20151210ruby.m4a
|
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষের কাছ থেকে যে বিষয়গুলো শিখে একজন নারী তাঁর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন, সেগুলো হলো,
পুরুষরা জীবনের সঠিক লক্ষ্য স্থির করে
পুরুষরা নিজেদের জীবনের লক্ষ্য স্থির করে এবং সেদিকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যায়। এক্ষেত্রে তার দৃঢ় মনোবল থাকে। নারীরা এ বিষয়টি পুরুষদের কাছ থেকে শিখতে পারে।
যুক্তি অনুসরণ করেন পুরুষরা
জীবনের সবকিছুর পেছনেই যুক্তি রয়েছে—এ কথাটা একজন পুরুষ যত সহজে অনুধাবন করেন, নারীরা ততটা করেন না। তাই পুরুষরা সিদ্ধান্ত নেন যুক্তির ওপর নির্ভর করে, আবেগের ওপর নয়। পুরুষের এ গুণটি নারীরা আয়ত্ত করতে পারলে তাদের জীবনের অনেক সমস্যাই সমাধান হবে অনেক দ্রুত সময়ে।
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
পুরুষের কাছে রয়েছে যে কোনো সমস্যা সমাধানের দারুণ ক্ষমতা। পুরুষরা মনে করে সমস্যা দেখা দিলে মৌখিক অভিযোগ করার চেয়ে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা কার্যকর। অন্যদিকে নারীরা সাধারণত সমস্যায় পড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ করে থাকে।
আবেগ নিয়ন্ত্রণ
পুরুষের বিরুদ্ধে একটা সাধারণ অভিযোগ হলো, তাঁদের আবেগ কম। তবে এ ব্যাপারে পুরুষের ভাষ্য একেবারেই ভিন্ন। তাঁরা মনে করেন, সবসময় সবকিছুতে অতি আবেগ দেখানোর কিছু নেই। নিয়ন্ত্রিত আবেগের কারণে অনেক কঠিন পরিস্থিতিও বেশ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দেওয়া যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরা তাই করে থাকেন। তাই, পুরুষদের মতো আবেগের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে তা নারীদের জন্য অনেক উপকারী হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আত্মবিশ্বাস, কিন্তু দাম্ভিকতা নয়
নিজের স্বপ্ন পূরণ এবং নিজেকে অন্যের সামনে উপস্থাপনে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয় পুরুষ। কিন্তু আত্মবিশ্বাস যদি দাম্ভিকতার পর্যায়ে পড়ে যায়, তাহলে নারীর চোখে তা শুধুই গলগ্রহ। তাই পুরুষদের আত্মবিশ্বাসের শক্তিটি নারীরা আয়ত্ত করার চেষ্টা করতে পারে।
ছোটখাটো বিষয় নিয়ে উদ্বেগ নয়
পরিবারের কোনো সদস্য হয়তো সকালের নাস্তা করেননি, এ নিয়ে নারীদের উদ্বেগের সীমা থাকে না। বারবার তারা এটি নিয়েই চিন্তা করেন, কথা বলেন। তবে এ ক্ষেত্রে পুরুষের আচরণ ভিন্ন। সকালে নাস্তা না করার মতো ছোটখাটো বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়াটা তাদের কাছে রীতিমত বিরক্তিকর। কারণ, পুরুষ মনে করেন, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাথা যত কম ঘামানো যায়, জীবন ততই সুন্দর হয়।
অপ্রয়োজনে নিন্দা নয়
নারীদের বিরুদ্ধে সবার একটা সাধারণ অভিযোগ হলো, কয়েকজন নারী একসঙ্গে হলেই নাকি তারা একে অন্যের নিন্দায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পুরুষরাও যে অন্যের নিন্দা করেন না, তা কিন্তু নয়। তবে সেটা নারীদের তুলনায় অনেক কম। পুরুষেরা মনে করেন, অনেক প্রয়োজন ছাড়া নিন্দা করে আড্ডার সুন্দর সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। এর চেয়ে ওই সময়ে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ইতিবাচক বা হালকা আলোচনা করলে মন প্রফুল্ল থাকবে।
নিজের ভুল স্বীকার
বেশিরভাগ পুরুষের মধ্যেই এই বৈশিষ্ট্যটি লক্ষ্য করা যায়। অনেক নারী নিজের ভুল স্বীকার করাটাকে সম্মানহানিকর মনে করেন। কিন্তু যারা নিজের ভুল স্বীকার করার মনোভাব রাখেন তিনি সত্যি সত্যি দায়িত্বশীল ও সাহসী মনের হয়ে থাকেন।
রসবোধ
রসবোধ মানুষকে প্রফুল্ল চিত্তে সুন্দরভাবে বাঁচতে সহায়তা করে। আর পুরুষের রসবোধ প্রকৃতিগতভাবেই একটু বেশি থাকে বলে প্রচলিত রয়েছে। খুব ছোটখাটো বিষয় থেকে কীভাবে হাস্যরস নিংড়ে নিতে হয়, পুরুষের কাছ থেকে নারীর তা সহজেই শিখে নিতে পারে।
কল্পনা নয়
নারীরা অনেক বেশি কল্পনাবিলাসী হয় বলে দুর্নাম আছে। তারা কল্পনার জগতে বাস করতে পছন্দ করেন। তবে পুরুষ নাকি বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন হয় বেশি, তাই তিনি বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান বাস্তবেই খোঁজেন। ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্ক বা বিবাহিত জীবন সম্পর্কে যে কোনো সমস্যায় যুক্তির বিবেচনায় সমাধান পেতে চান পুরুষেরা। নারীরাও যদি বিষয়গুলোকে এভাবে দেখেন, তাহলে খুব সহজেই অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।