Web bengali.cri.cn   
কানের সমস্যাগুলো!
  2015-10-08 19:38:27  cri


কান মানবদেহের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়। যেমন কানে কম শোনা, কান দিয়ে পুঁজ পড়া, কানে ব্যথা, ইনফেকশন, কোনো কিছু ঢোকা, রক্ত জমা, কানের পর্দা ফেটে যাওয়া ইত্যাদি। এই রোগগুলো কখনো কখনো খুবই মারাত্মক পর্যায়ে যেতে পারে, যদি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করা না হয়।

কানে ব্যথা:

কানের মধ্যভাগে ফ্লুইড বেড়ে যাওয়ার কারণে কান ব্যথা হয়ে থাকে।

ফ্লুইড বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ হলো, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ, অ্যালার্জি, ঠাণ্ডা, কানে পানি ঢোকা, দুর্ঘটনায় কানে ব্যথা পাওয়া, ফাঙ্গাস, কানের ভেতরে ব্রণের সমস্যা, কানের কোনো রোগ ইত্যাদিসহ আরও নানা কারণ। তবে এই সময় কানে কিছু ঢোকানোর চেষ্টা করবেন না একেবারেই। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। কানে ব্যথা উপশমের জন্য ঘরোয়া চিকিত্সা নিতে পারেন। এতে চটজলদি তীব্র কানে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। এ ছাড়া গরম পানির ভাপ নেয়া, লবণ গরম করে কাপড়ে পেঁচিয়ে আক্রান্ত কানে ভাপ নেয়ার মাধ্যমেও কানে ব্যথা দূর হয়। যদি পদ্ধতিগুলোতে কাজে না লাগে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কানে ফাঙ্গাস ও ক্ষত হওয়া

কানের মধ্যে অনেক সময় ফাঙ্গাস এবং ক্ষত হয়। সাধারণত কান খোঁচানোর জন্য কানের মধ্যে ফাঙ্গাস হয়ে থাকে। কান পরিষ্কার করা কিংবা কান খোঁচানো অনেকেরই অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব কাজে ব্যবহার করা হয়, কটনবাড থেকে মুরগির পালক, কলমের মুখ, চুলের ক্লিপ ইত্যাদি। এসব কিছুই কানের এই রোগটির জন্য দায়ী। কানে ফাঙ্গাস হওয়ার কারণে কান চুলকায়। সাথে ইনফেকশন বেড়ে প্রদাহ হলে ব্যথা হয়, কষ ঝরে ও কান বন্ধ হয়ে থাকে। অনেক সময় কানের ভিতরে ক্ষত হয়ে ফাঙ্গাসের সাথে কানের বাইরের পথটিতে ক্ষত সৃষ্টি হলে ব্যথা মারাত্মক আকার ধারণ করে। তবে চিকিত্সায় পুরো সেরে যায় সমস্যাটি। ওষুধের চিকিৎসা শুরুর আগে ইএনটি বিশেষজ্ঞ দিয়ে কান পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে।

মধ্যকর্ণে প্রদাহ

এই সমস্যা শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। তবে বড়দেরও হয়। সাধারণত উর্ধ্বশ্বাসনালীর প্রদাহ, টনসিলের ইনফেকশন, এডিনয়েড নামক গুচ্ছ লসিকা গ্রন্থির বৃদ্ধি ইত্যাদি থেকে এই ইনফেকশন হয়ে থাকে। এই রোগে কানে বেশ ব্যথা হয়, কান বন্ধ মনে হয়। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না করলে কানের পর্দা ফুটো হয়ে রোগটি কান পাকা রোগে রূপ নিতে পারে। এন্টিবায়োটিক ও নাকের ড্রপসহ অন্যান্য ওষুধ হচ্ছে এই রোগের চিকিৎসা।

কানে দম ধরা

সাধারণত হঠাত্‌ ঠাণ্ডা লেগেই কান বন্ধ হয়ে যায়। কানে শব্দ হয়, ব্যথাও হতে পারে। শব্দ শুনতেও অসুবিধা হয়।‌ আমাদের নাকের উপরাংশের (ন্যাসোফ্যারিংস) সঙ্গে কানের একটা সংযোগ নালী আছে, যার নাম ইউস্টেশিয়ান টিউব। ঠাণ্ডা লাগলে জল বা সর্দি জমে এটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দ্রুত চিকিত্সার ব্যবস্থা না করলে এই জল বা সর্দি কানের পর্দা ফুটো করে দিতে পারে, যার ফলে কানে জল বা পুঁজ গড়াতে পারে। এ অবস্থায়‌ নাক ও মুখ বন্ধ করে ঢোঁক গিললে উপকার পাওয়া যায়। এটা এই অসুখের এক ধরনের ব্যায়াম।

কানে জল বা পুঁজ:

কানে জল বা পুঁজ এক অতি পরিচিত সমস্যা। অনেকের সারা বছর কান ভাল থাকে। কিন্তু কানে নোংরা জল ঢুকলে, নাক ও বুকে সর্দি লেগে থাকলে, বারে বারে টনসিলাইটিস ও ফ্যারিনজাইটিসে আক্রান্ত হলে, হঠাত্ করে কানের পর্দা ফেটে গেলেও কানে জল দেখা দিতে পারে। ধীরে ধীরে পুঁজ তৈরি হয়। এ এক বিড়ম্বনার অসুখ। নাক, গলা, দাঁত, সাইনাস, বুক যে কোনও জায়গার ইনফেকশন থেকে এটা হতে পারে। এ ছাড়া অপুষ্ট আহার, নোংরা পরিবেশে বসবাস, অ্যালার্জি ও নোংরা জলে দীর্ঘ স্নান এ সমস্যা সৃষ্টি করে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040