20151029ruby.m4a
|
অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন গবেষক ক্যাং লিয়াং বলেন, অপরাধীর আঙুলের ছাপ সংগ্রহে পুলিশ ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেন। অনেক সময় জটিল কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে প্রমাণ পরীক্ষাগারে পাঠাতে হয় এবং সেখানে তাপ ও ভ্যাকুয়াম ট্রিটমেন্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আঙুলের ছাপ বের করা হয়।
কিন্তু নতুন এ পদ্ধতিতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া লাগবে না। ঘটনাস্থলেই আঙুলের ছাপ খুঁজে বের করে ডিজিটাল একটি যন্ত্রে তার ছবি তুলে রিয়েল টাইমে আগের ডেটাবেজে মিলিয়ে নেওয়ার সুবিধা থাকবে।
গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা যে মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক (এমওএফ) ক্রিস্টাল লিকুইড তৈরি করেছেন তা কোনো পৃষ্ঠে এক ফোঁটা ফেলে আলট্রাভায়োলেট লাইট দিয়ে দেখলে অদৃশ্য আঙুলের ছাপ দৃশ্যমান হয়ে উঠবে। ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, পেপটিড ও লবণ দিয়ে তৈরি এই তরল পৃষ্ঠের ওপর হালকা একটি প্রলেপ তৈরি করে যা আঙুলের ছাপের অনুরূপ বা রেপ্লিকা তৈরি তৈরি করতে পারে। এটি বেশ সূক্ষ্ম স্তরে কাজ করায় ছাপ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে বলে দাবি করেছেন লিয়াং।
জানালা, মদের গ্লাস, ধাতব ব্লেড, প্লাস্টিকের বৈদ্যুতিক বাতি প্রভৃতির ওপর এ তরল পদার্থটির পরীক্ষা চালিয়ে সফল হওয়ার দাবি করেছেন গবেষকেরা। গত ১০০ বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা আঙুলের ছাপ শনাক্তকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।