চীন সরকার তিব্বতে মুল্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা নেয় । প্রাথমিক স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত তিব্বতী ছাত্রছাত্রীদের খরচ সবই রাষ্ট্র বহন করে । এ ধরনের সুবিধার নীতি শুধু তিব্বতে চালু হয় । পুরাতন তিব্বতে একটি আধুনিক তাত্পর্যসম্পন্ন বিদ্যালয়ও ছিলো না । বিশ্ববিদ্যালয় তো দূরের কথা। এখন তিব্বতে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ।
তিব্বতের শিক্ষা উন্নয়নে সাহায্য করার জন্য ১৯৮৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার অভ্যন্তরের ২১টি প্রদেশ ও কেন্দ্রশাসিত মহা নগরে তিব্বতী ক্লাস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে তিব্বতের জন্য প্রায় ১০ হাজার মাধ্যমিক স্কুল , কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ছাত্রছাত্রী গড়ে তুলেছে । লেখাপড়ার সময় এ সব ছাত্রছাত্রীদের পরা, খাওয়া ,থাকা আর শিক্ষার ফী সবই রাষ্ট্র বহন করে ।
২০০৩ সালের শেষ নাগাদ তিব্বতে বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন ধরনের বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০১১,শিক্ষাদান-কেন্দ্রের সংখ্যা ২০২০ । বিদ্যালয়ে পড়াশুনারত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪শ‘। স্কুল-বয়সী ছেলেমেয়ের স্কুলে ভর্তি-হার ৯১.৮ শতাংশ । নিরক্ষরতার হার ৩০শতাংশের নিচে নেমেছে । দরিদ্র এলাকার স্কুল-চ্যুত শিশুদের সাহায্য করার লক্ষ্যে নেওয়া আশা প্রকল্প ১৯৯২ সালে তিব্বতে চালু হওয়ার পর থেকে এ পযন্ত মোট ১৮০টি আশা প্রাথমিক স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । প্রায় ৩৬ হাজার ছাত্রছাত্রী সাহায্য পেয়ে স্কুলে লেখাপড়া করছে ।