মা তোং মেইয়ের খোঁজ খবর জানার পর সিয়া লুও ভীষণ অভিভূত হয়ে পড়েন। তিনি একা একা মা তোং মেইয়ের বাড়িতে চলে যান। মা তোং মেই সিয়া লুও'র জন্য নুডলস রান্না করেন। নুডলসের সুপরিচিত স্বাদগ্রহণ করে সিয়া লুওয়ের মনে অনেক রকমের অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
সিয়া লুও মা তোং মেইয়ের স্বামীকে বলেন, আমি আমার সব জিনিস তোমাকে দিতে চাই। আমার টাকা, আমার মর্যাদা, আমার সফলতা, এর বিনিময়ে আমি কেবল মা তোং মেইকে চাই।
চলচ্চিত্রের শেষে অতীত সময়ে ফিরে যাওয়া সিয়া লুও এইডস রোগে আক্রান্ত হন। তিনি মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকেন।
তখন মা তোং মেই তাকে দেখার জন্য হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে সিয়া লুওয়ের হাত ধরে মা তোং মেই তাকে বলেন, তুমি জানো? যদিও তুমি পরে অনেক গায়কের জন্য অনেক জনপ্রিয় গান রচনা করেছো, তবে আমি ছিউ ইয়ার জন্য তোমার লেখা সেই গানটি খুব পছন্দ করি। এখন আমি তোমার জন্য সেই গানটি গাইবো। তুমি শোনো। এসময় গান শুনতে শুনতে সিয়া লুওয়ের চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে।
সেই মুহূর্তে সিয়া লুও জেগে ওঠেন। কত সৌভাগ্যবান। উল্লেখিত সব বিষয় মাত্র তার একটি স্বপ্ন। বাস্তব জীবনে প্রিয় মা তোং মেই তার স্ত্রী এবং তিনি এইডস রোগে আক্রান্ত হন নি।
তখন থেকে তিনি আন্তরিকভাবে স্ত্রীকে মূল্যায়ন করতে থাকেন এবং আশেপাশের মানুষের সঙ্গে মিশতে শুরু করেন। আর এখানেই শেষ হয় গোটা চলচ্চিত্রটি।
'আলোছায়া' পরিবেশনায় লিলি লাবণ্য ও এনামুল হক টুটুল।