Web bengali.cri.cn   
নারীকণ্ঠ
  2015-12-27 19:11:32  cri


প্রথম পর্ব : প্রধান প্রতিবেদন : নানার গল্পে প্রেরণা, খালা রোল মডেল : টিউলিপ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সামনে থেকে না দেখলেও ছোটবেলায় মা-খালার কাছে তার গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হয়েই রাজনীতিতে আগ্রহী হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার নাতনি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক।

বুধবার ঢাকার উত্তরায় 'ইন্সপিরিশনাল উইমেন' শীর্ষক এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ কথা তুলে ধরেন তিনি।

ব্যবসা, সাংবাদিকতা ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সফল নারীদের সঙ্গে স্কুল ছাত্রীদের যোগাযোগ ঘটাতে প্রথমবারের মতো এই কর্মসূচির আয়োজন করে স্কলাসটিকা স্কুল কর্তৃপক্ষ, যাতে রাজধানীর নয়টি স্কুলের ছাত্রীরা অংশ নেয়।

স্কলাসটিকা স্কুলের এক সময়ের ছাত্রী টিউলিপ অনুষ্ঠানের শুরুতে আজকের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে জানতাম রাজনীতি করতে চাই, এমপি হতে চাই। সবাই রাজনীতি করবে না, যা করতে চান মনোযোগ দিয়ে করবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে শেখ রেহানার সন্তান টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৫ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের এমপি নির্বাচিত হন। এরইমধ্যে বিরোধী দলে থাকা লেবার পার্টির ছায়া সরকারেও জায়গা করে নিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।

নির্বাচনে জয়ের পর এক সাক্ষাৎকারে টিউলিপ বলেছিলেন, তার খালা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেই তিনি রাজনীতি শিখেছেন।

লন্ডনে ১৯৮২ সালে টিউলিপের জ্ন্ম হয়। তার জন্মের বেশ কয়েক বছর আগে ১৯৭৫ সালে সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিদেশে থাকায় সে সময় প্রাণে বেঁচে যান টিউলিপের মা শেখ রেহানা ও খালা শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ বলেন, বড় হয়ে নানার কথা শুনে, যুদ্ধের কথা শুনে রাজনীতি করব বলে ভেবেছি। নানা মানুষের জন্য কী কী কাজ করতেন, দেশের জন্য কী কী ভাবতেন- এসব গল্প শুনেছি মা-খালার কাছে।

বঙ্গবন্ধুর গল্প থেকে অনুপ্রেরণা পেলেও খালা শেখ হাসিনাকেই নিজের রাজনীতির রোল মডেল মনে করেন এই ব্রিটিশ এমপি।

মা-খালাকেও সব সময় দেখেছি, বাংলাদেশের মানুষের ভালো-মন্দ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে। খালা আমার রোল মডেল ছিলেন সব সময়।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে টিউলিপ বলেন, ভবিষ্যতে কী হয় বলা যায় না। মাত্র তো এমপি হলাম, পাঁচ বছর পর জিজ্ঞেস করেন কী হয়।

আমি এখান থেকেও রাজনীতি শুরু করতে পারতাম। রাজনীতি হচ্ছে মানুষকে সাহায্য করার জন্য, যে কোনো দেশ থেকেই মানুষকে সাহায্য করা যায়।

সুযোগ পেলে যুক্তরাজ্যে থেকেও বাংলাদেশের জন্য কাজ করার আগ্রহের কথা জানান বঙ্গবন্ধুর নাতনি।

লন্ডনে জ্ন্ম হলেও কৈশোরে কিছু দিন বাংলাদেশে কাটিয়েছেন টিউলিপ। সে সময় স্কলাসটিকায় পড়ার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমি স্বপ্নেও ভাবি নাই,

আমি এখানে ফেরত আসব। খুব ভালো লাগছে। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে আমার স্বামীকে বলেছি- যখন প্রথম যাব, স্টুডেন্টদের সঙ্গে কথা বলব।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের শক্তিশালী অবস্থান তুলে ধরে ছাত্রীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ায় উৎসাহ দেন টিউলিপ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ সংসদের স্পিকারও নারী। তোমরা ভুলে যেও না, ব্রিটেনেও এটা নাই।

দ্বিতীয় পর্ব : আলোকিত নারী : 'নুর এনায়েত খান'

এটা আমাদের অরিজিনের অতীত ইতিহাস। কি ভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। নুর এনায়েত খান। নুর এনায়েত খান ছিলেন একজন শিশু সাহিত্যিক। তিনি বাচ্চাদের জন্য লেখালেখি করতেন। ১৯৩৯ সালে বাচ্চাদের জন্য তার লেখা প্রথম বই "Twenty Jataka Tales" প্রকাশিত হয়।

তার বাবার নাম হযরত এনায়েত খান। তিনি ছিলেন একজন সুফি সাধক এবং মিউজিশিয়ান।

১৯১৪ সালে রাশিয়ায় জন্মগ্রহণ করা নূর এনায়েত খানের বেড়ে ওঠা যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার সময় তিনি ফ্রান্সের রেডক্রসে সেবিকা হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৪০ সালে ফ্রান্স সরকার জার্মানির কাছে আত্মসমর্পণের ঠিক আগে নৌকাযোগে মা ও বোনকে নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে পালিয়ে আসেন। সেখানে আসার পরপরই তিনি উইমেনস অগজিলিয়ারি এয়ারফোর্সে (ডব্লিউএএএফ) রেডিও অপারেটর হিসেবে যোগ দেন।

১৯৪০ সালে নুর একজন স্বেচ্ছাসেবিকা হিসাবে ফ্রেঞ্চ উইমেন আক্সেলারি এয়ার ফোর্সে যোগ দেন। তার বহু ভাষা জানা থাকার কারণে তাকে ইনটেলিজেন্ট এজেন্সিতে নিয়োগ করা হয়। সেখানে তাকে স্পাই হিসাবে ট্রেনিং দেওয়া হয়। অস্ত্রপ্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং ইয়েস "সি ইজ লাইসেন্স টু কিল"। তার কোড নেম দেওয়া হয় "Madeleine"। তারপর নুর এনায়েত খান একটা ফল্স পাসপোর্ট, কিছু ফ্রাং ও একটা পিস্তল নিয়ে তার নতুন কর্মস্থল প্যারিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। জার্মানি ইনটেলিজেন্সের হাতে ধরা পরার আগে পর্যন্ত তিনি ফ্রান্সে তিন মাস স্পাই হিসাবে তথ্য সংগ্রহ করেন।

একজন ফ্রেঞ্চ পাইলট টর্চারের মুখে তার অবস্থান গেস্টাপোর কাছে ফাঁস করে দেয়। এরপর গেস্টাপো তাকে গ্রেফতারের জন্য বিশাল জাল ফেলে এবং একজন ফ্রেঞ্চ ডাবল এজেন্টকে ব্যবহার করে ১৯৪৩ সালের অক্টোবরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জার্মান সিক্রেট এজেন্টরা ইনটারোগেট করে কোন তথ্য বের করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু তার রুম সার্চ করে তার গোপন নথি খুঁজে পায়, যার সাহায্যে জার্মানরা তার নামে ফ্রেঞ্চ ইনটেলিজেন্সকে ফল্স ইনফর্মেশন পাঠানো শুরু করে।

কিন্তু আমাদের নুর তার কোড ভুল বলার কারণে ফ্রেঞ্চ ইনটেলিজেন্স জার্মানিদের চাল বুঝে যায়। তিনি ফ্রান্সে অবস্থিত জার্মান জেল থাকে দুইবার পালানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন। ভবিষতে পালাবেন না এই মর্মে কনফার্মেশন নিতে ব্যর্থ হয়ে ২৭ নভেম্বর তাকে "for safe custody" এর জন্য জার্মানীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী ১০ মাস হাজারবার টর্চার ও ইনটারোগেটের মুখোমুখি হলেও তিনি তার আসল নামটাও প্রকাশ করেন নি।

এ সময় তাকে ২৪ ঘন্টা হাতকরা পরিয়ে রাখা হতো। এমন কি প্রিজন সেলেও তাকে শিকলবদ্ধ করে রাখা হতো। জার্মান ইমটেলিজেন্স তাকে "highly dangerous" হিসাবে ক্লাসিফাই করে। জার্মানরা তাকে এতোটাই সতর্কতার সাথে জার্মানিতে পাঠায় যে ফ্রেঞ্চ ইনটেলিজেন্সের তালিকায় তার ফাইলের উপর "Nacht und Nebel" সিল দেওয়া হয়। ( "Nacht und Nebel" মানে হলো condemned to "Disappearance without Trace")।

যুদ্ধের পর জেলের ডাইরেক্টর বলেন, "Inayat Khan remained uncooperative and continued to refuse to give any information on her work or her fellow operatives."।

১১ সেপ্টেম্বার ১৯৪৪ সালে নুর ও সাথে আরও তিনজন SOE agent Yolande Beekman, Eliane Plewman ও Madeleine Damerment কে Karlsruhe prison থেকে Dachau Concentration Camp আনা হয়।

১৯৫৮ সালে ঐ ক্যাম্পের বেঁচে যাওয়া একজন প্রিজনার প্রকাশ করেন হত্যার আগে নুর এনায়েত খানকে একজন high-ranking SS officer, "Wilhelm Ruppert" (পরবর্তীতে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়) সারা রাত নির্মম ভাবে প্রহার করে।

সেখানে নির্জন সেলেপ্রচন্ড মানসিক এবং শারিরিক নির্যাতন এবং পরে বর্বরতম মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত সত্ত্বেওস্বাধীনতার অদম্য স্পৃহা তাকেঁ বিন্দুমাত্র ভেঙ্গে পড়তে দেয়নি। ১৯৪৪ সালে মৃত্যুদন্ডেরদুমাস আগেও আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে নিজের খাবার পাত্রে আচঁড় কেটে লিখে দেন ''ভিভ ল্য কাত্র জুইয়ে'...১৪ জুলাই দীর্ঘজীবি হোক। আর ১৪ জুলাই ফ্রান্সের ''বাস্তিল দিবসে'' লেখেন 'ভিভ ল্য ফ্রঁস লিব্রে' অর্থাত স্বাধীন ফ্রান্স দীর্ঘজীবি হোক। এ আচঁড় কাটাপাত্র অন্যান্য বন্দিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয় স্বাধীনতার উদ্দীপনা এবং এক সময় তা ছড়িয়েপড়ে পুরো ইউরোপে। সেপ্টেম্বর,১২, ১৯৪৪ সালে তাঁর উপর নেমে আসে নাতসী বর্বরতা। নাতসীরা এ বীর কন্যাকে যতই বুট দিয়ে আঘাত করছিলো ততবার নূরের কন্ঠ থেকে আগুনের মতো বের হচ্ছিল ''লিবার্তো'' বা স্বাধীনতা। এক সময় নাতসী নির্যাতনকারীরাতাঁকে মাথার খুব কাছে থেকে গুলি করে হত্যা করে।

১৩ সেপ্টেম্বার ১৯৪৪ সালে ভোরবেলা এই চারজন স্পাইকে মাথার পিছনে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর সাথে সাথে তাদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।

নুর পরে George Cross সম্মান পান। ১৯৪৯ সালে তিনি মরোনত্বর এই সম্মান পান। পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত মাত্র চারজন নারী এই সম্মান পেয়েছেন। তার সাথে Croix de Guerre, Mentioned in Dispatches সম্মান লাভ করেন।

এত অবদানের পরও ব্রিটিশরা তার কথা ভুলে যায়। অবশেষে ২০১২ সালে তার সম্মানে লন্ডন গর্ডন স্কয়ারে একটি আবক্ষ মূর্তি উম্মোচন করা হয়।

মৃত্যুর আগের মুহুর্তে তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন "লিবর্টি"।

১৯১৪ সালের ১ জানুযারি জন্ম নেওয়া এই সাহসী নারী মাত্র ৩০ বছরে মারা যান। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের বিখ্যাত সুলতান "টিপু সুলতান" এর বংশধর। আর তাই তো তার রক্তে এত সাহাস!

তৃতীয় পর্ব : বিশ্ব নারীর টুকরো খবর :

বছরের প্রথমদিনে পাঠ্যপুস্তক উত্সব

এবারো নতুন বছরের প্রথম দিনে ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ দিন বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক উত্সব দিবস পালন করবে। ওই দিন সকাল নয়টায় রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে দিবসের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ দিন শুক্রবার হলেও সারাদেশের শিক্ষার্থীদের বই বিতরণের জন্য স্কুল খোলা থাকবে। তবে ক্লাস হবে না।

এর আগে বছরের শুরুর দিন (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২ জানুয়ারি এই উত্সব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১ জানুয়ারিতেই এই উত্সব পালনের ঘোষণা দেয়। শেষ পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও আগের অবস্থান থেকে সরে এসে একই দিনে পাঠ্যপুস্তক উত্সবের ঘোষণা দিল।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ওই দিন সকাল ১০টায় রাজধানীর মিরপুর-২ এর ন্যাশনাল বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই উত্সব পালন করা হবে।

আগামী শিক্ষা বর্ষে প্রাক প্রাথমিকে ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৭৩ শিক্ষার্থীর জন্য ৬৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৪২ টি বই, প্রাথমিকের ২ কোটি ৪৫ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ১০ কোটি ৮৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৭ টি বই এবং মাধ্যমিকের ১ কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার ১৮ শিক্ষার্থীর জন্য ১৬ কোটি ৩০ লাখ ৪ হাজার ৩৭৩ টি বই বিতরণ করা হবে। সব মিলে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য বই ছাপা হচ্ছে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৬০টি।

সৌদি থেকে ৭ মাসে ১৫০ বাংলাদেশি গৃহকর্মী পালিয়েছে

সৌদি আরবে চাকরিদাতার কাছ থেকে অন্তত ১৫০ বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মী পালিয়ে গেছেন। তাদের সবাইকে আটকের পর দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার সৌদি গেজেটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবে যাওয়ার পর কেন গৃহকর্মীরা কাজ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন- এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাস বলছে, মূলত অতিরিক্ত কাজের চাপ, বাড়ির প্রতি অতিরিক্ত টান ও মালিকের দুর্ব্যবহারের কারণে গৃহকর্মীরা কাজ ছেড়ে দিচ্ছেন। কর্মী নিয়োগ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ খালেদ আল সাইফ জানিয়েছেন, দুই দেশের করা চুক্তিতে পাঁচ লাখ গৃহকর্মী পাঠানোর কথা থাকলেও বাংলাদেশ এত গৃহকর্মী পাঠায়নি। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার কর্মী পাঠিয়েছে যাদের মধ্যে ১৫০ জন চলে গেছে।

একবারেই একশ' রুটি সাবাড় (১৭ ডিসেম্বর,২০১৫)

সকালের নাস্তায় আপনি কয় টুকরো পারুটি খেতে পারেন। ৫ টুকরো, ১০ টুকরো নাকি ১৫ টুকরো? সাধারণভাবে কারো পক্ষে একসাথে ১০ টুকরোর বেশি রুটি খাওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। তবে জাপানি নারী, জনপ্রিয় ইউটিউবার ইউকা কিনোশিতা এক বসাতে সাবাড় করেছেন ১০০ টুকরো পারুটি। মাত্র ৬ মিনিটে ১০০ টুকরো রুটি খাওয়ার ঐ ভিডিওটি নিজের ভক্তদের জন্য ইউটিউবে আপলোডও করেছেন তিনি। খাওয়া শুরু করার পর তিনি এক নাগাড়ে শেষ করেন ৫০ টুকরো রুটি। ৫০ টুকরো খাওয়ার পর মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য বোধহয় একটু বিরতি দিয়েছিলেন চোয়ালকে। খেতে খেতে বলছিলেন, পুরোটা খাওয়ার পরই আমার চোয়াল ক্লান্ত হওয়ার কথা কিন্তু এখনই আমার চোয়াল ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে। অর্ধেক পথ পাড়ি দেয়ার পর কিনোশিতা চোয়াল ক্লান্ত হওয়ার কথা বললেও ঠিকই ১০০ টুকরো রুটি শেষ করেছেন। এক বসাতে এতোগুলো রুটি খাওয়া সম্পন্ন করতে পারায় জ্যাম ও মধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।-হাফিংটন পোস্ট

চতুর্থ পর্ব : সাম্প্রতিক : সেই নারী কূটনীতিককে প্রত্যাহার করলো পাকিস্তান

জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ

বাংলাদেশে জঙ্গি অর্থায়নে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠার পর এক নারী কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। জানা যায়, গতকাল বুধবার বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে পাকিস্তান হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ফারিনা আরশাদ ঢাকা ছেড়ে যান। এর দুই দিন আগে বাংলাদেশ সরকার অনানুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে বলেছিলো ওই নারী কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সন্দেহভাজন কয়েকজন জেএমবি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং ইদ্রিস শেখ নামে একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে ওই নারী কূটনীতিকের জঙ্গি যোগসাজশের তথ্য পাওয়ার দাবি করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপরই সরকারের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়। জেএসবি সদস্য ইদ্রিস শেখ গত ২৯ নভেম্বর আটক হন। এরপর ৬ ডিসেম্বর ঢাকার হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। জবানবন্দিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের ফারিনার সঙ্গে যোগাযোগ ও তার কাছ থেকে টাকা পাওয়ার তথ্য দেন ইদ্রিস। জবানবন্দিতে ইদ্রিস বলেন, তিনি ওই নারী কূটনীতিকের গাড়িতে করে বায়তুল মোকাররম থেকে ফকিরাপুল যান এবং তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেন। গত বছরের জুন ও জুলাইয়ে ফোনে কয়েক দফা ওই নারী কূটনীতিকের সঙ্গে কথাও বলেন ইদ্রিস। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী গত দুই বছরে প্রায় ৪৮ বার পাকিস্তানে যান ইদ্রিস।

যদিও ইদ্রিসের জবানবন্দির ভিত্তিতে ওই নারী কূটনীতিকের জঙ্গি সম্পৃক্ততার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর পাকিস্তান হাইকমিশন তার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

(মান্না)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040