সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউয়র্কের কুইন লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত হলো আধুনিক চীনা ছবির প্রদর্শনী।
চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বৃহত্তম পাবলিক লাইব্রেরিতে 'ফ্যাশন চায়না' (Fashion China) শিরোনামে এই ছবি প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হয় ।
নিউয়র্কে চীনের কনসাল জেনারেল চিয়াং ছি ইউয়ে (章启月) ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, এবার দশটি ছবির মাধ্যমে আধুনিক চীনকে দেখতে পেয়েছেন মার্কিন নাগরিকরা। তিনি আশা করেন, মার্কিন বন্ধুরা চীনের দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন, চীনের পরিবর্তন অনুভব করতে পারবেন। এবং দু'দেশের জনগণের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে পারবেন।
এ ছবি প্রদর্শনীর পাশাপাশি ভবিষ্যতে কুইন লাইব্রেরির সঙ্গে ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক ইভেন্ট আয়োজন করা হবে। চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদি কর্মসূচির আয়োজন করা হবে বলেও জানানো হয়।
নিউইয়র্কে ১৮৫৮ (আঠারোশ' আটান্ন) সালে কুইন লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ লাইব্রেরিতে ৬৩টি (তেষট্টি) শাখা রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম লাইব্রেরি অঞ্চল।
বন্ধুরা, শুনছিলেন খবরটি।
এবার শুনুন মোস্কোতে চীনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার তৃতীয় বার্ষিকীর অনুষ্ঠান সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ। আশা করি বন্ধুদের এটি ভালো লাগবে।
মোস্কোতে চীনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার তৃতীয় বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। প্রথম 'চীনা পাঠ' বা 'Reading China' সংক্রান্ত সাহিত্যকর্মের অনুবাদ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান চলতি মাসে মোস্কোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাশিয়ায় চীনের দূতাবাসের অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত চিয়াং সিয়াও অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। রাশিয়ার সাংস্কৃতিক মহলের বিখ্যাত ব্যক্তিরা, চীনাতত্ত্ববিদ এবং চীনা সংস্কৃতিপ্রেমিসহ একশ'রও বেশি মানুষ এতে অংশ নিয়েছে।
২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর চীন ও রাশিয়ার নেতারা এবং বিভিন্ন মহলের বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা মস্কোতে যৌথভাবে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র চালু করেন। গত তিন বছরে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কয়েকশ' চমত্কার সাংস্কৃতিক ইভেন্টের আয়োজন করেছে। দু'দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ে এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। দু'দেশের জনগণের বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়েছে এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
সংস্কৃতি বিভিন্ন জাতির মধ্যে যোগাযোগ ও বিনিময়ের সেতু। 'চীন-রাশিয়া ক্ল্যাসিক্যাল ও আধুনিক সাহিত্য অনুবাদিত প্রকাশনা প্রকল্প', অনুবাদিত সাংস্কৃতিক কর্ম দু'দেশের সংস্কৃতিপ্রেমীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে।
'চীনা পাঠ' বা 'রিডিং চায়না' (Reading China) সাহিত্যকর্ম অনুবাদ পুরস্কার সম্প্রতি চালু হওয়া আরেকটি সাংস্কৃতিক ইভেন্ট। ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর এটি আয়োজিত হবে। পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে চীনা ক্ল্যাসিক্যাল সাহিত্য, আধুনিক সাহিত্য এবং কবিতার অনুবাদ বিষয়ে তিনটি পুরস্কার।
এবার অংশগ্রহণকারীরা মস্কো, সেন্ট পিটার্সবুর্গ ও ভ্লাদিভস্তকসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছেন। তারা রাশিয়ার সর্বোচ্চ অনুবাদ ও গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি।
বন্ধুরা প্রবন্ধটি কেমন লাগলো ? এবার শুনুন পেইচিংয়ে আন্তর্জাতিক অনুবাদ বিষয়ক ফোরাম নিয়ে একটি প্রতিবেদন।
গত ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক অনুবাদ বিষয়ক ফোরাম। বিভিন্ন দেশের অনুবাদ সংশ্লিষ্ট সাড়ে তিনশ' প্রতিনিধি এতে অংশ নিয়েছেন।
চীনের ফরেন অফিস (Foreign Office) এবং চীনের অনুবাদ গবেষণা কলেজ যৌথভাবে এ ফোরামের আয়োজন করেছে। অনুবাদকর্মীদের জন্য এটি পারস্পরিক শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।
চীনের ফরেন অফিসের পরিচালক চৌ মিং উয়েই ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং উন্মুক্ত নীতির কারণে গত ৩০ বছরে চীনের অনুবাদ শিল্পে বিপুল অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, অনুবাদ শিল্পের উন্নয়নের জন্য ভালো অনুবাদক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনুবাদ কাজে অনেক রকমের সমস্যা রয়েছে। যেমন প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং শিল্প উন্নয়নের গতি একই ধরনের এবং এটি অনুবাদকের প্রথম কর্তব্য। তা ছাড়া অনুবাদ প্রক্রিয়া আসালে একটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া, এ কারণে অনুবাদকদের সাংস্কৃতিক গুণাবলী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য বিদেশি ভাষায় দক্ষতা যেমন দরকার তেমনি চীনা ভাষাতেও চমত্কার দক্ষতার প্রয়োজন হবে। এবারের ফোরামে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের সচিব-অফিস, আন্তর্জাতিক মৌখিক ভাষা অনুবাদ সমিতি, আন্তর্জাতিক অনুবাদ কলেজ ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রের মনটেরেই ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (Monterey Institute of International Studies), প্যারিসের সরবোন নোভেলা (Sorbonne Nouvelle), মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং চীনের অনুবাদ গবেষণা একাডেমিসহ বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সংস্থার সেরা অনুবাদকরা। তারা এবারের ফোরামে অনুবাদ মহলের জন্য বেশ কিছু গঠনমূলক প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমৎকার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।
চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান (জিনিয়া/তৌহিদ)