Web bengali.cri.cn   
নারীকণ্ঠ
  2015-12-20 16:36:44  cri

প্রথম পর্ব : প্রধান প্রতিবেদন : এশিয়ায় বাড়ছে কোটিপতি নারী

গত দু'দশকে বিশ্বে নারী কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। মূলত এশীয় শিল্পোদ্যোগীদের হাত ধরেই ১৯৯৫ সালের ২২ জন থেকে ২০১৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪৫ জন। সম্প্রতি ইউবিএস ব্যাঙ্ক এবং পিডব্লিউসি-র যৌথ সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

একই সময়ে যেখানে পুরুষ কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫.২ গুণ, সেখানেই নারীদের ক্ষেত্রে তা প্রায় ৬.৬ গুণ। আর এশিয়ার ক্ষেত্রে এই অঙ্ক বেড়েছে ৮ গুণ। ৩ জন নারী কোটিপতি থেকে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে।

সমীক্ষা অনুসারে, উচ্চশিক্ষার আশায় ইউরোপ বা আমেরিকা পাড়ি দিলেও, কাজের ক্ষেত্রে এশিয়ার বেশির ভাগ নারী কোটিপতিই বেছে নিয়েছেন নিজের দেশকে।

এঁদের মধ্যে অনেকেই কর্পোরেট সংস্থার প্রধান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। যা তাঁদের আগের প্রজন্মের কেউ পারেননি।

অন্যদিকে,ইউরোপ এবং আমেরিকার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে উল্টো ছবি। সেখানকার নারী কোটিপতিদের বেশিরভাগই আবার পৈতৃক সূত্রে সম্পত্তি পেয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজের ব্যবসা তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়।

দ্বিতীয় পর্ব : আলোকিত নারী : চীনের নারীনেত্রী 'সুং ছিং লিং'

মহিয়ষী নারী সুং ছিং লিং(১৮৯৩ সাল-১৯৮১ সাল)একাধারে একজন রাজনীতিবিদ,সমাজকর্মী এবং চীনের প্রধান শীর্ষনেতাদের অন্যতম। তিনি ১৮৯৩ সাল চীনের কুওয়াংতুং প্রদেশের ওয়েন চাং অঞ্চলে (বর্তমানে এই অঞ্চল হাই নান প্রদেশের অন্তর্ভূক্ত) জন্মগ্রহণ করেন।

১৯১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি নারী বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯১৫ সালে সুন ইয়াত সানের সাথে তাঁর বিয়ে হয়। ১৯২৫ সালে তার স্বামী সুন চুং সান মারা যান। এর পর থেকে তিনি রাজনীতিতে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠেন। সেই সময় থেকে রাশিয়ার কমিউনিষ্ট পার্টিকে সংযুক্ত করা এবং শ্রমিক ও কৃষিদের সাহায্য করার নীতিতে অবিচল থাকেন সুং ছিয়েং লিং।

১৯২৭ সাল থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত তিনি আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী পার্টির অনারারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বিশ্বের ফ্যাসিবাদবিরোধী কমিটির প্রধান নেতাদের অন্যতম বিবেচিত হন। ১৯৩১ সালে সুং ছিয়েং লিং স্বদেশে ফিরে আসার পর সমাজকল্যাণের কাজে মনোনিবেশ করেন। জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ করার অভিযানে অংশ নেন।

এ সময় সুং ছিং লিং কুওমিন্টাং পার্টির জাপানের সাথে আপোস করা এবং নিজের দেশের জনগণকে অত্যাচারিত করার নীতিকে তীব্র নিন্দা জানান। ১৯৩২ সালের শেষ দিকে তিনি 'চীনের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চয়তা মিত্র' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠান পরবর্তিতে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্যে বিপ্লব করে। ১৯৩৩ সালে তিনি চীনস্থ দূর প্রাচ্য সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ও যুদ্ধ বিরোধী মিত্রের শাখার চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। চীনের জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ যুদ্ধের পর তিনি হংকংয়ে 'চীন রক্ষা করার মিত্র' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন এবং জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ যুদ্ধের সময় অনেক ওষুধ ও সরঞ্জান সংগ্রহ করে চীনা জনগণকে সহযোগীতা করেন।

জাপানী আগ্রাসন প্রতিরোধ যুদ্ধে ১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বরে চীন জয়লাভ করার পর সুং ছিং লিং 'চীনের কল্যাণ তহবিল' প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময় নারী ও শিশুদের কল্যাণে ব্যাপক কাজ করেন তিনি। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর তিনি চীনের কেন্দ্রীয় গণসরকারের ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার পরে যথাক্রমে চীনের ভাইস-চেয়ারম্যান,জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস-পরিচালক,চীনা নারী ফেডারেশনের অনারারী চেয়ারম্যান এবং চীনের শিশু রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান পদে গ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনে তিনি ভাষণ দেন এবং বিশ্ব শান্তি কাউন্সিল অধিবেশনের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫১ সালে তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি জোরদার করার জন্য স্ট্যালিন পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরিয় অঞ্চলের শান্তি বিষয়ক যোগাযোগ কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

চীনের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সুং ছিং লিং ১৯৮১ সালে ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

তৃতীয় পর্ব : বিশ্ব নারীর টুকরো খবর :

শ্রোতাবন্ধুরা, টুকরো খবর বিভাগে প্রথমেই আলোচনা করবো চীনের একটি খবর নিয়ে...।

চীনের নারী চিকিত্সাবিদ ২০১৫ সালের নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করলেন

চিকিত্সা বিজ্ঞানে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করলেন চীনের নারী চিকিত্সাবিদ থু ইয়ো ইয়ো। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে নোবেল একাডেমী আয়োজিত এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। এ বছর চীনা চিকিত্সা থু ইয়ো ইয়ো, জাপানী চিকিত্সা ছাততোছি ওমারা ও উইলিয়াম ক্যাম্পবেল যৌথভাবে এ পুরস্কার পান।

অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান কার্ল-হেনরিক হেলডিন সুইডেনে নোবেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য সকল বিজয়ীদের স্বাগত জানান।

চিকিত্সা ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার বিষয়ক নির্বাচন কমিটির প্রতিনিধি পৃথক পৃথকভাবে পুরস্কার বিজয়ী থু ইয়ো ইয়ো এবং অন্য দু'জন বিজ্ঞানীর সাফল্য ব্যাখা করেন। এরপর সুইডেনের রাজা ষোড়শ কার্ল গুস্টাফ ইয়ো ইয়োর হাতে নোবেল পুরস্কারের প্রশংসাপত্র, পদক ও অর্থের চেক তুলে দেন।

২০১৫ সালে চিকিত্সা ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কারের টাকার মোট পরিমান ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা যা প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের সমান। এই অর্থের মধ্যে থু ইয়ো ইয়ো অর্ধেক পাবেন এবং অন্য দু'জন বিজ্ঞানী বাকী অর্থ ভাগ করে নেন।

যারা ধর্ষণ করে লজ্জা তাদের : জ্যোতির মা (১৬ ডিসেম্বর,২০১৫)

দিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ ও হত্যার তিন বছর পূর্তি হয়েছে আজ। ঘটনার শিকার ২৩ বছর বয়সী ওই ছাত্রী এতদিন 'নির্ভয়া' নামেই পরিচিতি পেয়েছে। বুধবার তার মা বলেন,আমার মেয়ের নাম জ্যোতি সিং। সেই সঙ্গে জানালেন, মেয়ের নাম প্রকাশ করা নিয়ে মোটেই লজ্জিত নন তিনি। যারা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করেন তাদের লজ্জা পাওয়া উচিৎ।

জ্যোতির মা আরো বলেন, তিনি বুঝতে পারেন না নির্যাতিতার নাম গোপন রাখার পেছনে কী যুক্তি থাকতে পারে। ভারতের বিভিন্ন নারী ও নাগরিক সংগঠন ১৬ ডিসেম্বরকে 'নির্ভয়া চেতনা দিবস' হিসেবে পালন করে আসছে। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে দিবসটি পালন করছেন তারা।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ দিল্লিতে একটি চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন জ্যোতি সিং। ছয়জন ধর্ষক যাদের মধ্যে আবার একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ধর্ষণ শেষে তাকে ও তার সঙ্গের ছেলে বন্ধুটিকে রড দিয়ে পিটিয়ে চলন্ত বাস থেকেই ফেলে দেয়। এতে মারা যায় মেয়েটি। এই ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতের বিভিন্ন শহরে। সূত্র: এনডিটিভি

নারীদের ভয় পায় আইএস : জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) বর্বরতা আদিমতাকেও হার মানিয়েছে। তাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যের ছবি দেখতেও ভয় পান অনেকে। অথচ সেই আইএস সদস্যরাই নারীদের ভয় পায়!

এমনটাই মনে করছেন সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইরত কুর্দি নারী যোদ্ধারা। ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। কুর্দিস পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটের নারী শাখাটি তিন বছর আগে গঠিত হয়। শাখাটি প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক সেনা নিয়ে গঠিত।

কুর্দি নারী যোদ্ধাদের অন্যতম কমান্ডার ২১ বছর বয়সী তেলহেলদেন। তিনি সিএনএনকে বলেছেন,আইএস ভাবে তারা ইসলামের নামে যুদ্ধ করছে। তাদের বিশ্বাস,আইএসের কেউ যদি একজন নারী,একজন কুর্দি নারীর হাতে নিহত হন,তাহলে তারা বেহেশতে যেতে পারবে না। তারা নারীদের ভয় পায়।

সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আল-হাসাকা প্রদেশের সমরক্ষেত্র থেকে এসব কথা বলছিলেন তেলহেলদেন। ওই প্রদেশের আল-হউল থেকে সমপ্রতি আইএসকে বিতাড়িত করেছেন তেলহেলদেন ও তাঁর নারী যোদ্ধারা। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে কুর্দি নারী যোদ্ধা।

ট্রাম্পের সমালোচনায় মালালা (১৬ ডিসেম্বর,২০১৫)

সবচেয়ে কম বয়সে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন। মালালা, ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে ঘৃণায় পরিপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন যে এই মন্তব্য জঙ্গিদের আরো মৌলবাদী করে তুলবে।

পাকিস্তানে গত বছর ১৬ ডিসেম্বরে তালেবানের হামলায় ১৪০ জন নিহত হয়। সেই দিনের স্মরণে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে এক অনুষ্ঠানে মালালা ট্রাম্পের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, এমন ঘৃণায় পরিপূর্ণ বক্তব্য শোনাটা খুবই দু:খজনক। যদি আপনার সন্ত্রাসবাদকে বন্ধ করতে চান তাহলে সব মুসলিমদের দোষ দেবেন না, কারণ এটা সন্ত্রাসীদের আটকাতে পারবে না। বিবিসি।

একবারেই একশ' রুটি সাবাড় (১৭ ডিসেম্বর,২০১৫)

সকালের নাস্তায় আপনি কয় টুকরো পারুটি খেতে পারেন। ৫ টুকরো, ১০ টুকরো নাকি ১৫ টুকরো? সাধারণভাবে কারো পক্ষে একসাথে ১০ টুকরোর বেশি রুটি খাওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। তবে জাপানি নারী, জনপ্রিয় ইউটিউবার ইউকা কিনোশিতা এক বসাতে সাবাড় করেছেন ১০০ টুকরো পারুটি। মাত্র ৬ মিনিটে ১০০ টুকরো রুটি খাওয়ার ঐ ভিডিওটি নিজের ভক্তদের জন্য ইউটিউবে আপলোডও করেছেন তিনি। খাওয়া শুরু করার পর তিনি এক নাগাড়ে শেষ করেন ৫০ টুকরো রুটি। ৫০ টুকরো খাওয়ার পর মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য বোধহয় একটু বিরতি দিয়েছিলেন চোয়ালকে। খেতে খেতে বলছিলেন, পুরোটা খাওয়ার পরই আমার চোয়াল ক্লান্ত হওয়ার কথা কিন্তু এখনই আমার চোয়াল ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে। অর্ধেক পথ পাড়ি দেয়ার পর কিনোশিতা চোয়াল ক্লান্ত হওয়ার কথা বললেও ঠিকই ১০০ টুকরো রুটি শেষ করেছেন। এক বসাতে এতোগুলো রুটি খাওয়া সম্পন্ন করতে পারায় জ্যাম ও মধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।-হাফিংটন পোস্ট

চতুর্থ পর্ব : সাম্প্রতিক : সৌদি নির্বাচনে ১৭ নারীর জয় (১৪ ডিসেম্বর,২০১৫)

সৌদি আরবের জনগণ মিউনিসিপালিটি নির্বাচনে ভোট দিয়ে ১৭ নারীকে নির্বাচিত করেছে। নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণের উপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর এই প্রথম সৌদি নারীরা কোনো নির্বাচনে ভাট দেওয়া ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়েছে।

শনিবার এ ভোট গ্রহণের পর রোববার পৌরসভার আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হয়। সরকার সমর্থিত একটি নিউজ সাইটে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট এসএবিকিউ ডট ওআরজি নামের ওই নিউজ সাইটে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১৭ জন নারী নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলের কিছু অংশ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সৌদি প্রেস এজেন্সিতে প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে নির্বাচনে চারজন নারী জয়ী হওয়ার খবর রয়েছে। এদিকে লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে কমপক্ষে ২০ জন নারী এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।

এ নির্বাচনকে বাদশাহ শাসিত রক্ষণশীল দেশটির জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার অনুমতি মিললেও সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর ‍উপর নিষেধাজ্ঞাসহ আরো বহু ধরনের নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে। প্রচারণা চালানোর সময় নারী প্রার্থীদের সরাসরি পুরুষ ভোটারদের ভোট চাওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা মোট ৬,৯১৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫,৯৩৮ জন পুরুষ প্রার্থী এবং ৯৭৮ জন নারী প্রার্থী ছিলেন।

নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য এক লাখ ৩০ হাজার নারী ও ১৩ লাখ ৫০ হাজার পুরুষ নাম লিপিবদ্ধ করেছিলেন। নির্বাচনে বিপুল ভোট পড়েছে। সৌদি আরবে নির্বাচন একটি বিরল ঘটনা। শনিবারের নির্বাচনে মাত্র তৃতীয়বারের মতো দেশটির নাগরিকরা ভোট দিতে গেলেন। ১৯৬৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরে দেশটিতে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। রয়টার্স ও এলএ টাইমস।

(মান্না)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040