0101y
|
এর মধ্যে পান্ডাসহ বিলুপ্ত প্রায় অতিবিরল প্রাণী সংরক্ষণে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য পান্ডা সংরক্ষণ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্মারক অনুযায়ী, ২০১৬ সালের প্রথম দিকে চীন দক্ষিণ কোরিয়ার এভারল্যান্ডকে এক জোড়া পান্ডা ভাড়া দিবে। ২০১৬ সালের প্রথমার্ধে এ পান্ডাগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমের অনেক মনোযোগ রয়েছে। দেশটির 'ছোসুন ইলবো' একে 'মূল্যবান উপহার' হিসেবে মনে করছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীনে পান্ডার খুব গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। 'পান্ডা কূটনীতি' মৈত্রী ও শান্তির প্রতীক, এমনকি কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরালো করার ক্ষেত্রে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এসবিএস টিভি কেন্দ্র বলেছে, চীনে পান্ডা খুবই বিরল। বাইরের মহলকে 'রাষ্ট্রীয় সম্পদ' ভাড়া দেওয়া দু'দেশ এবং দু'দেশের জনগণের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ পান্ডার জন্য একটি নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবেশ সরবরাহ করবে।
দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং 'ছোসুন ইলবো'য় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলেছিলেন, সামষ্ঠিক অর্থনীতি থেকে খাবার পর্যন্ত ছিল তাঁর আকর্ষণ। দু'দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে জিনসেং চিকেন স্যুপ আমদানি সংক্রান্ত প্রটোকল স্বাক্ষর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার 'রাজকীয় রান্না' করা খাবার চীনে প্রচলনের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়াইটিএন টিভি কেন্দ্র এই মেনুটিকে একটি সফল 'খাবার' হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং চীনে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি প্রচারে তা সহায়ক হবে বলে মনে করছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খাদ্য সংস্কৃতি এবং রেডিও, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার আদান-প্রদান খুব ঘনিষ্ঠ হয়েছে। সম্প্রতি চীনের সি আন শহরে শুটিং করা হয় একটি রকমারি অনুষ্ঠান 'পশ্চিম দিকে নতুন যাত্রা', যা দক্ষিণ কোরিয়ায় খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। পাশাপাশি চীনের একটি টিভি নাটক 'লাং ইয়া বাং' দক্ষিণ কোরীয় দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী লি'র সফরে দেশটিতে '২০১৫ 'সিউল চীনা দিবস' আয়োজন করা হয়। দু'দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানের চীনের ছায়ামূর্তি খেলার কৌশল, ক্যালিওগ্রাফ ও চা শিল্প দক্ষিণ কোরীয় জনগণকে বেশ আনন্দ দিয়েছে, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সিউলের চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক শি রুইলিন বলেছেন, সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ পরস্পরের কাছাকাছি এসেছে। 'দক্ষিণ কোরীয় স্টাইল' ও 'চীনা স্টাইল' একে অপরের সৌন্দর্য বাড়াবে, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাংস্কৃতিক বিনিময় আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলে আশা করি আমরা।
প্রেমা/তৌহিদ