে এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের পরিসেবার উন্নত করতে হবে তা স্পষ্টভাবে নির্ধারিত হয়েছে । ২০০২ সাল নাগাদ গোটা চীনে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য রক্ষা সংস্থার মোট সংখ্যা ছিল ৩০৬৭ এবং এ সংস্থাগুলোতে ৮০ হাজার বিছানা আছে ।
চীন সরকার এইডস রোগ প্রতিরোধমূলক কাজকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় বলে “এইডস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে চীনের অন্তবর্তীকালীন ও দীর্ঘকালীন কাযক্রম(১৯৯৮-২০১০)”এবং “এইডস রোধ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে চীনের কাযক্রম পরিকল্পনা (২০০১-২০০৫)”প্রকাশিত করেছে । চীনের বিভিন্ন স্তরের সরকার বিশেষভাবে নারী ও যুব-সম্প্রদায়ের মধ্যে এইডস রোগ ও যৌনব্যাধি প্রতিরোধের সাধারণ জ্ঞান প্রচারের কাজকে গুরুত্ব দেয়,নারী ও শিশুকে নিয়ন্ত্রণকাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গর্ভবতী মা থেকে শিশুর মধ্যে সংক্রমন রোধ করে ।
|