20151119ruby.m4a
|
১) নাশপাতির মতো গঠন যাদের
এই ধরনের গঠনের নারীদের দেহের ওপরের অংশের তুলনায় নিচের অংশ বেশ ভারী হয়। দেহের আকার অনেকটা নাশপাতির সাথে মিলে যায় বলে এই নামকরণ করা হয়েছে। এই ধরণের দেহে 'কার্ভ' খুব ভালো করে লক্ষণীয়, কারণ দেহের ওপরের অংশের তুলনায় নিচের অংশ ভারী হয় এবং কোমর চিকন ধরণের হয়। আপনি একে কোকের বোতলের সাথেও তুলনা করতে পারেন।
এ ধরণের শরীরের জন্য দরকারি ব্যায়াম করা যায়, সেগুলো হলো: দড়ি-লাফ যাতে হৃদপিণ্ড সক্রিয় থাকে। তিনবারে দশটা করে পুশ-আপ দিলে তাতে আপনার হাত ও পেট হয়ে উঠবে আরও সুগঠিত। সমতল এলাকায় হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন। ফুটবল জাতীয় খেলার অভ্যাস করতে পারেন দিনে অন্তত আধা-ঘণ্টা, এতে আপনার শরীরের নিম্নাংশে কোনো মেদ জমা হবে না বরং পেশি হয়ে উঠবে দৃঢ়।
২) আপেল শরীর
নাশপাতি ধরণের ঠিক উল্টোটা হলো আপেল ধরণ। এই ধরনের বডি শেপের নারীদের দেহের ওপরের অংশ নিচের অংশের অনুপাতে ভারী হয়। উপরের অংশ ভারী হয়ে কমতে কমতে পাতলা ধরণের কোমর হয়। নিচের অংশও বেশ চিকন হয় এই গড়নের নারীদের।
এ ধরণের শরীরের অধিকারী হলে আপনি করতে পারেন এসব ব্যায়াম: ৩০-৪০ মিনিট সাইক্লিং এক্সারসাইজ করতে পারেন। এর পাশাপাশি শরীরের নিম্নাংশ শক্তিশালী করার জন্য স্কোয়াট বা ওঠা-বসা করতে পারেন। এর পাশাপাশি টেনিস জাতীয় খেলার অভ্যাস করতে পারেন।
৩) অ্যাথলেটিক শরীর
যেসব নারীদের শরীরে 'কার্ভ' একটু কম তাদের বডি শেপ অ্যাথলেটিক আকৃতির বলে ধরা হয়। এই বডি শেপের নারীদের দেহের ওপর, নিচ এবং কোমরের দিকের অংশ সমান মোটা বা চিকন হয়। অ্যাথলেটিক শরীরের জন্য উপকারী ব্যায়াম করা যায়, সেগুলো হলো: মোটামুটি আধা ঘণ্টার দৌড় আপনার শরীরের জন্য উপকারী। চারবার বিশটি করে সিট-আপ আপনার পেটের মেদ কমিয়ে আনতে পারে। ভলিবল এবং বাস্কেটবল জাতীয় খেলাধুলা আপনার জন্য উপকারী। সাঁতার কাটাও বেশ উপকারী হবে।
৪) বালুঘড়ি শরীর
এই বডি শেপের নারীদের একদম 'পারফেক্ট' বডি শেপের নারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই বডি শেপের নারীদের দেহের ওপর এবং নিচের অংশ সমান আনুপাতিক শেপে তৈরি থাকে এবং কোমরের দিক বেশ চিকন ধরনের হয়। দেহের আকার পুরোপুরি একটি বালুঘড়ির আকারের মতো বলে বালুঘড়ি আকৃতির বডি শেপ নাম রাখা হয়েছে। এই বডি শেপের নারীদের জন্য উপকারী ব্যায়ামগুলো হলো, দড়ি-লাফ। প্রতিদিন ৫০টি থেকে এবং একটু একটু করে বাড়িয়ে ৩০০টি পর্যন্ত করতে পারেন। ৩০ মিনিট পর্যন্ত সাইক্লিং এর মতো মাঝারি এক্সারসাইজ করতে পারেন। দ্রুত হাঁটা এবং সাঁতার কাটার মতো ব্যায়ামগুলোতেও বেশ উপকার পাওয়া যাবে।