Web bengali.cri.cn   
খাদ্যগ্রহণে শিশুদের অনীহা: যেভাবে মোকাবিলা করবেন
  2015-11-16 14:44:48  cri


সাধারণত শিশুরা সেসব খাবার খায়, যেগুলো তারা পছন্দ করে। খাবারের পুষ্টিগুণ বিচার করা তাদের কাজ নয়, তারা সেটা করেও না। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায়, শিশুদের পছন্দের খাবারগুলো তাদের শরীরের পুষ্টি-চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়। তখন পিতা-মাতা চিন্তায় পড়েন এবং শিশুদের জেদ ও কান্নাকাটির জেরে তাদেরকে প্রায়ই নিজেদের পছন্দসই খাবার দিতে বাধ্য হন। আবার অনেক সময় দেখা যায়, শিশু একেবারেই খেতে চায় না। এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না, দেওয়া উচিত নয়। শিশুদের খাবার অবশ্যই সুষম হতে হবে। আজকের অনুষ্ঠানে আমারা এ সমস্যা সমাধানে কিছু জরুরি পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করবো।

প্রথমে আমাদের জানা দরকার যে কেন খাদ্যগ্রহণে শিশুর অনীহা হয়। সাধারণত শিশুকে বড় করা প্রক্রিয়ায় গলদ থাকার কারণে শিশুর মধ্যে এই অনীহা গড়ে ওঠে। পিতামাতা যদি প্রতিদিন শুধু নিজেদের পছন্দের খাবার খান, তবে এ অভ্যাস শিশুর মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে। পিতামাতার উচিত প্রতিদিনকার খাবারের মেনুতে বৈচিত্র্য রাখার চেষ্টা করা। নিত্যনতুন খাবার দেখে শিশুরাও তা খেতে আগ্রহী হতে পারে। এভাবে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া যে একটি রুটিন কাজ, সেটাও শিশুকে বুঝতে দিতে হবে। যা হোক, যদি ইতোমধ্যেই কোনো শিশুর খাদ্যগ্রহণে অনীহা সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে তা দূর করতে বিশেষজ্ঞরা পিতামাতাকে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। চলুন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।

প্রথমত, বাবা-মাকে ধৈর্যধারণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই খাওয়ার জন্য শিশুকে বকাঝকা বা মারধোর করা যাবে না। এতে কাজের কাজ তো কিছু হবেই না, উল্টো শিশুর মনের ওপর না-হক চাপ পড়বে। বকাঝকা বা মারধোর অনেক সময় শিশুকে মানসিক রোগী বানিয়ে দিতে পারে। অতএব, পিতামাতাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং বুঝতে হবে যে শিশুর এ অভ্যাস একদিন বা দু'দিনে দূর করা যাবে না।

দ্বিতীয়ত, বাচ্চার খাদ্যগ্রহণের জন্য একটি আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। হ্যাঁ, বাচ্চাদের মুড যখন ভাল থাকে তখন তারা খেতে আগ্রহী হয়। এক্ষেত্রে ভালো মুড একটি পূর্বশর্ত। জোরজবরদস্তি খাওয়ানোর চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

তৃতীয়ত, শিশুর পছন্দ-অপছন্দকে মূল্য দিতে হবে। তার পছন্দের খাবার একেবারে বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয়। হ্যা, তার পছন্দের খাবারের পরিমাণ ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা যেতে পারে। পছন্দের খাবার কম খেলে, আশা করা যায় যে শিশু ক্ষুধার্ত থাকবে এবং অন্য খাবার খেতে ধীরে ধীরে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

চতুর্থত, খাবার গ্রহণে বাচ্চাকে নানাভাবে উত্সাহিত করা উচিত। নতুন একটি খাবার যখন পিতামাতা নিজেরা মজা করে খাবেন এবং সেখাবারের প্রশংসা করবেন, তখন শিশুও সেটা খেতে আগ্রহী হবে। তবে, এটাও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। শুরুতেই শিশু পিতামাতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন খাবার খেতে চাইবে—এমন নয়। ধীরে ধীরে শিশু ওই খাবারের প্রতি আগ্রহী হবে বলে আশা করা যায়।

(ওয়াং হাইমান/আলিম)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040