গতকাল (রোববার) পেইচিংয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রেসিডেন্ট।
সাক্ষাতকারে সি চিন পিং ব্রিটেনের নেতাদের এবং বিভিন্ন মহলের বন্ধুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধীর, তবে চীন ও ব্রিটেনের পুঁজি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা স্থিতিশীলভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। ইইউ'র আওতায় ব্রিটেন ইতোমধ্যেই চীনে পুঁজি বিনিয়োগকারী দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হয়েছে। আর চীন হলো ইইউ'র বাইরে ব্রিটেনে পুঁজি বিনিয়োগকারী দ্বিতীয় বাণিজ্যিক অংশীদার।
চীন ব্রিটেনের সঙ্গে সহযোগিতার মান উন্নয়ন করতে, সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করতে এবং দু'দেশের জনগণের কল্যাণ বয়ে আনতে ইচ্ছুক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সি চিন পিং আরো বলেন, চলতি বছর হলো চীন ও ব্রিটেনের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কের দ্বিতীয় দশ বছরের শুরুর বছর।
চলতি বছর চীন ও ইইউ'র কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪০ বছর পূর্তি।
চীন-ব্রিটেন সম্পর্ক এবং চীন-ইইউ সম্পর্কের উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ সুযোগের সম্মুখীন হচ্ছে। চীন-ব্রিটেন সম্পর্কের নতুন উন্নয়ন চীন-ইইউ সম্পর্ককে আরো প্রাণচঞ্চল করবে বলে প্রেসিডেন্ট সি আশা প্রকাশ করেন।
এশিয়ার অবকাঠামো পুঁজি বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) সম্বন্ধে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীনের এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উত্থাপনের উদ্দেশ্য হলো এশীয় অঞ্চলের অবকাঠামো নির্মাণ এবং পারস্পরিক যোগাযোগ উন্নয়ন করা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা।
এআইআইবি ব্যাংকে যোগ দেয়ায় ব্রিটেনকে স্বাগত জানায় চীন। চীন ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এ ব্যাংককে পুঁজি বিনিয়োগের একটি পেশাদার ও দক্ষ মঞ্চে উন্নয়ন করতে এবং এশিয়া ও বিশ্বের উন্নয়নের জন্য সক্রিয় অবদান রাখতে ইচ্ছুক।
এছাড়া সাক্ষাতকারে সি চিন পিং জলবায়ু পরিবর্তন, দক্ষিণ চীন সাগরের সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমনের সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন। (শুয়েই/টুটুল)