চীন হলো পাহাড় বহুল একটি দেশ ।এই সব পাহাড়ী অঞ্চলের আয়তন দেশের মোট আয়তনের দুই-তৃতীয়াংশ । এখানে যে পাহাড়ী অঞ্চলের কথা বলা হলো তার মধ্যে পাহাড়ী এলাকা ,ক্ষুদ্রপাহাড় আর মালভূমি অন্তর্ভূক্ত। সারা দেশেরনানা ধরনের ভৌগলিক অবস্থার মধ্যে ৩৩শতাংশ পাহাড়ী এলাকা ,২৬শতাংশ মালভূমি ,১৯ শতাংশ বেসিন,১২ শতাংশ সমতলভূমি আর ১০ শতাংশ ক্ষুদ্র পাহাড় ।
কয়েক মিলিয়ন বছর আগে,ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি সৃষ্টি হয় । আকাশ থেকে চীনের ভূভাগ দেখতে গেলে চীনের ভূভাগ সিড়ির মতো পশ্চিম দিক থেকে পূর্বদিকে ধাপেধাপে নেমে গেছে । ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির সামুদ্রিক গড় উচ্চতা ৪০০০মিটার বেশি বলে মালভূমিটিবিশ্বের ছাঁচ নামে পরিচিত এবং চীনের ভূগলের প্রথম সিড়ি গঠন করে ।মালভূমিটিতে অবস্থিত হিমালয়ের প্রধান শৃঙ্গ চুমোলাংমা শৃঙ্গের উচ্চতা ৮৮৪৮.১৩ মিটার । চুমোলাংমা শৃঙ্গ হল বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ । অন্তমংগোলিয়া মালভূমি,দো আঁশ মালভূমি ,ইয়ুন্নান-কুইচৌমালভূমি এবং থালিমু অববাহিকা ,চুনগার অববাহিকা ও সিছুয়ান অববাহিকানিয়ে চীনেরভূগোলের দ্বিতীয় সিড়ি গঠিত হয় ।এর গড়উচ্চতা১০০০-২০০০ মিটার । দ্বিতীয় সিড়ির পূর্বপ্রান্তঅতিক্রম করেবড় সিং আনলিন পবত , থাইহান শ্যান পাহাড়, উশ্যান পাহাড় আরস্যুয়ে ফোং শ্যান পাহাড় পূর্বদিকের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেরউপকূলীয় এলাকায়বিস্তৃত হয়েছে । এটি তৃতীয় সিড়ি । তৃতীয় সিড়ির ভূখন্ড ৫০০-১০০০ মিটার নীচে নেমে গেছে । উত্তর থেকে দক্ষিণ দিক পর্যন্তস্থায়ী তৃতীয় সিড়িতে উত্তর-পূর্বসমতল-ভূমি , উত্তর চীন সমতল-ভূমি , ইয়াংসিনদীর মধ্য ও নিম্ন অববাহিকা সমতল-ভূমি আর সমতল-ভূমির প্রান্তে নিচু ও ক্ষুদ্র পাহাড় ছড়িয়ে আছে। তার পূর্বদিকে চীনের মহাদেশ-শেল্ফ স্বল্পগভীর সাগরীয় এলাকা অর্থাত চতুর্থ সিড়ি,এর গভীরতা ২০০ মিটারের কিছু কম ।
|