আজ (শনিবার) চীন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক একাডেমি এবং চীন আন্তর্জাতিক গবেষণা বিষয়ক তহবিলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও চীনের কূটনীতি বিষয়ক আলোচনাসভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক ভাষণে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভাষণে ওয়াং ই বলেন, ২০১৫ সাল হলো মানবজাতির ইতিহাসের অতীতকে অনুসরণ করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বর্ষ। এ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানাভাবে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধজয়ের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে এবং শান্তি ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত সৃষ্টির জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালাতে একমত হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে কেন্দ্র করে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে চীনে সুষ্ঠুভাবে ত্রয়োদশ পাঁচসালা পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে এবং ২০২০ সালের মধ্যে সার্বিকভাবে সম্প্রীতিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা করার প্রতিজ্ঞা জুগিয়েছে।
ওয়াং ই আরও বলেন, ২০১৫ সালে চীন কূটনীতির ক্ষেত্রেও ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। এক দিকে আন্তর্জাতিক সমাজে চীনের প্রভাব সার্বিকভাবে উন্নীত হয়েছে। অন্য দিকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র, চীন-রাশিয়া, চীন-ইউরোপসহ বিভিন্ন প্রধান প্রধান দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরও গভীরতর হয়েছে।
২০১৬ সালের চীনের কূটনীতি বিষয়ক নীতিমালা সম্পর্কে ওয়াং ই বলেন, ২০১৬ সালে চীন অব্যাহতভাবে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীনের বৈশিষ্ট্যময় কূটনৈতিক চিন্তাধারা পালন করে যাবে এবং চীনের সম্প্রীতিময় সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের জন্য নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করবে। (ওয়াং তান হোং/টুটুল)