20151203ruby.m4a
|
এলইডি তথা লাইট এমিটিং ডায়োড বাতি ব্যবহার করে কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, এমনকি হাতের ফোনে ডেটা আদান–প্রদানের নতুন প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে 'লাই-ফাই'। লাই-ফাই তারহীন ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের চেয়েও ১০০ গুণ দ্রুতগতিতে তথ্য আদান-প্রদান করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১১ সালে স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের বিজ্ঞানী হ্যারল্ড হ্যাস সর্বপ্রথম 'লাই-ফাই' প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেন। এতে দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গকে অতি দ্রুতগতির যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দ্রুতগতির সিগন্যাল বাতি যেমন খুব দ্রুত অন-অফ হয়ে সংকেত প্রেরণ করে, ঠিক তেমনি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বাইনারি কোডের ভাষায় তথ্য প্রেরণ করা যায়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই প্রযুক্তিতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২২৪ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য প্রেরণ করা যায়, যেখানে ওয়াই-ফাইয়ের সর্বোচ্চ গতি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬০০ মেগাবাইট।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাত্কারে হ্যাস জানিয়েছেন, 'প্রতিটি বাতির সঙ্গে একটি করে ছোট মাইক্রোচিপ লাগিয়ে দিলেই এটা আলো দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারবিহীন তথ্য সম্প্রচারের কাজটিও করবে।' তিনি এটাও জানান যে বাতির অন-অফ হওয়ার কাজটা এত দ্রুত হবে যে তা আলাদা করে শনাক্ত করা মানুষের পক্ষে অসম্ভব এবং এটা চোখের জন্যও বিরক্তিকর হবে না।
ইতিমধ্যেই নতুন এই লাই-ফাই প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হতে শুরু করেছে। এই যেমন, ওয়াল্ট ডিজনি তৈরি করতে শুরু করেছে এমন কিছু পুতুল, যা লাই-ফাই প্রযুক্তিতে কাজ করবে।
তা ছাড়া সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ সাল নাগাদ সারা বিশ্বে প্রতি মাসে ২৪.৩ এক্সাবাইট ডেটার প্রয়োজন হবে, যা কি না বর্তমান তারবিহীন সংযোগের দ্বারা যোগান দেওয়া অসম্ভব। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির এই বাড়তি চাপ কমাতে লাই-ফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করা।
(ওয়াং তান হোং/তৌহিদ)