

1010muktarkotha
|
বন্ধুরা, গত শতাব্দের ৫০-এর দশকে চীনের পশ্চিমাঞ্চলের মরুভূমিতে একটি বিশাল তেলক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়। এ তেলক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে একটি নতুন শিল্পশহর কারামে (Karamay)। গত ৬০ বছর ধরেই গড়ে উঠেছে এ শহর। সাম্প্রতিকালে কারামে শহরে নতুন শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
চীনে কারামে'কে 'পশ্চিমাঞ্চলের মুক্তা' বলে ডাকা হয়। আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমি আপনাদেরকে এ নতুন তেলশহর সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানাবো।
(রে ১, কারামাই'র সংগীত)
প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে এ গানটির মাধ্যমে গোটা চীনে কারামে শহরের পরিচিতি তুলে ধরা হয়। উইগুর ভাষায় 'কারামে' অর্থ 'কালো তেল'। গত শতাব্দের পঞ্চাশের দশকে যখন প্রথম এখানে তেল আবিষ্কৃত হয়, তখন এখানে কোনো ঘাস, পানি, এমনকি পাখিও ছিল না। তেল উত্তোলক চাং ইয়ংছিং তখনকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন,
(রে ২)
'কারামের আগের পরিস্থিতি ছিল বর্ণনাতীত। তখন গোটা এলাকাটি ছিল মরুভূমি; যেদিকে দু'চোখ যায়, শুধু বালি আর বালি।'
এত কঠিন পরিবেশেও তেল উত্তোলক কর্মীরা নির্ভয়ে কাজ করেছেন। ১৯৫৫ সালে প্রথম তেলক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। তখন থেকেই প্রতি বছর কারামে থেকে গড়ে এক কোটি টনেরও বেশি তেল এবং ৩০০ কোটি বর্গমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উত্পন্ন হতে থাকে। এই তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে কারামে শহর। শহরের মেয়র ও কমিউনিস্ট পার্টির উপ-সম্পাদক চাং হংইয়ান মনে করেন, বিগত ৬০ বছরে কারামে গড়ে উঠেছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে। তিনি বলেন,
(রে ৩)
'কারামের সংস্কৃতি তেলের সাথে সম্পৃক্ত। এ সংস্কৃতি হচ্ছে তেল উত্তোলন ও সরবরাহের সংস্কৃতি।'
তেলকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কারামে শহর ক্রমাগত টেকসই উন্নয়নের পথ ধরে এগিয়ে গেছে। ১৯৯৩ সালে কারামে শহরের তেলক্ষেত্রকে ডিজিটাইজ করা প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০০৯ সালে কারামে শহরের তেলক্ষেত্রকে আরও স্মার্ট করার কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়। তার পরের কয়েক বছরে কারামে তেলক্ষেত্র ডিজিটাল থেকে স্মার্টারে রূপান্তরিত হয়। সিনচিয়াং তেল কোম্পানির উপাত্ত কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজার লিউ ছিংহুই বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি থেকে স্মার্টার পদ্ধতিতে রূপান্তর ছিল একটি প্রযুক্তিগত সংস্কার। তেলশিল্পের ঐতিহ্যবাহী উত্পাদন ও পরিচালনা পদ্ধতি পরিবর্তন করার মাধ্যমে তেলক্ষেত্রের উত্পাদনক্ষমতা বেড়েছে, বেড়েছে কার্যকারিতা। তিনি বলেন,
(রে ৪)
'তেলক্ষেত্রকে ডিজিটাল করার মাধ্যমে আমাদের দুই পা ও দুই হাত মুক্ত হয়। তখন থেকে আমরা অফিসে বসেই গোটা উত্পাদন-ব্যবস্থা পরিচালনা করতে শুরু করি। তবে তেল উত্পাদন-ব্যবস্থাকে 'স্মার্টার' করার মাধ্যমে আমরা আমাদের মাথার কিছু অংশকেও মুক্ত করি। এতে তেলক্ষেত্রের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তও গ্রহণ করতে পারে। এতে আর্থনীতিক দিক দিয়েও আমরা অধিক লাভবান হচ্ছি।'
তেলক্ষেত্রের আধুনিকায়ন একটি স্মার্ট শহরের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। এখন কারামেতে শুধু একটি মোবাইলের মাধ্যমে একজন বাস, হাসপাতাল ইত্যাদি সম্পর্কে যে-কোনো প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন। চায়না মোবাইল কোম্পানির কারামে শাখার অতিথি ডেপুটি ম্যানেজার চাং চি বললেন,
(রে ৫)
'তিন-চার বছর আগে কারামে সরকার এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, শুধু তেলক্ষেত্রের উন্নয়ন যথেষ্ট নয়। সে থেকে আমরা এখানকার তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন ও ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নেও কাজ করতে থাকি। স্মার্টার শহর হওয়ায় এখানে বিনিয়োগ বাড়ছে। আমাদের নিজস্ব শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোও এতে আরও উন্নত হচ্ছে।'
কারামের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নেও সমান দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে কারামে 'চীনের সভ্য শহর', 'জাতীয় পরিবেশবান্ধব আদর্শ শহর', 'জাতীয় স্বাস্থ্য শহর', 'জাতীয় উদ্যান শহর', 'চীনের উত্কৃষ্ট শহর' ইত্যাদি বিভিন্ন স্বীকৃতি পেয়েছে। এখানকার অধিবাসীরা নগরজীবনের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। তারা একটি সুখী জীবন যাপন করছেন। শহরের একজন নাগরিক এ সম্পর্কে বললেন,
(রে ৬)
'কারেমেতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। আমি এখন রাতে সুন্দর স্বপ্ন দেখে সকালে ঘুম থেকে জেড়ে উঠতে পারি। কখনও ভাবিনি, এমন সুন্দর ও সমৃদ্ধ জীবন হবে আমার।'
গান
আচ্ছা বন্ধুরা, আপনারা শুনছিলেন তেলশহর কারামের ওপর একটি প্রতিবেদন। এখন আপনাদের চিঠিপত্রের উত্তর দেওয়ার পালা।
বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার মোঃ উজ্জল হোসেন তার ইমেলে লিখেছেন, সুপ্রিয় মুক্তা আপু, কেমন আছেন। শুরুতে জানাই একগুচ্ছ রজনীগন্ধার ভালবাসা। ভালবাসা দিয়ে জয় করা যায় সমগ্র পৃথিবী। আপনি এমনিভাবেই আমাদের মন জয় করেছেন। আমি সবচেয়ে বেশি ভালবাসি মুক্তা আপুকে। ভাল লাগে তার মুখের বাংলা কথা। আমি ভালবাসি CRI এর বাংলা অনুষ্ঠান।
আচ্ছা, বন্ধু মোঃ উজ্জল হোসেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরাও আমাদের শ্রোতাদের অনেক ভালবাসি। আশা করি আপনি নিয়মিত আমাদের লিখবেন।
রংপুর জেলার শ্রী ধনোপতি সরকার তার ই-মেলে লিখেছেন, আমি বিনা খরচে চীন ভ্রমণ করতে চাই। সে জন্যে আমাকে কী করতে হবে? মুক্তা আপু চীনের সবচেয়ে বড় নদী ও পাহারের নাম কী? চীন কত সালে স্বাধীনতা লাভ করে? চীনে কোন সাল থেকে 'এক সন্তান নীতি' চালু হয়? আশা করি এসব প্রশ্নের উত্তর পাবো।
পরিশেষে বলছি, cri এর বাংলা অনুষ্ঠান আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। এত সুন্দর অনুষ্ঠান শ্রোতাদের উপহার দেওয়ার জন্য cri এর বাংলা বিভাগের কৃর্তপক্ষকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
বন্ধু ধনোপতি সরকার, আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি বিনা খরচে চীন ভ্রমণ করতে চান। কীভাবে সেটা সম্ভব তা আমার পক্ষে বলা কঠিন। তবে, চীন আন্তর্জাতিক বেতার কখনও কখনও তার শ্রেষ্ঠ শ্রোতাদের মধ্য থেকে বাছাই করা এক বা একাধিক শ্রোতাকে বিনা খরচে চীন ভ্রমণে সুযোগ দিয়ে থাকে। আশা করি আপনি কোনো একসময় আমাদের শ্রেষ্ঠ শ্রোতা হিসেবে চীন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
আর আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলছি: চীনের সবচেয়ে লম্বা নদী হল ছাংচিয়াং নদী। ইংরেজিতে একেই ডাকা হয় ইয়াংজি নদী। কিন্তু আসলে ইয়াংজি নদী হল ছাংচিয়াং নদীর একটি অংশ। ছাংচিয়াং নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৬৩৮০ কিলোমিটার এবং এটি বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম নদী। চীন প্রাচীন কাল থেকেই একটি স্বাধীন দেশ। আর ১৯৭৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে চীনে এক সন্তান নীতি চালু হয়। কিন্তু সম্প্রতি এই নীতি অনেকটা শিথিল করেছে চীনা সরকার। কিছু নির্দিষ্ট শর্তে আজকাল দু'টি সন্তান গ্রহণ করা যায়। আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের একজন ছোট শ্রোতা পাবনা জেলার পাছশুয়াইল রেডিও শ্রোতা ক্লাবের হাবিবা আক্তার তাবাসসুম নিজের কন্ঠে একটি কবিতা রেকর্ড করে পাঠিয়েছে। আমরা তার কন্ঠে কবিতা শুনবো।
….
আচ্ছা, আমরা হাবিবা আক্তার তাবাসসুমকে ধন্যবাদ জানাই। সে খুবই সুন্দর কবিতা পড়েছে।
বাংলাদেশের পাবনা জেলার পাছশুয়াইল রেডিও শ্রোতা ক্লাবের ডা এস এম এ হান্নান তার ইমেলে লিখেছেন, মুক্তা আপু শুভেচ্ছা নিবেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমরাও ভাল আছি। ব্যস্ততার কারণে খুব একটা লিখতে পারছি না। তবে অনুষ্ঠান শুনছি। টুটুল ভাইয়ের উপস্থাপনা চমৎকার লাগছে। মুক্তার কথায় নতুন নতুন শ্রোতাবন্ধুদের মতামত ভাল লাগছে। ইন্টারনেটে চীনের অন্যতম সুন্দর মনোরম ঐতিহাসিক ও জনবহুল শহরগুলো সম্পর্কে জানছি। আপনাদের ধন্যবাদ।
বন্ধু এস এম এ হান্নান, আপনাকে সুন্দর ইমেল লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। টুটুল ভাইকে আপনার প্রশংসার কথা জানিয়ে দিয়েছি।
বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার সি আর আই ফ্রেন্ডস ক্লাবের কানন রানী টিকাদার তার ই-মেলে লিখেছেন, নমস্কার, আশা করি খুব ভালো আছেন। সি আর আই বাংলা অনুষ্ঠানের সুরের ধারা পর্বটি আমার খুব প্রিয়, বিশেষ করে চীনা শিল্পীদের কন্ঠে গানগুলি আমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় লাগে। আমি চায়নার লোকজ গানগুলি শুনতে চাই। আমার অনুরোধ কর্তৃপক্ষের নিকট পৌছে দিবেন। আপনাদের খুবই আকর্ষণীয় ও তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট নিয়মিত না-হলেও, মাঝে মাঝে দেখি ও পড়ি। আমার খুব ভালো লাগে। 'মুক্তার কথা' আসরে নারী শ্রোতাদের প্রাধান্য দিতে অনুরোধ করছি।
বন্ধু কানন রানী টিকাদার, আপনাকে ধন্যবাদ। সুরের ধারা আপনার ভালো লাগে জেনে খুশী হলাম। সুরের ধারায় চীনের লোকজ গান শোনানো হয়। পাশাপাশি অন্যান্য গানও শোনানো হয়। কারণ, সকল শ্রোতার পছন্দ-অপছন্দকে আমাদের মূল্য দিতে হয়। আর নারী শ্রোতারা সবসময়ই মুক্তার কথা অনুষ্ঠানে বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকে। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার জয়পুরহাট আন্তর্জাতিক রেডিও ক্লাবের সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান ইসলাম মাদু তার ই-মেলে লিখেছেন, শুরুতেই শুভেচ্ছা। সেই ছোট বেলা থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছি। মনে আছে সেই কথা। বাবা আর আমি একসঙ্গে অনুষ্ঠান শুনতাম। তখন গ্রামের অনেকেই বাবার রেডিওতেই সিআরআই-এর অনুষ্ঠান শুনতো। বাবা রাস্তায় বসে উচ্চ ভলিউমে রেডিও শুনতেন। গ্রামের মানুষ এসে তার সঙ্গে যোগ দিতেন। এখন সেসবই স্মৃতি।
বন্ধু মোঃ নুরুজ্জামান ইসলাম মাদু, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। হ্যা, আপনি ঠিকই বলেছেন, একসময় ঘরে ঘরে রেডিও ছিল না। একজনের একটি রেডিও ছিল অনেকের বিনোদনের মাধ্যম। আজকাল পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে। এখন তো গ্রামে গ্রামে রঙিন টেলিভিশন পর্যন্ত আছে। আর রেডিও এখন আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় সহজলভ্য। ভালো থাকবেন। আপনার বাবার জন্য রইল আমাদের শ্রদ্ধা আর ভালবাসা।
বাংলাদেশের ঢাকার বিধান চন্দ্র টিকাদার তার ই-মেলে লিখেছেন, চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনালের বাংলা বিভাগের সকল কলাকুশলী ও শ্রোতাদের জানাচ্ছি আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা। প্রতিদিন চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল এর বাংলা অনুষ্ঠান খুব মন দিয়ে শুনি, প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান খুব ভালো লাগে। আর ভালো লাগে বলেই আজো আছি চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল এর সাথে। আমি একা নই আমার ঢাকার বাসায় আমার সাথে আরো যারা থাকে তারাও আমার সাথে এই অনুষ্ঠান শুনে শুনে চায়না রেডি ইন্টারন্যাশনাল এর ভক্ত হয়ে গেছে। তাদেরকেও আমি মুক্তার কথা আসরে চিঠি লিখতে উত্সাহিত করেছি। হয়তো তাদের কাছ থেকেও চিঠি পাবেন। মুক্তার কথা আসরে যদি আরো বেশি বেশি শ্রোতার চিঠি তুলে ধরা হয় তাহলে ভালো হয়।
আচ্ছা, বন্ধু বিধান চন্দ্র টিকাদার, আপনাকে ইমেল লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা সবসময়ই চাই অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের চিঠিগুলোকে সবচে গুরুত্ব দিতে। তবে, বিভিন্ন কারণে সবার চিঠি পড়া সম্ভব হয় না। তবে, আপনার পরামর্শ আমাদের মনে থাকবে। আর আপনার পরিবারের বাকি সদস্যদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম। তাদেরকে আগাম ধন্যবাদ।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দেবাশীষ গোপ তার ইমেলে লিখেছেন, ....
আচ্ছা বন্ধু দেবাশীষ গোপ, আপনাকে নিয়মিত আমাদের মতামত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমি আপনার প্রশংসা ও প্রস্তাবনার কথা মান্নাকে জানিয়েছি। আপনাদের উত্সাহ ও গঠনমূলক মতামত আমাদেরকে আরও সুন্দর অনুষ্ঠান তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। তাই নিয়মিত আমাদের লিখুন, প্রশংসা করুন, সমালোচনা করুন। ধন্যবাদ।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও আনন্দ পেয়ে থাকেন, তাহলে মনে করবো আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আপনাদের জন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ও আয়োজন। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং শুনতে থাকুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। আমাদের সঙ্গে থাকুন, আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন আর আপনার যে-কোনো মতামত বা প্রশ্ন পাঠিয়ে দিন চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে।
আমাদের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn এবং আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা হল caiyue@cri.com.cn। 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ইমেইল আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততোক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। (ছাই/আলিম)




