Web bengali.cri.cn   
'সাহিত্য ও সংস্কৃতি'--১১২২
  2015-12-22 16:03:27  cri
সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠান 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি'। আর এ অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু ওয়াং ছুই ইয়াং জিনিয়া।

বন্ধুরা, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। এ অনুষ্ঠানে আপনারা বিভিন্ন ছোট গল্প, আধুনিক ও প্রাচীন কবিতা, সাহিত্যিকের জীবনী ও তাদের কর্ম, উপন্যাস, নাটক- এক কথায় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে শুরু করা যাক, আজকের 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক অনুষ্ঠান।

প্রথমেই আপনাদের জন্য রয়েছে দু'টি সাংস্কৃতিক খবর।

সম্প্রতি নেদারল্যান্ডস থেকে বেশ বিখ্যাত পেইন্টিং বা চিত্রকর্ম চুরি হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে সেই চিত্রকর্মটির খোঁজ পাওয়া যায় ইউক্রেনে। গত ৮ ডিসেম্বর এ ঘটনার তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাভলো ক্লিমকিন। তিনি বলেন, এ চুরির ঘটনা দেশের জাতীয় ইমেজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

নেদারল্যান্ডসের ওয়েস্ট ফ্রাইস মিউজিয়াম (west fries museum) এর আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। কর্তৃপক্ষ জানায়, ১০ বছর আগে চুরি হওয়া ১৭শ' শতাব্দীর ২৪টি বিখ্যাত চিত্রকর্ম গত জুলাই মাসে ইউক্রেনে খুঁজে পাওয়া যায়।

দুই ইউক্রেন নাগরিক কিয়েভে নেদারল্যান্ডসেরের দূতাবাসে গিয়ে বিখ্যাত ছবিগুলোর খোঁজ দেয়। তারপর এর জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে। কিন্তু হঠাত্‌ করেই ৫০ মিলিয়নের দাবি ৫ মিলিয়ন ইউরোতে নেমে যায়। ওয়েস্ট ফ্রাইস মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই ছবিগুলো ফেরত পাবার জন্য পাঁচ মিলিয়ন বা পঞ্চাশ লাখ ইউরোর দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাভলো ক্লিমকিন বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সঙ্গে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ নিজস্বভাবে যোগাযোগ করেছে যা ইউক্রেনের তদন্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় দু'দেশের সম্পর্কের ওপর অনেক প্রভাব পড়েছে। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং কিয়েভে নেদারল্যান্ডসেরের দূতাবাস এ তদন্তকাজ করছে।

বন্ধুরা, এবার আরেকটি খবর...।

উত্তর কোরিয়ার জাতীয় গায়ক দল এবং দ্যা মোরানবোং ব্যান্ড গত ৯ ডিসেম্বর চীনের লিয়াও নিং প্রদেশের তান তুং শহরে এক মনোমুগ্ধকর পারফর্মেন্স দেখিয়েছে।

তান তুং-এর পর তারা গত ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেইচিংয়ের ন্যাশনাল গ্র্যান্ড থিয়েটারে পারফর্মেন্স করেছে। তাদের পারফর্মেন্সের মধ্যে বেশ কয়েকটি চীনা গানও রয়েছে।

উত্তর কোরিয়ান পিপলস্‌ আর্মির বাদকদলের অংশ হলো এই জাতীয় গায়কদল। ১৯৯২ সালে (উনিশ বিরানব্বই) তাদের বিশেষ এক খেতাব দেওয়া হয়েছিল। এ গায়কদলে উত্তর কোরিয়ার জনপ্রিয় শিল্পীরা রয়েছেন। তাদের প্রতিনিধিত্বশীল গান হলো: চিং চেং রি জি কে, সিয়েন চুন কে মিং ছিয়েন ওয়ান লি ইত্যাদি। (金正日之歌,先军歌名千万里)

অন্যদিকে দ্য মোরানবোং ব্যান্ড (The moranbong band) হলো উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জন-উনের প্রস্তাবে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগীত দল। উত্তর কোরিয়ায় এ ব্যান্ডদল খুবই জনপ্রিয়। এবার তারা প্রথমবারের মতো চীনে পরিবেশনার আয়োজন করছে।

বন্ধুরা, এই ছিল সাংস্কৃতিক অঙ্গনের খবরে। এবার শুনুন হংকংয়ে অনুষ্ঠিত 'এশীয় সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ফোরাম' সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ।

গত ৭ ডিসেম্বর চীনের হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এশীয় সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ফোরাম। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের দায়িত্বশীল সাংস্কৃতিক কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। ফোরামের প্রতিপাদ্য ছিল, 'বিশ্ব কমিউনিটি: সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক বিকাশে স্থিতিশীল উদ্যোগ'। অংশগ্রহণকারীরা এ ফোরামে সাংস্কৃতিক উন্নয়নের নীতি ও ব্যবস্থা নিয়ে মতবিনিময় এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন।

হংকংয়ের বেসামরিক প্রশাসন বিষয়ক ব্যুরো ২০০৩ সালে এশীয় সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মাধ্যমে এশিয়ার দেশগুলোর সাংস্কৃতিক সহযোগিতা জোরদার করতে চায়।

চীনের সংস্কৃতিমন্ত্রী লুও সু কাং ফোরামে বলেছেন,

"সামাজিক শক্তি দিয়ে সংস্কৃতির আরো সমৃদ্ধ উন্নয়ন করতে হবে। চীনের অভ্যন্তরে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং ব্যক্তিসহ বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক কাজে অংশ নেয়।"

হংকংয়ের বেসামরিক প্রশাসন বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক লিউ চিয়াং হুয়া জানান, এশিয়ার একটি আন্তর্জাতিক শহর হিসেবে, হংকংয়ে পূর্ব ও পশ্চিমা সংস্কৃতির মিলন হয়েছে। হংকংয়ের নাগরিকরা অন্য অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে শুধু ব্যবসা করে- ধীরে ধীরে এ ধারণার পরিবর্তন হচ্ছে। আসলে হংকংয়ে প্রতি বছর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ইভেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি হংকং হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পকর্মের বাজার। বর্তমানে 'এক পথ, এক অঞ্চল' উদ্যোগের ভিত্তিতে সাংস্কৃতিক, একাডেমিক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে হংকং।

প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমৎকার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।

চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।

শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান (জিনিয়া/তৌহিদ)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040