জাতীয় পতাকা, জাতীয় প্রতীক, জাতীয় সঙ্গীত আর রাজধানী


[ জাতীয় পতাকা ]:
      চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা :চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা হল পাঁচ তারকাখচিত লাল পতাকা । এর দৈর্ঘ্য ও উচ্চতার অনুপাত হল ৩:২ । জাতীয় পতাকাররঙ লাল, এটি বিপ্লবের নিদর্শন । পতাকার পাঁচটি পাঁচ-কোনা তারকার রঙ হলুদ, চারটি ছোট পাঁচ-কোনা তারকার প্রত্যেকটিরএকটি কোনা মূল তারকার কেন্দ্রস্থলেরদিকে মুখ করে আছে , এটি কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী জনগণের মহা ঐক্যেরনিদর্শন ।  

 

[ জাতীয় প্রতীক ]:

      চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতীক: জাতীয় পতাকা,থিয়েন আনম্যান,চাকা আর ধানের শীষ নিয়ে চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতীক গঠিত । এটা ৪ মে আন্দোলনের পর চীনা জনগণের চালিত নতুন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী সংগ্রাম আর শ্রমিক শ্রেনীর নেতৃত্বাধীন শ্রমিক- কৃষক মৈত্রীর ভিত্তিতে গঠিত জনগণের গণতান্ত্রিকএকনায়কত্বের নয়া চীনের প্রতিষ্ঠার পরিচায়ক । 

   

[ জাতীয় সঙ্গীত ]:
      চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত:বীরত্বপূর্ণবাহিনীর অগ্রযাত্রার গান চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত । গানটি ১৯৩৫ সালে রচনা করা হয় । গানের কথাগুলো লিখেছেন নাট্যকার থিয়েনহান ,গানটিতে সুর দিয়েছেন চীনের নতুন সংগীত-আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা নিয়ের আর । গানটি সংগ্রামের অগ্রগামী সন্তানরা নামক চলচ্চিত্রের থিম-সঙ্গীত । ১৯৩১সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঘটনার পর জাপান চীনের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের তিনটি প্রদেশ দখল করে । চীনা জাতি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে দাঁড়ায় , এর পরিপ্রেক্ষিতে বুদ্ধিজীবীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের পাশ কাটিয়ে সাহসের সঙ্গে জাপান বিরোধী যুদ্ধ-ফ্রন্টে ঝাঁপিয়ে পড়েন । চলচ্চিত্রটিতে সে কাহিনী বর্ননা করা হয়েছে ।চলচ্চিত্রটি দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে , বিশেষ করে জাপানের বিরুদ্ধে দেশ ত্রান আন্দোলন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীতটি সমগ্র চীনের ছড়িয়ে পড়ে ।এই সঙ্গীতটিকে চীনা জাতির মুক্তির রণশিঙা বলে ডাকা হত । 
  ১৯৪৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর চীনা জনগণের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত আনুষ্ঠানিকভাবে তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বীরত্বপূর্ণ বাহিনীর অগ্রযাত্রার গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । 

《 চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত 》

“জাগো !

 
দাস হতে অনিচ্ছুক মানুষেরা । 
আমাদের রক্ত-মাংস দিয়ে নতুন মহাপ্রাচীর গড়ো! 
চীনা জাতির পরম সংকটময় মুহুর্তে, 
সবাই উচ্চৈঃস্বরে ডাক দেয় লড়াইয়ের তরে । 
জাগো ! জাগো ! জাগো ! 
লক্ষ লক্ষ মানুষের এক মন এক প্রাণ , 
শত্রুর তোপ অগ্রাহ্য করে হও আগুয়ান ! 
শত্রুর তোপ তুচ্ছ করে হও আগুয়ান !  
হও আগুয়ান! হও আগুয়ান ! হও আগুয়ান ! 

[ রাজধানী ]:
চীন গণ প্রজাতন্ত্রের রাজধানী : চীন গণ প্রজাতন্ত্রের রাজধানী হল পেইচিং ।  

       ১৯৪৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরে চীনা জনগনের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনে জাতীয় গণ কংগ্রেসের ক্ষমতা পালন করার কথা ঘোষনা করা হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে << চীনা জনগণের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের অভিন্ন কর্মসূচী >> গৃহিত হয় । ১ অক্টোবর চেয়ারম্যান মাও সেতুং থিয়ান আন মেন মঞ্চে গোটা বিশ্বের উদ্দেশ্যে গম্ভীরভাবে ঘোষণা করেন , গণ প্রজাতন্ত্রী চীনের কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । এরপর থেকে চীনের রাজধানী হিসেবে পেইচিং প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে চীনা জাতির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সংযোজন করেছে ।