"It's Shakespeare।"
"It's "To be or not to be, that is the question।"
ব্রিটিশ সাংস্কৃতিক কমিটির এক জরিপে দেখা গেছে, শেকস্পিয়ার হলেন ব্রিটিশদের সাংস্কৃতিক প্রতীক। ব্রিটেনের রাণী ও ডেভিড বেকহামের পর শেকস্পিয়ার হলেন চীনাদের সবচেয়ে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। চীনের অনেক মানুষ শেকস্পিয়ারের জনপ্রিয় সাহিত্যগুলোর ডায়ালগ মুখস্থ বলতে পারে।
গত জুলাই মাসে, চীনের জাতীয় নাট্য থিয়েটারের চীনা ভাষার 'রিচার্ড-থ্রি' লন্ডনে পরিবেশন করা হয়েছে। ব্রিটেনের দর্শকদের কাছে তা বেশ জনপ্রিয় হয়।
রয়্যাল শেকস্পিয়ার থিয়েটারের ম্যানেজার ক্যাথেরিন (Katherine) বলেন, বিভিন্ন ভাষায় শেকস্পিয়ারের নাটক দেখেছেন তিনি, কিন্তু চীনা ভাষায় শেকস্পিয়ার নাটকের বক্তব্যগুলো খুবই চমত্কার।
"আমি খুবই উপভোগ করেছি। এত প্রাণবন্ত। শেকস্পিয়ার হলেন বিশ্বের সম্পদ। তার কর্ম বিশ্ব সাহিত্যের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। চীনা ভাষার 'রিচার্ড-থ্রি' অনেক চমত্কার।"
সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে Katherine ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্নের সঙ্গে চীনে সফর করেন। সফরে দু'পক্ষের অভিন্ন শেকস্পিয়ার উপন্যাস অনুবাদের পরিকল্পনা ঘোষণা হয়। বিখ্যাত পরিচালক গ্রেগরি ডোরান, চীনের ফু তান বিশ্ববিদ্যালয়ের শেকস্পিয়ার উপন্যাসের বিশেষজ্ঞ চিয়াং ছোং এবং সাংহাই নাট্যকেন্দ্রের নাটক লেখক ইয়ু রংসহ যৌথভাবে হেনরি ফাইভ (Henry V) অনুবাদ করবে।
ক্যাথেরিন বলেন,
"শেকস্পিয়ারের কাজগুলো অনুবাদ করা খুবই কঠিন। কারণ শেকস্পিয়ারের মতো ইংরেজি শব্দের সুন্দর ব্যবহার আর কেউ করতে পারেনি। কিন্তু চীনা অনুবাদকরা শেকস্পিয়ারের কবিতা ও ছন্দ অনুবাদ করেছে। যা অনেক সুন্দর।"
চীন সফরে ক্যাথেরিন দু'দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কাজ স্বচক্ষে দেখেছেন। তিনি মনে করেন, চীন-ব্রিটেন উচ্চ পর্যায়ের পারস্পরিক সফর হলো দু'পক্ষের সমঝোতা প্রতিষ্ঠার শ্রষ্ঠ পদ্ধতি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ব্রিটেন সফর দু'দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের অনেক সুযোগ দিয়েছে।
"আমি বিশ্বাস করি দু'দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সংলাপ করি, গল্প শেয়ার করি, উভয়ের সংস্কৃতি জানার চেষ্টা করি। যাতে আরো ঘনিষ্ঠ হওয়া যায়।"
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়, যেমন ম্যানচেস্টার, সাউথহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক প্রতিষ্ঠান চীনা সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র চালু করেছে। আরো বেশি ব্রিটিশ নাগরিক চীনের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে পড়তে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমৎকার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।
চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান
(জিনিয়া/তৌহিদ)