অন্য দিকে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তুরস্ক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে বলে একই দিন জানিয়েছেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু।
মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়, গত সোমবার রাশিয়ার টেলিভিশনের এক দল সাংবাদিক দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের হাতায় প্রদেশে আটকে পড়ে। তাদেরকে তুরস্কের সাংবাদিকদের আচরণ নীতি লঙ্ঘন করার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয় রুশ দূতাবাসকে কোনো ব্যাখ্যা দেয় নি তুর্কি কর্তৃপক্ষ। এ আচরণকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিযোগ করেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রুশ ওয়েবসাইটে আরো বলা হয়, ইরাক সরকারের অনুমোদন ছাড়া তুর্কি বাহিনী উত্তরাঞ্চলের মসুল অঞ্চলে প্রবেশ করেছে, তাতে বর্তমান পরিস্থিতি আরো উত্তেজনাময় হয়ে উঠেছে।পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক জোটের বিমান হামলায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হতাহতের অভিযোগও করেছে রাশিয়া।
অন্য দিকে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয় বিবেচনা করছে তুরস্ক। পাশাপাশি মস্কোর সঙ্গে আঙ্কারা আলোচনা ও মত বিনিময়ের জন্যও প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
রুশ জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী আলেক্সান্দার নোভাক সম্প্রতি জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস তুরস্কে সরবরাহের লক্ষ্যে পাইপলাইন নির্মাণ নিয়ে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমান দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ সম্ভবত রাশিয়ার হাতে একটি বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা হতে পারে। গত বছর রাশিয়ার কাছ থেকে ২৭০০ কোটি কিউবিক মিটারের প্রাকৃতিক গ্যাস কিনেছে তুরস্ক, যা দেশটিতে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ৬০ শতাংশ। (স্বর্ণা/টুটুল)