প্রাণীর প্রকার এবং তার বিন্যাস


       বন্য প্রাণীর প্রকারের দিক থেকে চীন বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম দেশ ।গোটা চীনদেশে প্রায় ৬২৬৬ ধরনের মেরুদন্ডী জীব আছে ,এরমধ্যে ৫০০ ধরনের পশু, ১২৫৮ ধরনের পাখি, ৩৭৬ ধরনের সরীসৃপ,২৮৪ ধরনের উভয়চর,৩৮৬২ ধরনের মাছ আছে । এটা বিশ্বের মেরুদন্ডী জীবের প্রায় এক-দশমাংশ । তাছাড়া চীনে ৫০ হাজার রকমের মেরুদন্ডীবিহীন জীব আর ১ লক্ষ ৫০ হাজার রকমের কীটপতংগ আছে ।

      তৃতীয় আর চতুর্থ শতাব্দীর মহাদেশের হিমবাহের প্রভাবে প্রভাবিত হয়নি বলে চীনের অধিকাংশ অঞ্চলে বিপুলপরিমানের বিশেষ জীব সংরক্ষিত আছে । এক পরিসংখ্যান থেকেজানা যায় ,প্রায় ৪৭৬ ধরনের স্থল-মেরুদন্ডী জীব শুধু চীনদেশে আছে । এটা চীনের স্থল-মেরুদন্ডী জীবের১৯.৪২ শতাংশ । বড় প্যান্ডা,সোনালী বানর,দক্ষিণ-চীন বাঘ , বাদামী রঙ ঘোড়া-মোরগ, লাল-মুকুট সারস , লাল আর সাদা ধ্বজাধারী ডল্ফিন , চীনা কুমির সহশতাধিক দুর্লভ বন্য প্রাণী যেগুলো শুধু চীনদেশে আছে । সাদা-কালো লোমের বিরাটাকারের স্তন্যপায়ী জীব --বড় প্যান্ডার ওজন ১৩৫ কেজি হতে পারে । কচি বাঁশ তাদের প্রধান খাদ্য । বর্তমানে বড় প্যান্ডার সংখ্যা মাত্র ১০০০-এর মতো। অতি মূল্যবান বলে বড় প্যান্ডা বিশ্বের বন্য প্রাণী রক্ষার এক চিহ্নে পরিনত হয়েছে । লাল-মুকুট সারসের শরীরের দৈর্ঘ্য ১.২ মিটার হতে পারে ,তার গায়ে সাদা রঙের লোম,মাথায় মুকুটের মতোছোটো লাল ত্বক ,পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে একে দীর্ঘায়ুর নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয় । বিশ্বেএখন মাত্র দুধরনের মিঠাপানির তিমি আছে । সাদা ধ্বজাধারী ডল্ফিন এর অন্যতম । ১৯৮০ সালে প্রথমবারের মতো ছাংচিয়াং নদীতে যে পুরুষ জাতীয় সাদা ধ্বজাধারী ডল্ফিন পাওয়া গেছে তা বিশ্বে ডল্ফিন গবেষকদের আকৃষ্ট করেছে ।

       চীনের প্রাণীর বিন্যাস উত্তর পূর্ব চীন,উত্তর-চীন , মঙ্গোলিয়া-সিনচিয়াং,ছিংহাই-তিব্বত, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, মধ্য চীন আর দক্ষিণ চীন এই সাতটি বিভাগে বিভক্ত, ভৌগলিক অবস্থা ভিন্ন হওয়ার কারণে প্রত্যেক এলাকায় নানা ধরনের প্রাণী জীবিত আছে।