কাশি

      কাশির পূরা নাম হল কাশিকার,রেশমী পথের মুক্তা নামে কাশি বিশ্ববিখ্যাত । চীনের ইতিহাসে কাশি একটি বিখ্যাত সাংস্কৃতিক নগর । 

  কাশি থালিমু বেসিনের পশ্চিম দিকের এক প্রাচীনতম মরুদ্যান । লোকেরা তাকে উত্তর মহাপ্রাচীরের দক্ষিণ ইয়াংসি নদী এলাকা বলে অখ্যায়িত করেন । কাশি চীনের তুলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি এলাকা। 

   কাশি পযটন-সম্পদে সমৃদ্ধ । এর বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম । মরুভূমি ভ্রমণ,হিমবাহ এক্সপ্লোর আর পাহাড়-ভ্রমণ বিভিন্ন দেশের পযটকদের আকর্ষণ করে । কাশির ইতিহাস সুদীর্ঘকালের । তার আছে বহু মানবতাবাদী দৃশ্য । সুবিখ্যাত আতিকার মসজিদ,আবাকহকা রানীর কবরস্থান,মোঃ কাশিকালীর কবরস্থান,ইয়েরছিয়াং খান রাজবংশের ধ্বংসাবশেষ প্রভৃতি বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান । এসব দর্শনীয় স্থানে উইগুর সংস্কৃতি আর স্থাপত্য-শিল্পের বৈশিষ্ট্য কেন্দ্রীভূত হয়েছে । 

  গোটা সিনচিয়াং অঞ্চলে কাশি নিজের সুগভীর ঐতিহাসিক সংস্কৃতি , বৈচিত্র্যময় জাতীয় রীতিনীতি,স্ববৈশিষ্ট্যপূর্ণ মানবতাবাদী প্রাকৃতিক দৃশ্য দিয়ে বিপুল পরিমানের দেশীবিদেশী পর্যটকদের সেখানে বেড়াতে যেতে আগ্রহী করে । এমন কি লোকেরা বলে থাকেন যে ,কাশি না গেলে সিনচিয়াংয়ে যাওয়া হয় না । 

(ম্যাপ: কাশির আতিকার মসজিদের সামনে উইগুর জাতির জনসাধারণ উত্সব উদযাপন করছেন)