Web bengali.cri.cn   
নারীকণ্ঠ
  2015-11-22 19:05:14  cri

প্রথম পর্ব : প্রধান প্রতিবেদন : ২৫ বছরে মাতৃ মৃত্যু হার কমেছে ৫০ ভাগ : জাতিসংঘ

সারা বিশ্বে গর্ভ সংক্রান্ত কারণে নারী মৃত্যু হার গত ২৫ বছরে প্রায় ৫০ ভাগ কমেছে বলে জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রজনন স্বাস্থ্য ও গবেষণা সমন্বয়ক ড. লেল সে। কিন্তু মাত্র নয়টি দেশ জাতিসংঘ নির্ধারিত নারী মৃত্যু হার হ্রাস সংক্রান্ত টার্গেট অর্জন করতে পেরেছে বলে জানান তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রজনন স্বাস্থ্য ও গবেষণা সমন্বয়ক ড. লেল সে বলেন,এ প্রতিবেদন থেকে দেখা যাবে যে,২০১৫ সালের শেষ নাগাদ মাতৃ মৃত্যু হার ১৯৯০ সালের পর্যায় থেকে ৪৪ শতাংশ কমে এসেছে। তিনি জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,'এটি বিরাট অগ্রগতি। তবে বিশ্বজুড়ে,বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই অগ্রগতি এক রকম নয়।'

তিনি বলেন,বিশ্বজুড়ে মোট মাতৃ মৃত্যুর ৯৯ শতাংশই ঘটে উন্নয়নশীল দেশে।

একই সময়ে ব্রিটিশ চিকিতসা জার্নাল ল্যান্সেটে প্রকাশিত এ রিপোর্টে বলা হয়,'২০১৫ সালে গর্ভ সংক্রান্ত ও সন্তান জন্মদানের ৬ সপ্তাহের মধ্যে সৃষ্ট জটিলতার কারণে সারা বিশ্বে তিন লাখ তিন হাজার নারীর মৃত্যু হয়েছে,যা ১৯৯০ সালের ৫ লাখ ৩২ হাজার মাতৃ মৃত্যুর তুলনায় অনেক কম।

তিনি বলেন,এর মানে হলো বিশ্বে প্রতি লাখ সন্তান প্রসবে মাতৃ মৃত্যুর হার ২১৬ জন,যা ১৯৯০ সালে ছিল ৩৮৫ জন।

২০০০ সালে জাতিসংঘ নির্ধারিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলো ২০১৫ নাগাদ মাতৃ মৃত্যু হার ১৯৯০ সালের লেভেল থেকে ৭৫ শতাংশ কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছিল।

লেল সে বলেন,তবে কেবল নয়টি দেশ এই লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও ৩৯টি দেশ মাতৃ মৃত্যু হার কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে। সেখানে লাখে মাতৃ মৃত্যু হার ৯৫ থেকে ২৭ পর্যন্ত কমে এসেছে।

দ্বিতীয় পর্ব : আলোকিত নারী : সফল তিনি 'গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী'

(১৩ জুলাই,২০১৫)

কেউ লাখ লাখ অর্থ ব্যয় আর সাথে কঠোর পরিশ্রম করেও সফলতার হাতছানি পায় না। আবার কেউ দুইটির একটি ব্যয় করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছে যায়,আবার এমনো নজির রয়েছে শুধু উত্সাহের কারনে পিছিয়ে পড়েছে জীবন যুদ্ধ থেকে। কিন্তু আরেকজন কোনটাই নয়,শুধু পরিবারের উত্সাহ পেয়ে হাতছানি দিয়েছে সফলতাকে। তেমনি একজন তত্ত্বধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্ঠা, সফল উদ্যোক্তা গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী।

বাংলাদেশের বিখ্যাত অ্যাডভার্টাইজিং এবং কমিউনিকেশন কোম্পানি অ্যাডকমের চেয়ারম্যান গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী। পরিবার থেকেই দারুণ এক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন তিনি। ছয় ভাইবোনের সবচেয়ে বড় সাফিয়াদের পরিবারে ছেলে মেয়েদের সমান চোখেই দেখা হত। মেধাবী সাফিয়া হলিক্রস কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করেন। পড়াশুনা চলার সময় থেকেই তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখির হাতে খড়ি। পরে অবশ্য লেখালেখিই করেছেন অনেক দিন। তার ধারাবাহিকতায় প্রায় চার বছর ধরে তিনি পাকিস্তান অবজারভারে কাজ করেছেন। দু'বছর ধরে করাচীর শি ম্যাগাজিনেও লিখেছেন তিনি। ১৯৭২ সালে তিনি ইন্টারস্প্যান অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সিতে কাজ করা শুরু করেন। এরপর ১৯৭৪ সালে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাডকম নামে অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি। সাফিয়ার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের অনেক নামীদামী ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করেছেন তিনি। কাজের স্বীকৃতি হিসেব বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক জিতেছেন। ১৯৯৫ সালে অনন্যা পদক, ১৯৯৯ সালে ভারতীয় মহিলা উদ্যোক্তা ফেডারেশনের পক্ষ থেকে 'প্রিয়দর্শিনি পদক' অর্জন করেন। ২০০২ সালে ডেইলি স্টার এবং ডিএইচএল এর সৌজন্যে 'আউটস্ট্যান্ডিং উইম্যান ইন বিজনেস' পদক জিতে নেন। নিজের কাজের ক্ষেত্র অ্যাডভার্টাইজিংয়েও এশিয়ান অ্যাডভার্টাইজিং এর দেয়া সেরা অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সির পুরস্কার অর্জন করে তার প্রতিষ্ঠান। ২০০৫ সালে একই সংস্থা অ্যাডকমকে আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার দিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও নিয়মিত লেকচার দিয়ে থাকেন সাফিয়া। জনতা ক্লাব এবং অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সির প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৭ সালে তিনি মহিলা এবং শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি নারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন,উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার মত বাংলাদেশে অনেক নারীদেরই যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা আছে। কিন্তু তারপরও অনেকেই নিজেদের গুটিয়ে রাখছেন। তাই এখন সেসব নারীদের বলছি,আর সময় নষ্ট না করে নতুন কিছু করতে উদ্যোগী হন। হয়তো এসডি এশিয়ার সামনের কোন আর্টিকেলটি হবে আপনাকে নিয়েই।

নিজেকে নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,যখন আমি ব্যবসা শুরু করি তখন থেকেই আমাকে নানান প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। নারী বলে তখন আমাদের উত্সাহ দেয়ার মতো মানুষ ছিল হাতেগোনা। বেশির ভাগ নারীরা বিয়ের পর স্বামীর ঘরে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। তবে আমি সে দিক থেকে সৌভাগ্যবান ছিলাম। আমি যখন ব্যবসা নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম তখন আমার শ্বাশুরী আমাকে বেশ উত্সাহ দিয়েছিলেন। আমার পরিবার ও সন্তানকে সেইয়ে সামলিয়ে ছিল। নারী বলে অনেক সময় ক্লায়েন্টরা বিশ্বাস করতে পারছিল না আমার ওপর। কিন্তু আমি যখন আত্ববিশ্বাস নিয়ে কাজগুলো সম্পূর্ণ করে দিতাম তখন ক্লায়েন্টরা আশ্চর্য হয়ে যেতো। দিনের পর দিন এভাবেই নিজেকে সবার মাঝে জানান দিয়েছি। কাজ করেছি নিজেকে জানান দেয়ার জন্য। একজন নারী যখন তার পরিবার,তার আপনজন বা কাছের মানুষগুলোর কাছ থেকে তার কাজের উত্সাহ পায় তখন সে অনেক এগিয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের পরিবারগুলোর উচিত্ আমাদের পরিবারে নারী সদস্যদের উত্সাহ দেয়া।

তৃতীয় পর্ব : বিশ্ব নারীর টুকরো খবর :

শ্রোতাবন্ধুরা, টুকরো খবর বিভাগে প্রথমেই আলোচনা করবো পাকিস্তানের একটি খবর নিয়ে...।

প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় পুড়িয়ে হত্যা (০৪ নভেম্বর, ২০১৫)

প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় পাকিস্তানে এক নারীকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এক ঘাতক। সোনিয়া বিবি নামের ২০ বছরের ওই নারীর ওপর পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তার সাবেক প্রেমিক লতিফ আহমেদ। এতে তার শরীরের ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ পুড়ে যায়। পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতানে এই ঘটনা ঘটেছে।

চিকিতসকরা সোনিয়াকে বাঁচানোর বিষয়ে প্রথমে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু তার ক্ষতগুলোতে সংক্রমণের কারণে রাতারাতি তার অবস্থার অবনতি হয়। গত ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়,বিয়ে করতে অস্বীকার করায় সোনিয়ার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় লতিফ।

পাকিস্তানে শুধু মাত্র গত বছরই প্রায় এক হাজার নারীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যাটি আরো অনেক বেশি হতে পারে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর ধারণা। দেশটিতে পরিবারের অমতে প্রেম ও বিয়ের কারণে বহু নারী তাদের বাবা ও ভাইদের হাতেই প্রাণ হারান। এ ধরণের 'অনার কিলিং' এর বেশিরভাগই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অগোচরে থেকে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠন অওরাত ফাউন্ডেশনের দাবি পাকিস্তানে ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি নারী 'অনার কিলিং' এর শিকার হয়েছেন।

প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ায় পাথর ছুঁড়ে হত্যা (৪ নভেম্বর,২০১৫)

বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের অভিযোগ আফগানিস্তানে একজন নারীকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে ধারণ করা পাথর ছুঁড়ে হত্যার ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে,একটি গর্তে থাকা সেই নারীকে ঘিরে একদল মানুষ পাথর ছুঁড়ছে। অন্যদিকে তার প্রেমিককে চাবুক মারা হচ্ছে।

জানা গেছে,সেই নারীর নাম রোখসানা এবং তার বয়স ১৯ থেকে ২২ এর মধ্যে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পাথর ছুঁড়ে মারার সময় সেই নারী চিতকার করছেন।

একটি সংবাদ সংস্থা বলছে,তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকা ঘোর প্রদেশে এক সপ্তাহ আগে এই ঘটনা ঘটে। রেডিও ফ্রি ইউরোপের খবরে বলা হয়েছে,সেই নারী বিয়ের উদ্দেশ্যে তার ২৩ বছর বয়সী প্রেমিকের সাথে ঘর থেকে পালিয়ে গেছে।

স্থানীয় তালেবান এবং ধর্মীয় নেতারা তাকে পাথর মেরে হত্যা করে। রোখসানাকে পাথর মেরে হত্যা করা হলেও তার প্রেমিককে চাবুক মেরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিবিসির শীর্ষ সাতে এমপি টিউলিপের বক্তৃতা (০৪ নভেম্বর, ২০১)

চলতি বছর মে মাসে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে লেবার পার্টি থেকে জয় পান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।

তিনি হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর পার্লামেন্টে রাখা তার বক্তৃতা বিবিসির সেরা সাতে উঠে এসেছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের পার্লামেন্টের ১৭৬ জন নতুন সংসদ সদস্যের প্রথম বক্তৃতার ক্ষেত্রে সাতজনের বক্তব্য স্মরণীয়। এর মধ্যে টিউলিপ সিদ্দিকও রয়েছেন।

বাকিরা হলেন-স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) মাইরি ব্লাক, কনজারভেটিভ পার্টির হেইডি আলেন, জনি মার্চার, লেবার পার্টির এঞ্জেলা রায়নার, কনজারভেটিভ পার্টির নুসরাত গণি ও এসএনপি'র মার্টিন ডচারটি।

পার্লামেন্টে ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের গণভোটের বিলের বিষয়ে বির্তকের সময় এমপি টিউলিপ সিদ্দিক শরণার্থী ও অভিবাসীপ্রত্যাশীদের বিষয়ে নিরাপদ ব্রিটেনের প্রশংসা করেন।

বক্তৃতায় টিউলিপ ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট পরিবারের সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তার মায়ের ব্রিটেনে আশ্রয় লাভের কাহিনী তুলে ধরেন। এ ছাড়াও তার বক্তৃতায় হ্যাম্পস্টেডের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রশংসা করেন তিনি।

তিনি বলেন, হ্যাম্পস্টেডের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেখা যায়, সমৃদ্ধি ও সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা সবার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল।

নিজের প্রথম বক্তৃতা বিবিসির মতো একটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ সাতে জায়গা করে নেওয়ায় নিজেকে গর্বিত মনে করছেন টিউলিপ। এক টুইটার বার্তায় তিনি তার এই অনুভূতি জানান।

'শ্রীদেবীর কাছে টাকা পাই' (১১ নভেম্বর ২০১৫)

দীর্ঘ বিরতির পর তামিল ছবি 'পুলি'তে অভিনয় করেছেন শ্রীদেবী। কিন্তু এখানে অভিনয় তার জন্য খুব একটা সুখকর হয়নি। এর আগে শ্রীদেবী দাবি করেছিলেন,তিনি নির্মাতাদের কাছ থেকে টাকা পান। কিন্তু,এবার নির্মাতারাই দাবি করছেন,তারাই শ্রীদেবীর কাছে টাকা পান।

সম্প্রতি শ্রীদেবী মুম্বাই প্রোডিউসাস কাউন্সিল কাছে অভিযোগ করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন,'পুলি'র নির্মাতাদের কাছ থেকে ৫০ লাখ রুপি পান তিনি।

এরপরই চারপৃষ্টার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন নির্মাতা থামেনস ও পিটিসেলভাকুমার বলেছেন,শ্রীদেবীকে পারিশ্রমিক হিসেবে ২ কোটি ৭০ লাখ রুপি দেয়ার চুক্তি হয়। এছাড়া আয়কর হিসেবে বাড়তি ৩০ লাখ রুপি দিতে রাজি হন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়,শুটিংয়ের শুরুতে আমাদের যা চুক্তি হয়, সেই অনুযায়ী আমরা তাকে পারিশ্রমিক দিতে থাকি। কিন্তু শুটিংয়ের শেষের দিকে এসে শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর আমাদের কাছে বাড়তি পারিশ্রমিক চান। কারণ সিনেমাটি আমরা আরো কয়েকটি ভাষায় মুক্তি দিচ্ছি।

বিবৃতিতে বলা হয়,বনি কাপুর ছবির পরিচালকদের বলেছেন শ্রীদেবীকে অতিরিক্ত টাকা দিলেই কেবল তিনি শুটিংয়ে আসবেন। অনেক দর কষাকষির পর আমরা সিদ্ধান্ত নিই শ্রীদেবীকে সিনেমাটির হিন্দি সংস্করণের স্যাটেলাইট সত্ত্বের ২০ শতাংশ দেয়া হবে,যা হল ৫৫ লাখ রুপি। এছাড়া আরো ১৫ লাখ দেয়া হবে তেলেগু সংস্করণের জন্য।

নির্মাতাদের দাবি,শ্রীদেবীর কথায় তারা মনিশ মালহোত্রাকে পোশাক ডিজাইনার হিসেবে নিয়োগ করেন। মনিশকে পারিশ্রমিক হিসেবে ৫০ লাখ রুপি দিতে হয়েছে তাদের। এছাড়া 'পুলি'র হিন্দি সংস্করণের প্রচারের জন্য মার্কেটিং ডিজাইনারকে বাড়তি ৮ লাখ রুপি দেয়া হয় শ্রীদেবীর কথাতেই।

নির্মাতারা আরো বলেন,শ্রীদেবীর কথায় কোটি কোটি রুপি খরচ করেছেন তারা। কিন্তু এরপরও সিনেমাটির অডিও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নেননি এই অভিনেত্রী। 'আমরা শ্রীদেবির কাছে টাকা পাই'-এই বাক্যটি দিয়ে বিবৃতি শেষ হয়।

তামিল সিনেমা 'পুলি' পরিচালনা করেছেন চিম্বু দেভান। সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক প্রত্যাশা থাকলেও বক্স-অফিসে তা সফল হয়নি।

পাক-ভারত শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক দেখা আমার স্বপ্ন : মালালা (২৬ অক্টোবর ২০১৫)

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই বলেছেন,পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক দেখা আমার স্বপ্ন। ভারতে পাকিস্তানি শিল্পী এবং ক্রিকেটারদেরর বিষয়ে বিরোধিতা করা প্রসঙ্গে রবিবার ভারতের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি'র সঙ্গে সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন,দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে হলে পারস্পরিক সম্মান, ভালবাসা,বন্ধুত্ব এবং সহনশীলতা দরকার।

চতুর্থ পর্ব : সাম্প্রতিক : কানাডার মন্ত্রিসভার অর্ধেকই নারী (০৬ নভেম্বর,২০১৫)

দশ বছরের কনজারভেটিভ শাসনের অবসান ঘটিয়ে কানাডার ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন লিবারেল পার্টির নেতা জাস্টিন ট্রুডো। তার সঙ্গে শপথ নিয়েছেন মন্ত্রিসভার ৩১ সদস্য। নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া মন্ত্রীদের বয়স ৩৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। জানা গেছে, মন্ত্রিসভার অর্ধেক সদস্যই অর্থাত্ ১৫ জন নারী।

বুধবার অটোয়ার রিদুয়া হলে শপথ নেন ট্রুডো ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা। কানাডার দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো স্কুলশিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে বাবার মতো রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০০৮ সালে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নতুন এই মন্ত্রিসভায় কেবল লৈঙ্গিক সমতা এনেছেন তাই নয়,জাতিগতভাবেও বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। সমান সংখ্যক নারী-পুরুষ নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন কানাডার ইতিহাসে এই প্রথম। মন্ত্রীদের বেশিরভাগই বয়সে অপেক্ষাকৃত তরুণ। জাতিগত বৈচিত্র ও লৈঙ্গিক সমতার ব্যাপারে ট্রুডো বলেছেন,'কানাডার মন্ত্রিসভা দেখতে কানাডার মতোই হওয়া উচিত্।'

উল্লেখ্য,কানাডায় দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ট্রুডোর পিতা পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ট্রুডো বলেন,'আমি দুঃখিত বাবা,আমার চিন্তাভাবনা তোমার মতো নয়,বরং আমার পরবর্তী প্রজন্মের মতো,যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কঠিন পরিশ্রম করবে।'

 (মান্না)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040