উদ্ভিদের প্রকার আর এগুলোর বিন্যাস


       চীন বিশ্বে উদ্ভিদ-সম্পদে সমৃদ্ধশালীদেশগুলোর মধ্যে অন্যতম । চীনেপ্রায় ৩০০০০ প্রকার উদ্ভিদ আছে । মালয়েশিয়া আর ব্রাজিলের পর চীন বিশ্বে উদ্ভিদ সম্পদে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে । এর মধ্যেআছে ১০৬ জাতেরব্রাইওফাইট,এটা বিশ্বের মোট জাতের ৭০ শতাংশ । চীনে আছে ৫২ জাতের ২৬০০ প্রকারের পরিডোফাইট, জাতের আর প্রকারের সংখ্যার দিক থেকে এটা বিশ্বে যথাক্রমে ৮০ শতাংশ আর ২৬ শতাংশ । চীনে আছে ৮৬০০ প্রকারের কাঠের উদ্ভিদ ,এর মধ্যে প্রায় ২০০০ প্রকার আর্বর।সারা বিশ্বে মোট ১২ জাতের ৭১ উপজাতের ৭৫০ প্রকার জিমনোস্পার্মআছে, এর মধ্যে ১১জাতের ৩৪ উপজাতের ২৪০ প্রকার চীনদেশেও আছে ।চীনের দেবদারুজাতীয় গাছেরপ্রকারের মোট সংখ্যা বিশ্বের অনুরূপ উদ্ভিদের ৩৭.৮ শতাংশ । চীনের এনজিওস্পার্ম বিশ্বের জাতের আর উপজাতেরসংখ্যার ৫৪শতাংশ আর ২৪শতাংশ ।



     উত্তর গোলার্ধের শীতমন্ডল,নাতিশীতোষ্ণমন্ডল আর গ্রীষ্মমন্ডলে যে উদ্ভিদ আছে সেগুলোর মধ্যে প্রধানপ্রধান উদ্ভিদগুলো প্রায় চীনদেশেও পাওয়া যায়।মেটাসেকিয়া,চীনা সাইপ্রিস গাছ,রূপালী ফার গাছ, চীনা ফার গাছ ,চীনছিয়েন পাইন গাছ ,তাইওয়ান ফার গাছ, ফুচিয়েন সাইপ্রিস গাছ, ডাভ গাছপ্রভৃতি গাছ শুধু চীনদেশে পাওয়া যায় । মেটাসেকিয়া একধরনের উচু গাছ , একে বিশ্বে দুর্লভ ও মূল্যবান উদ্ভিদের তালিকাভূক্ত করা হয়েছে । চিনছিয়েন পাইন গাছউত্পাদিত হয় ছাংচিয়াং নদীর অববাহিকার পাহাড়ী অঞ্চলে । এর পাতাগুলো স্বল্প ডালে জন্মায়,এর আকার প্রাচীন চীনের মুদ্রার মতো ,বসন্ত আর গ্রীষ্মকালে গাছটির পাতাগুলো সবুজ আর শরত্কালে হলুদ হয় ,এই গাছ বিশ্বের পাঁচটি বৃহত বাগানে লাগানো মূল্যবান গাছগুলোর মধ্যে অন্যতম । চীনে খাওয়া যায় এমন উদ্ভিদের প্রকার প্রায় ২০০০ ,ঔষুধে ব্যবহার করা যায় এমন উদ্ভিদের প্রকার ৩০০০ । ছাংপাইশান পাহাড়ের জিনসেং,তিব্বতেরলাল ফুল ,নিংসিয়ার কৌছি , ইউন্নান আর কুইচৌ প্রদেশেরসানছি অর্থাত সিউডো জিনসেং সবই মূল্যবান ঔষুধের উপাদান । ফুল-গাছের প্রকার অত্যন্ত বেশি,ফুলের রাজা – পিয়নিকেবল চীনদেশে আছে । পিয়নির ফুলের আকার বড় ,এই ফুলের পাপড়ি বেশি ,রঙ উজ্জ্বল ওসুন্দর । পিয়নিচীনের অন্যতম জাতীয় ফুল ।

       আবহাওয়া মন্ডল অনুয়ায়ী উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে বিন্যাস্ত চীনের বনের মধ্যে আছে শীতমন্ডলের দেবদারুজাতীয় গাছের বন, নাতিশীতোষ্ণমন্ডলের দেবদারুজাতীয় গাছ আর প্রশস্ত পাতাগাছের মিশ্রিত বন , গ্রীষ্ম-নাতিশীতোষ্ণমন্ডলের পণমোচী গাছের বন আর দেবদারুজাতীয় গাছের বন, উপ-গ্রীষ্মমন্ডলের চির-সবুজ প্রশস্ত পাতাগাছের বন আর দেবদারুজাতীয় গাছের বন, গ্রীষ্মমন্ডলের বর্ষা গাছের বন । এর মধ্যে প্রকারের বৈচিত্রতা আর গুরুত্বের ক্ষেত্রে উপ-গ্রীষ্মমন্ডলী বনের সঙ্গে বিশ্বের একই মন্ডলের অন্য জায়গার তুলনা নেই ।