তিব্বতী অপেরা

        তিব্বতী ভাষায় তিব্বতী অপেরাকে আচিরাম বলা হয় ।এর অর্থ হলো দেবী দিদি,সংক্ষেপে রাম বলা হয় । তিব্বতী অপেরার ইতিহাস সুদীর্ঘকালের । অপেরাটি পরিবেশন জাতীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ।“রাজকুমারী ওয়েনছেন” “রাজকুমার নোসান” প্রভৃতি ৮টি অপেরা সবোচ্চ উত্কৃষ্ট অপেরায় পরিনত হয়েছে ।সঙ্গীতের সুর,মুখোশ ও পোশাক থেকে তিব্বতী অপেরার সুগভীর সাংস্কৃতিক-ভিত্তির প্রমান পাওয়া যায় ।  
  তিব্বতী অপেরা এমন একটি বহুমুখী শিল্প যা লোকসঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে কাহিনী অভিব্যক্ত করে ।১৫ শতাব্দী থেকে গ্যচু ধর্মের সন্ন্যাসি থাংতুঙচিয়েবু বৌদ্ধ ধর্মের গল্প নিয়ে সংগীত-নৃত্য নাটক রচনা করতেন এবং নিজের পরিচালনায় বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নাটক পরিবেশন করতেন । এটাই তিব্বতী অপেরার প্রাথমিক আকার । বহু লোকশিল্পীদের প্রক্রিয়াকরণ,পরিপূর্ণকরণ ও উন্নতিকরণের ফলে তিব্বতী অপেরা আর প্রথম দিকের তিব্বতি অপেরা নেই,এর বিরাট পরিবর্তন হয়েছে । আজকের তিব্বতী অপেরার আছে নাটক,নৃত্য পরিবেশন,অভিনেতা অনুযায়ী তৈরী সুর,ভিন্ন চরিত্রের ভিন্ন পোশাক ও মুখোশ ,তাছাড়া সঙ্গে থাকা বাদ্যযন্ত্র ওগায়ক-গায়িকা আছে । এটি একটি বহুজাতীয় শিল্প । 

       তিব্বতে বেসরকারী তিব্বতী অপেরা দল অনেক । গ্রামাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠে বা তাবুতে যেখানে সেখানে তিব্বতী অপেরা দলের পরিবেশন দেখা যায়। আশেপাশের দশ-বারো কিলোমিটার দুরের জনসাধারণ এই অপেরা দেখতে আসেন।