তিনি জানান, 'দ্বাদশ পাঁচশালা পরিকল্পনা' বাস্তবায়নকালে চীনের রফতানি বার্ষিক গড়ে ৬.৫ শতাংশ করে বেড়েছে। ২০১০ সালে যেখানে বিশ্ব রফতানি বাজারের ১০.৪ শতাংশ হিস্যা চীনের ছিল, সেখানে তা ২০১৫ সালে বেড়ে ১৩.২ শতাংশে দাঁড়ায়।
তিনি আরও জানান, চলতি বছর চীনে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই)-এর মোট পরিমাণ দাঁড়াবে আনুমানিক ১৩,৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। অন্যদিকে বিদেশে চীনের সরাসরি বিনিয়োগ ১২,৮০০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিদেশে চীনের সরাসরি বিনিয়োগের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১৪.২ শতাংশ। ২০১২ সাল থেকে টানা তিন বছর এ ক্ষেত্রে বিশ্বে চীনের অবস্থান তৃতীয়।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাবকে 'অর্থনৈতিক কূটনীতি'র একটি দৃষ্টান্ত' হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, এ প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে চীনের বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে। এ প্রস্তাবের আওতায় অর্ধশতাধিক বিদেশি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মিত হয়েছে এবং ৩ সহস্রাধিক যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, তার দেশ ইতোমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়াসহ ৪টি দেশের সাথে অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল নির্মাণের ব্যাপারে একমত হয়েছে। তা ছাড়া, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আর্থিক সহযোগিতা সংস্থা, জি-২০, জাতিসংঘ, ব্রিক্স শীর্ষ সম্মেলন এবং চীন-আফ্রিকান সহযোগিতা ফোরামে চীন বরাবরের মতোই ইতিবাচক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। (স্বর্ণা/আলিম)