Web bengali.cri.cn   
প্রযুক্তি জগতে বিশ্বের সবচেয়ে সফল ১২ জন মানুষ !
  2015-11-05 17:18:45  cri


আপনারা কি জীবনে সফলতা পেতে চান? সফলতা অর্জনের দ্বিতীয় কোন পথ নেই, একটিই পথ, সেটি হলো পরিশ্রম। বিশ্বের প্রযুক্তি জগতে অনেকেই এ সত্যতা প্রমাণ করেছেন। যখন আপনার বয়স ২৫ বছর, তখন সফলতা থেকে অনেক দূরে ছিলেন। কিন্তু প্রযুক্তি জগতে অনেকে এ বয়সে ইতোমধ্যেই সফলতা অর্জন করেছেন।

প্রিয় শ্রোতা, চলুন আমাদের সঙ্গে দেখে নিন, প্রযুক্তি জগতে বিশ্বের সবচেয়ে সফল ১২ জন মানুষ তাদের ২৫ বছর বয়সে কী করছিলেন।

মারিসা মেয়ার

মারিসা মেয়ার সেসময় গুগলের ২০ নম্বর কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২৪ বছর বয়সে মারিসা মেয়ার গুগলের ২০ নম্বর কর্মী হন। তা ছাড়া তিনিই গুগলের প্রথম নারী প্রকৌশলী। ইয়াহু কোম্পানির সিইও হওয়ার আগ পর্যন্ত গুগলে প্রায় ১৩ বছর কাজ করেছেন তিনি।

ইলোন মাস্ক

ইলোন মাস্ক ২৫ বছর বয়সে তার প্রথম ইন্টারনেট কোম্পানি চালু করেন। ২৪ বছর বয়সে মাস্ক স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পি.এইচ.ডি. প্রোগ্রামে থাকাকালীন ঝরে পড়েন। সেবার পি.এইচ.ডি. বাদ দিয়ে ডট-কম বুমে যোগ দেন এবং জিপ২ নামে প্রথম ইন্টারনেট কোম্পানি খোলেন। জিপ২ ব্যবসায়িক দিক-নির্দেশনা এবং মানচিত্র প্রদান করত। চার বছর বাদে কমপ্যাক ৩০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে কোম্পানিটি কিনে নেয়। আর মাস্ক প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে পরবর্তী স্টার্টআপ 'ভেনচার' এবং 'পেপাল' চালু করেন।

স্টিভ জবস

অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস তার কোম্পানিকে গণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হন আর কোটিপতি হয়ে ওঠেন। ১৯৮০ সালের ডিসেম্বরে ট্রেডিংয়ের প্রথম দিন শেষে অ্যাপলের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জবস বায়ো্গ্রাফার ওয়াল্টার ইসাকসনকে বলেন, সে সময় টাকা আমার জীবন যাতে ধ্বংস না করে তার অঙ্গীকার করেছিলাম আমি।

জেফ বেজোস

অ্যামাজন সিইও জেফ বেজোস সে সময় একটি কোম্পানিতে ফাইন্যান্স বিষয়ে উচ্চ পদে চাকরি করতেন। ২৪ বছর বয়সে বেজোস ব্যাঙ্কিং ইন্সটিটিউশনগুলোতে ব্যাঙ্কার ট্রাস্ট ডেভলপিং নামে এক বৈপ্লবিক সফটওয়্যারে কাজ করতেন। ২ বছর পর তিনি কোম্পানির সহ সভাপতি হন।

ল্যারি এ্যালিসন

ওরাকলের ল্যারি এলিসন সে সময় প্রোগ্রামার হিসেবে চাকরি করতেন। ২২ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে শহরে স্থানান্তরিত হওয়ার পর নিজে নিজে প্রোগ্রামিং আয়ত্তে আনা ল্যারি পরবর্তী ৮ বছর ফায়ারম্যান ফান্ড, ওয়েলস ফার্গো এবং অ্যামপেক্সে কাজ করেছেন। আর সবশেষে আমদাহল কর্পোরেশনে প্রথম আইবিএম কম্প্যাশিবল মেইনফ্রেম সিস্টেমে কাজ করেন তিনি।

মার্ক কিউবান

মার্ক কিউবান সে সময় ডালাসে মদের দোকানে পরিবেশক হিসেবে কাজ করতেন। কিউবান ২৫ বছর বয়সে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন এবং ডালাসে চলে আসেন। ডালাসে এক মদের দোকানে কাজ শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে একটি পিসি সফটওয়্যার রিটেইলারে বিক্রেতা হিসেবে চাকরি নেন তিনি।

রিচার্ড ব্রানসন

ভার্জিন প্রতিষ্ঠাতা সেসময় সফলভাবেই বহুমুখী কোম্পানি পরিচালনা করেছিলেন। ব্রানসন ২০ বছর বয়সেই তার প্রথম রেকর্ড শপ খোলেন। এরপর ২২ বছর বয়সে স্টুডিও খোলেন। ২৩ বছর বয়সে কোম্পানির ট্যাগলাইন প্রকাশ করেন। ৩০ বছর বয়সে তার কোম্পানি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রবেশ করে।

এরিক শিমিড

গুগলের নির্বাহী চেয়ারম্যান এরিক শিমিড সে সময় কম্পিউটার বিজ্ঞানে ব্যাপক পড়াশুনা করছিলেন। শিমিড বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শিক্ষার্থী হিসেবে ৬ বছর লেখাপড়া করেছেন। ২৭ বছর বয়সে ক্যারিয়ারের প্রথম দিকের নেটওয়ার্কিং কম্পিউটার্স এবং সফটওয়্যারের উন্নয়নে মাস্টার্স ও পি.এইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। সে সময় পুরো গ্রীষ্মকালটি তিনি জেরক্স পিএআরসি ল্যাবে কাজ করে কাটিয়ে দেন। এই ল্যাবটির কাজই কম্পিউটার ওয়ার্কস্টেশন সৃষ্টিতে সহায়তা করে।

মার্ক জাকারবার্গ

অনেক পরিশ্রমের পর মার্ক জাকারবার্গ একটি কোম্পানি থেকে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হওয়া শুরু করলেন। জাকারবার্গ ফেসবুকের পেছনে পাঁচ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। সেসময় তার বয়স ছিল ২৫ বছর। ঐ বছর অর্থাৎ ২০০৯ সালে কোম্পানিটি ব্যবসায়িকভাবে লাভের মুখ দেখে এবং সারা বিশ্বে তার অন্তত ৩০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী হয়।

শেরিল স্যান্ডবার্গ

শেরিল স্যান্ডবার্গ সে সময় হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২৫ বছর বয়সে ফেসবুক সিওও হার্ভার্ডের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। সেসময় স্যান্ডবার্গ তার সাবেক প্রফেসর, পরামর্শদাতা এবং ভবিষ্যত অর্থ সচিব ল্যারি সামার্সের অধীনে বিশ্ব ব্যাংকে কাজ করতেন। এরপর ১৯৯৫ সালে হার্ভার্ডে ফিরে গিয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেন তিনি।

ওয়ারেন বাফেট

ওয়ারেন বাফেট সেসময় ওমাহাতে ইনভেস্টমেন্ট সেলসম্যান ছিলেন। ২০ বছর হওয়ার প্রাক্কালে বাফেট বাফেট-ফক এ্যান্ড কো. এর ইনভেস্টমেন্ট সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন। এরপর ২৬ বয়সে নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে নিউ ইয়র্কে স্থানান্তরিত হন তিনি। ঐ বছরেই ওমাহাতে বাফেট পার্টনারশিপ লিমিটেড নামে ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ শুরু করেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৫ বছর বয়সে তার বাবার রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এলিজাবেথ ট্রাম্প এ্যান্ড সনের দায়িত্ব পান। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টাল মনোনয়নে আশাবাদী, রিয়েল এস্টেটে ব্যবসায়ের আইকন এবং টিভি ব্যক্তিত্ব ডোনাল্ড ট্রাম্প ধনীর দুলাল ছিলেন। কিন্তু টাকার মূল্য তিনি তার বাবার কাছ থেকেই শেখেন।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040