ইতিহাস ও প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে দীর্ঘকাল বিশ্বের ছাদ নামে পরিচিত তিব্বতের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অনুন্নত ছিলো । ১৯৮৪ -১৯৯৪ সালে তিব্বতে রাষ্ট্রের অর্থবিনিয়োগে চীনের ৯টি প্রদেশ ও শহর ৪৮ কোটি রেনমিনপি মূল্যের ৪৩টি প্রকল্প নির্মাণ সাহায্য করে ।১৯৯৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তৃতীয় তিব্বত কর্ম-সভায় স্থির করা হয় যে,সারা চীন দেশ তিব্বতে কৃষি,পশুপালন শক্তি,যোগাযোগ,ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে মোট ৪৮৬ কোটি রেনমিনপি মূল্যের ৬২টি প্রকল্প নির্মাণে সাহায্য করবে । এখন এসব প্রকল্পের সাবিক ব্যবহারে স্পষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক সফলতা দেখা দিয়েছে ।
তিব্বতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত করার সঙ্গেসঙ্গে ৬২টি প্রকল্প মালভূমি জনগণের হাজার বছর স্থায়ী রীতিনীতির পরিবর্তনও ঘটিয়েছে । আজ স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লাসা শহরের নাগরিকরা প্রত্যেক দিন বেশ কয়েকটি চ্যানেলে টিভি প্রোগ্রাম উপভোগ করতে পারছেন ।পূর্ব তিব্বতের তিন নদীর অববাহিকায় কৃষির বহুমুখি উন্নয়নে জন্যশূন্য এলাকা জীবনের মরুদ্যানে পরিণত হয়েছে । দক্ষিণ তিব্বতে নিচু বাড়িঘরের বদলে উচু উচু শিক্ষাভবনে কৃষক পরিবারের সন্তানরা বাবামার স্বপ্ন নিয়ে লেখাপড়া করে । পুতালা প্রাসাদের গ্র্যানাইট পাথরের ময়দানে সবসময় রঙবেরঙের পতাকা ভাসে । অজস্র পর্যটক আসা-যাওয়া করেন । জায়গাটি বিশ্বের কাছে তুষার আবৃত মালভূমি নিজের সৌন্দর্য দেখানোর জানালায় পরিনত হয়েছে ।