পশুপালন তিব্বতের কৃষি-অর্থনীতির প্রধান অঙ্গ । এর ইতিহাস সুদীর্ঘকালের এবং বিকাশের প্রচ্ছন্ন শক্তি বিরাট । তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রাকৃতিক তৃণভূমির আয়তন প্রায় ৮ কোটি ২০ লক্ষ হেক্টর । এর মধ্যে ৫ কোটি ৬০ লক্ষ হেক্টর ব্যবহার করা যায় । এটা গোটা দেশের তৃণভূমির এক-পঞ্চমাংশ । এটা চীনের ৫টি চরণভূমির অন্যতম । গোটা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের তৃণভূমির প্রকার নানা ধরনের । এর ৯০ শতাংশ হলো উচ্চ পাহাড়ের ও মালভূমির তৃণভূমি । তৃণভূমিগুলোর ঘাস অত্যন্ত পুষ্টিকর ।
তিব্বতের পশুপালনের উত্পাদন-মূল্য প্রায় কৃষির মোট উত্পাদনমূল্যের ৬০ শতাংশ । গৃহ পালিত পশুগুলোর মধ্যে চমরী গাই ,তিব্বতী ভেড়া আর তিব্বতী ছাগল প্রধান । এ তিনটির মধ্যে চমরী গাইর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী । চমরী গাই মালভূমির এক বিশেষ পশু । এর আছে শীতল ও নিম্ন-অক্সিজেন প্রতিরোধ করা এবং ঠান্ডা ও আদ্রতা ভালো লাগার বৈশিষ্ট্য । চমরী গাই মালভূমির নৌকা নামে পরিচিত । চমরী গাইর দুধ ও মাংসের পরিমান বেশী । একে পরিবহনের যন্ত্রপাতি হিসেবে গ্রহণ করা যায় । তিব্বতী ভেড়া শীত ও খরা প্রতিরোধ করতে সক্ষম । তিব্বতী ভেড়া পালন করায় চমত্কার আর্থিক ফল হয় । তিব্বতে বিপুল পরিমানের তিব্বতী ভেড়া পালন করা হয় ।