তিব্বতী জনসাধারণের ধর্মীয় রীতিনীতি

          তিব্বতী জনগণ পরিপূর্ণভাবে ধর্ম বিশ্বাসের স্বাধীনতা উপভোগ করেন । তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অধিকাংশ তিব্বতী জাতি এবং মেনপা , লোপা ,নাসিজাতি তিব্বতী বৌদ্ধ ধর্ম বিশ্বাস করেন । তাছাড়া ইসলাম ধর্ম আর খ্রীষ্টান ধর্ম বিশ্বাসী লোকও কম নয় । এখন তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে তিব্বতী বৌদ্ধ-ধর্ম-স্থান ১৭০০টি, সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীর সংখ্যা ৪৬ হাজার। মসজিদ ৪টি, ইসলাম ধর্মাবলম্বী ৩০০০ । গির্জা একটি , খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী ৭০০ । নানান ধর্ম-তত্পরতা স্বাভাবিকভাবে চালানো হয় । ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয়-চাহিদা পুরোপুরিভাবে মেটানো হয় । ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা পরিপূর্ণভাবে সম্মানিত হয় । 

       তিব্বতী জনগণের রীতিনীতি ও অভ্যাস সম্মানিত ও সুরক্ষিত হয় । তিব্বতী জাতি ও অন্যান্য সংখ্যালঘূজাতির যারযার ঐতিহ্যিক রীতিনীতি ও অভ্যাস অনুযায়ী জীবনযাপন করার ও সামাজিক তত্পরতা চালানোর অধিকার ও স্বাধীনতা আছে।নিজনিজ জাতির পরা , খাওয়া আর থাকার ঐতিহ্যিক রীতিনীতি ও পদ্ধতি বজায় রাখার সঙ্গেসঙ্গে তারা পরা,খাওয়া ,থাকা ,বিবাহ ও মৃত্যু প্রভৃতি ক্ষেত্রে অধুনিক সভ্যতা ও সুষ্ঠ জীবনযাপন অভিব্যক্ত করার নতুন কিছু গ্রহণও করেছেন । তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে তিব্বতী নববর্ষ, সাকাতাওয়া উত্সব, ওয়াংকো উত্সব, স্যুয়েতুন উত্সব সহ বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যিক উত্সব অনেক মন্দিরের ধর্মীয় তত্পরতা সংরক্ষিত হয়েছে ,সঙ্গেসঙ্গে চীনের তথা বিশ্বের নানান নতুন দিবস উদযাপণের তত্পরতাও গ্রহন করা হয়েছে ।  

(ম্যাপ: রঙবেরঙয়ের ধর্মীয় পতাকার উপর তিব্বতী জনসাধারণের সুন্দর আশা-আকাঙক্ষা )