পরিবার-পরিকল্পনা

 

চীন পরিবার-পরিকল্পনাকে একটি মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে কার্যকরী করছে । চীনে যে পরিবার-পরিকল্পনানীতি পালিত হচ্ছেতাতে জনসাধারনের ইচ্ছার সঙ্গে রাষ্ট্রের পরিচালনাসমন্বিত করার পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় । রাষ্ট্রের পরিচালনার অর্থ হলো : কেন্দ্রীয় সরকার আর স্থানীয় সরকারলোকসংখ্যার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন করা , লোকসংখ্যার গুনগতমান উন্নত করা ,লোকসংখ্যা-কাঠামোরূপান্তর করার নীতিবিধি আরলোকসংখ্যা উন্নয়ন পরিকল্পনাতৈরি করা এবং যাবতীয় দম্পতির জন্য প্রজনন-স্বাস্থ্যের পরিসেবা ,প্রসব নিবারণ ও জন্ম-নিয়ন্ত্রণ,শ্রেষ্ঠ সন্তান ধারণও লালনপালন প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরামর্শ এবং পরিচালনাওপ্রযক্তির সেবা দান করা।জনসাধারনের ইচ্ছার অর্থ হলো :রাষ্ট্রেরসংশ্লিষ্ট নীতিও আইনবিধিরনির্দেশনায় প্রসববয়সী দম্পতীরা নিজ নিজ বয়স,স্বাস্থ্য,পেশা আর পারিবারিক আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী দায়িত্বশীলভাবে পরিকল্পনানুসারেগর্ভধারন ও প্রসব করা এবংপ্রসব নিবারণ ও জন্ম-নিয়ন্ত্রনেরউপযুক্ত পদ্ধতি বেছে নেওয়া ।

 

   

চীনের বর্তমান পরিবার পরিকল্পনা নীতির প্রধান প্রধান বিষয়বস্তু হলো : দেরীতে বিয়ে করাও দেরীতে সন্তান নেওয়া , কম সন্তান এবং শ্রেষ্ঠ সন্তান প্রসব করা , এক দম্পতীর এক সন্তান নেওয়ার প্রস্তাব করা । গ্রামাঞ্চলে যে সব দম্পতীর বিশেষঅসুবিধা আছে তারা কয়েক বছর পর দ্বিতীয় সন্তান নিতে পারেন। সংখ্যালঘূজাতি অধ্যূষিত এলাকায় বিভিন্ননিজ নিজ ইচ্ছা আর যার যার জাতির লোকসংখ্যা, সম্পদ , অর্থনীতি , সংস্কৃতি ও রীতিনীতি অনুযায়ী সাধারনতঃ দুই সন্তান নিতে পারে । কোনো কোনো জায়গায় তিনটি সন্তানও নেওয়া যায়। যে সংখ্যালঘূজাতির লোকসংখ্যা অতি কম তাদের সন্তাননেওয়ার সংখ্যা সীমিত নেই ।

  

    চীনে পরিবার পরিকল্পনা নীতি কার্যকরী করার পর থেকে এপর্যন্ত দেরীতে বিয়ে করা আর দেরীতে সন্তান নেওয়া , কম সন্তান ও শ্রেষ্ঠ সন্তান নেওয়া ধাপেধাপে একটি সামাজিক রীতিতে পরিনত হয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে পরিবার-পরিকল্পনায় চীনের নারীরা বিয়ের পর ঘনঘন সন্তান ধারন ও প্রসব এবং ভারী পারিবারিক বোঝা থেকে মুক্তি পান ।এতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য মানের দিক থেকে উন্নত হয়েছে ।