1122jiankang
|
প্রথমত, প্রতিদিন সুষম খাবার খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের চারটি বিষয় খেয়াল করা উচিত। এক. প্রতিদিন ফ্রেশ শাক-সবজি ও ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এসব খাবারের মধ্যে প্রচুর ভিটামিন ও ট্রেইস উপাদান (Trace Elements) থাকে। এসব উপাদান ত্বকের ভাঁজ প্রতিরোধে সহায়ক বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। দুই. শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করুন। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন। দুধ আমাদের শরীরের ফিটনেস বাড়ায় এবং শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করে। তিন. বেশি পানি পান করুন। পানির অপর নাম জীবন। পানিও শরীরে অন্যতম এক পুষ্টিকর উপাদান। প্রতিদিন ১ থেকে ২ লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পানি ত্বক মসৃণ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চার. সকালের নাস্তা ভালভাবে ও নিয়মিত করুন। নাস্তা কত গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে আমরা বহুবার স্বাস্থ্য ও জীবন অনুষ্ঠানে বলেছি। হ্যাঁ, নাস্তা যত সমৃদ্ধ, শরীরের জন্য ততই ভাল। আমাদের নাস্তায় একটা ডিম থাকা দরকার বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দ্বিতীয়ত, স্থুলতা প্রতিরোধ করা জরুরি। মধ্যবয়সী হলে আমাদের স্থুলতা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে নারী বন্ধুদের জন্য এ কথা প্রযোজ্য। সুতরাং, প্রতিদিন ২ ঘন্টা শরীরচর্চা করা উচিত।
তৃতীয়ত, যথেষ্ট ঘুমানো দরকার। যথেষ্ট ঘুম হলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়, শারীরিক শক্তি পুনরায় ফিরে আসে। এটা ত্বক মসৃণ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। রাত জাগা এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর ওপরে যদি যুক্ত হয় কম্পিউটার থেকে নির্গত ক্ষতিকর রশ্মি, তাহলে তো কথাই নেই! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাত জেগে কম্পিউটারে যারা কাজ করেন, তাদের মুখের ত্বকে অসময়ে ভাঁজ পড়তে পারে। তাই, রাতকে ঘুম বা বিশ্রামের জন্য নির্ধারিত রাখুন। দিনের বেলাটা থাকুক কাজের জন্য।
চতুর্থত, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলুন। মনের সুস্থতার ওপর গুরুত্ব দিন। মন ভালো থাকলে তার প্রভাব পড়বে আপনার ত্বকেও।
(ওয়াং হাইমান/আলিম)