1125music
|
আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো চীনের গায়িকা হো চে-এর সাথে। ১৯৮৬ সালে ২৫ মার্চ হো চে কুই চৌ প্রদেশের রাজধানী কুই ইয়াং জন্মগ্রহণ করেছেন। ২০০৫ সালে হো চে 'Super girl' নামে একটি বিখ্যাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তখন তার বয়স ছিলো মাত্র ১৯। সেই প্রতিযোগিতায় হো চে তার মিষ্টি ও শক্তিশালী কণ্ঠ এবং প্রাণবন্ত পারফরম্যান্সের জন্য সুনাম অর্জন করেন। প্রতিযোগিতায় চতুর্থ পুরস্কার পেয়ে হো চে একটি সঙ্গীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এ সময় থেকেই পেশাদক গায়িকা হিসেবে তার সঙ্গীত জীবন শুরু হয়।
২০০৬ সালে হো চে তার প্রথম অ্যালবাম 'আলো' প্রকাশ করেন। এই অ্যালবামের জন্য তিনি সে বছর চীনের 'গোল্ডেন সুর' প্রতিযোগীতায় সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়িকার পুরস্কার পান। পরের বছর হো চে তার দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করে বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। ২০১০ তার তৃতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন তিনি। এ বছর থেকেই গান গাওয়া ছাড়াও হো চে চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন। বর্তমানে তিনি গান গাওয়া ছাড়াও অভিনয়, কনসার্ট, টিভি শোসহ অনেক ক্ষেত্রে বেশ দক্ষতার সাথে কাজ করছেন।
বন্ধুরা, এখন হো চে'র প্রথম অ্যালবাম 'আলো' থেকে একটি গান শুনি আমরা। এ গানের নাম 'আমাকে আর ভালোবেসো না'। এই গানে বলা হয়েছে, প্রেম করার সময় যদি দু'জন সবসময় পরস্পরকে ভুল বোঝে; তখন সম্পর্কটা মেরামত করার চেষ্টা না করে বরং তা থেকে বিরত হওয়া উচিত। ভুল মানুষকে বিদায় করে দিয়ে ঠিক মানুষের সন্ধান করা জরুরী।
প্রিয় শ্রোতা, ভালোবাসা একটি শাশ্বত বিষয়। হো চে'র গাওয়ার অধিকাংশ গানের বিষয়ই প্রেমকে কেন্দ্র করে। দুঃখ বা আনন্দময় প্রেমের গানও তিনি গেয়েছেন। প্রেম করার যে মেজাজ, হাসি-দুঃখ, এমন কি মনের সুক্ষ্ণ অনুভূতি, হো চে তার গানে সে সব প্রকাশ করেছেন দক্ষতার সাথে।
এখন আমরা একটি দুঃখে ভরা প্রেমের গান শুনবো। এ গানের নাম 'আমাকে আর দুঃখিত বলবে না'। গানটি তার তৃতীয় অ্যালবামের হিট গান। 'Music Radio' চীনা টপ গান বিষয়ক 'বার্ষিক গোল্ডেন সুর' পুরস্কার পেয়েছে এই গানটি।
এই গানে বর্ণনা করেছে, একজন মেয়ে ভালোবাসতে চেষ্টা করলে সে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেই প্রেমিকের দুঃখ আরো বেড়ে যায়। অতীতের সব দু:খ ভুলে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে হয় সময়ের প্রয়োজনেই।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, কষ্টে ভরা প্রেমের গান শোনার পর এবার আমরা একটি আনন্দে ভরা প্রেমের গান শুনি। এ গানের নাম 'চিরকাল'। গানটি খুব মিষ্টি-মধুর। এ গানে বলা হয়েছে, আমরা একসঙ্গে কফি খেতে খেতে রৌদ্রস্নান করি। একসঙ্গে সূর্যাস্ত দেখি, একসঙ্গে বেলাভূমিতে হাঁটি। এসব তো জীবনের খুব ছোট ব্যাপার। কিন্তু আমার নিজেকে অনেক সুখি মনে হয়। তুমি আমার পাশে থাকলে আমার মনে হয় জীবন চিরকালের মত ভালো ও সুন্দর হবে।
শ্রোতা, হো চে'র কণ্ঠ খুব বৈশিষ্টমন্ডিত। তার চেহারার মত মিষ্টি তার কণ্ঠ। মিষ্টি এবং বেশ শক্তিশালী। তিনি মৃদু গান গাইতে পারেন আবার তীব্র ও শক্তিশালী গানও গাইতে পারেন।
এবার যে গানটি শুনবেন সেটি খুব শক্তিশালী একটি গান। গানের নাম 'দুঃখ হলেও ভালোবাসবো'। এ গানে বলা হয়েছে, দুঃখ ও হতাশায় হাবুডুবু খেয়ে প্রেম সাগরে আশার সন্ধান করতে হয়। কিন্তু কখনও কখনও প্রেমের ক্ষেত্রে দুঃখের কোনো সমাধান নেই। তারপরও প্রেম এগিয়ে যায়। চলুন এক সঙ্গে গানটি শুনি।
বন্ধুরা, গানটি শুনে আপনাদের কেমন লাগলো? মুগ্ধ হয়েছেন কি? এই শক্তিশালী গানটি শোনার পর এখন আমরা একটি গীতধর্মী মৃদু গান শুনি চলুন। এ গানের নাম 'তুমি আমার প্রকৃতি'। গানটির বাংলা অর্থ প্রায় এমন, এই জটিল কোলাহলময় পৃথিবীতে আমার মন ক্রমে অসাড় হয়ে গেছে। আমি অনেক শহর ও অঞ্চল ভ্রমণ করেছি। অনেক প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখেছি। কিন্তু তোমার সাথে দেখা হওয়ার পর আমি মনে শান্তি পেয়েছি। ধীরস্থির হয়েছে আমার মন। আমার পৃথিবী সহজ ও সচ্ছল হয়েছে। আমার আর ভ্রমণ করার দরকার নেই। কারণ তুমিই আমার প্রকৃতি।
প্রিয় শ্রোতা, পরের গানের নাম 'তোমাকে সুখী হতে হবে'। এটি একটি শান্ত প্রেমের গান। এ গানে বলা হয়েছে, গভীর রাতে তোমার কথা আমার মনে পড়ে। আমাকে তোমার দেওয়ার ফুল, তোমার বলা কথাগুলো সব সময় ভাবি আমি। জানি না তুমি এখন ভালো আছো কিনা। তোমার মনকে আমি তো জানি। আমরা একসঙ্গে থাকতে না পারলেও তোমাকে সুখি হতে হবে।
আজকের অনুষ্ঠানের শেষ গান 'চলো বিয়ে করা যাক'। এই গানে দু'জনের বিয়ে করার মধুর প্রতিশ্রুতির কথা এবং পরস্পরের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে। ঠিক লোকটিকে বিয়ে করলে জীবন সম্পূর্ণ হয়। আশা করছি আপনিও জীবনের ঠিক লোকটিকে খুঁজে নেবেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের কয়েকটি রোমান্টিক গান শুনিয়ে আজকের অনুষ্ঠান শেষ করছি। আশা করছি আপনারা এ গানগুলো পছন্দ করেছেন। শুনে ভালো লাগেছে আপনাদের। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ্য থাকুন। আবার কথা হবে। যাই চিয়ান। (তুহিনা/মান্না)