এদিকে আঙ্কারায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইইপ এরদোগান বলেছেন, ইরাকে মোতায়েন করা সেনাবাহিনী সরিয়ে নেবে না তুরস্ক।
ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ইরাক জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ঐক্যবদ্ধ অবস্থান প্রতিষ্ঠা করার দাবি করে তুরস্কের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে দেশটি। একই সঙ্গে ইরাক দাবি করেছে আরব লীগ মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনের আয়োজন করে ইরাক ভূখন্ডে তুরস্কের অনুপ্রবেশ করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।
এদিন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান তুরস্কে সফররত বসনিয়া হারজেগবিনিয়ার প্রেসিডেন্ট ড্রাগান কোভিকের সঙ্গে বৈঠক শেষ আয়োজিত এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, মসুল প্রদেশে তুর্কি বাহিনী প্রশিক্ষণ দিতে গেছে। তারা যোদ্ধা নয়। তাদের প্রত্যাহার করা হবে না।
তিনি আরো বলেন, মসুল প্রাদেশিক গভর্নরের আমন্ত্রণে তুর্কি বাহিনী ইরাকে গেছে। তাছাড়া গত বছর থেকেই কুর্দি এলাকার সরকারি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তুর্কি বাহিনী।
উল্লখ্য, সম্প্রতি ব্যাটালিয়ন আকারে তুরস্কের সৈন্যবাহিনীর একটি দল ইরাকে প্রবেশ করে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ মসুলে মোতায়েন রয়েছে। অনুমদি না নিয়ে সেদেশে প্রবেশ করা তুর্কি বাহিনীকে সরিয়ে নিতে অনেক বার আহ্বান জানিয়েছে ইরাক সরকার। তবে তুরস্ক বার বার বলছে তারা এই বাহিনী প্রত্যাহার করবে না। (তুহিনা/মান্না)