শিল্প

      অতীতকালে তিব্বতে শুধু তিব্বতী কার্পেট,ফুলু,ফুল-তোলা এপ্রন , তিব্বতী জুতা,কাঠের বাটি প্রভৃতি ঐতিহ্যিক হস্তশিল্প ছিলো,কোনো আধুনিক শিল্প ছিলো না । ১৯৫১ সালে তিব্বত শান্তিপূর্ণভাবে মুক্তি হওয়ার পর বিশেষ করে ১৯৫৯ সালে গণতান্তিক সংস্কার হওয়ার পর শিল্প শূন্য থেকে দ্রুতগতিতে বিকাশ লাভ করেছে । এখন তিব্বতে চালিকা শক্তি,ধাতু-ঢালাই, কয়লা , যন্ত্রপাতি,রসায়ন শিল্প,নির্মাণ উপাদান,বন শিল্প ,মেচ,প্লাস্টিক বস্ত্র,খাদ্য,চামড়া,কাগজ প্রভৃতি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গঠিত হয়েছে । এ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশীর ভাগ হলো ক্ষুদ্রাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান । এ সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রধানতঃ লাসা,লিনচি,রিকাচা প্রভৃতি জায়গায় স্থাপিত হয় । আধুনিক ব্যবসা,পর্যটন,ডাক-যোগাযোগ ,রেস্তরা,সাংস্কৃতিক বিনোদন,আই-টি প্রভৃতি শিল্প পুরানো তিব্বতে কখনো দেখেনি বা শোনেনি এমন নতুন শিল্প দ্রুত তিব্বতে বিকাশ লাভ করেছে ।   

  ২০০৩ সালে তিব্বতের মোট শিল্প উত্পাদন মূল্য ২৭৭ কোটি রেনমিনপি হয়েছে । তিব্বতের জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পের অনুপাত ১৫ শতাংশ । পরবর্তীকালে তিব্বত সক্রিয়ভাবে শিল্প সম্প্রসারণ করবে,শিল্প-কাঠামো পুনবিন্যাস করবে,খনি,বন ও পশুজাত দ্রব্য সহ তিনটি সম্পদের উন্নয়ন ও ব্যবহারে প্রয়াস চালাবে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তির রূপান্তর জোরদার করবে । যাতে মোট জাতীয় উত্পাদন মূল্যে শিল্পের উত্পাদন মূল্যের অনুপাত বাড়ে ।