থুলুফ্যান

      মধ্য সিনচিয়াংয়ের নিচু বেসিনে এমন একটি জায়গা রয়েছে জায়গাটিকে সবাই “হৌচৌ অর্থাত অগ্নি বিভাগ” ডাকেন । জায়গাটির পুথাওকৌ এলাকায় নানা উন্নতমানের আঙ্গুর উত্পন্ন হয় । জায়গাটি হলো থুলুফ্যান । বিশেষ ভৌগলিক অবস্থার কারণে থুলুফ্যানের ভূগর্ভের পানি সম্পদ অত্যন্ত সমৃদ্ধ । একারনে এখানে আঙ্গুর আর তরমুজ প্রভৃতি ফলমূল প্রচুর উত্পন্ন হয় । আবহাওয়া শুষ্ক এবং বৃষ্টি কম বলে এখানকার ফল বেশী সুগারসম্পন্ন হয় । অনেক লোক থুলুফ্যানের মিষ্টি ফলের জন্যই সেখানে ভ্রমণ করতে যান । 

  থুলুফ্যান“ আঙ্গুরের রাজ্য ”। “শহর আঙ্গুরের মধ্যে আছে , মানুষ আঙ্গুরের মধ্যে আছেন”“ । থুলুফ্যানে বেড়াতে যাওয়া অতিথিরা আঙ্গুর খান আঙ্গুরের কথা বলেন । লিপিবদ্ধ ইতিহাসে জানা গেছে , ২০০০ বছর আগেই এখানে আঙ্গুরের উত্পাদন শুরু হয় । 

  থুলুফ্যানের রাস্তায় বেরুলে যেখানেসেখানে বিরাটাকারের প্রাচীনতম আঙ্গুর বাগান , রাস্তায় হোক গলিতে হোক বা বাড়িঘরের সামনে হোক, পিছনে হোক সর্বত্রই আঙ্গুরের ট্রেলিস দেখা যায় ।সেখানকার কিশমিশ বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি হয় । থুলুফ্যানের সব জায়গায় চারি দিকে বায়ু-চলাচল করে এমন মাটি দিয়ে তৈরি এক ধরনের ঘর আছে যাকে ইনফাং বলে থাকে । উষ্ণ বায়ুতে স্বাভাবিকভাবে শুকান সবুজের কিশমিশ টক এবং মিষ্টি বলে সবার কাছে সমাদৃত। 

  থুলুফ্যান শহরের ন্থানীয় সরকার বিশেষভাবে আঙ্গুর রাস্তা নির্মান করেছে । বহু আঙ্গুর- বারান্দা, আঙ্গুর পার্ক আর আঙ্গুর-যাদুঘর পযটকদের পরিদর্শনের জন্য ভালো জায়গা সৃষ্টি করেছে । এখন থুলুফ্যানে যাওয়া অতিথিরা পুথাওকৌ গেলে সেখানকার সুন্দর দৃশ্য দেখার পর নিজের তোলা নানান ধরনের টাটকা আঙ্গুর উপভোগ করতে পারেন ।

(ম্যাপ: থুলুফ্যানের পুথাওকৌ জায়গায় বসবাসকারী উইগুর জাতির )