1120yin
|
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন।
৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি ভোজসভায় মূল ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমানে বেশ কয়েকটি আরব দেশ ও অঞ্চল চরমপন্থি সংস্থা এবং অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়েছে। সংঘর্ষ অব্যাহত থাকার মূল কারণ হিসেবে তিনি ধর্মীয় মতভেদকে দায়ী করেন। তিনি বলেন,
ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্রতর সংঘর্ষ আঞ্চলিক সংঘর্ষের পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। ফলে এসব দেশ ও অঞ্চলের জনগণ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তায়েব বাকুছে বলেছেন, বর্তমানে সন্ত্রাস ও চরমপন্থা একক কোন দেশের সমস্যা নয়, বিভিন্ন দেশ অভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে চরমপন্থার হুমকি মোকাবিলা করে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তায়েব উল্লেখ করেছেন, সন্ত্রাস ও চরমপন্থা সমস্যা সমাধান করতে চাইলে, শুধু সামরিক অভিযানের ওপর নির্ভর করলেই চলবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা উচিত। তিনি বলেন,
শুধু সশস্ত্র পন্থায় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করা যায় না। প্রথমে সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করে প্রতিরোধের উপায় বের করতে হয়। জনগণের শিক্ষা জোরদার করা দরকার। যেমন ধর্মীয় শিক্ষা, পারিবারিক শিক্ষা, স্কুল শিক্ষা ও সামাজিক শিক্ষা ইত্যাদি। এসব হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়। এ ছাড়া অর্থনৈতিক মান উন্নত করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলে, সামাজিক সমস্যাও দেখা দেয়।
এ সম্পর্ক মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসি বলেন, মিসর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে চরমপন্থার হুমকি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি বলেন,
মিসর আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সম্মানের মনোভাব নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন জোরদার করা, বাণিজ্যিক, পুঁজি বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। যাতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের জনগণের কল্যাণ হয় এবং বিশ্বের স্থিতিশীলতা ও মানবসভ্যতার উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখা যায়।
উল্লেখ্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মার্কিন নীতি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা, চরমপন্থার হুমকি, ইয়েমেনের ভবিষ্যত পরিস্থিতি, ইরানের পরমাণু আলোচনা ও আঞ্চলিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।
প্রেমা/তৌহিদ