Web bengali.cri.cn   
ব্রাসেলসে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন
  2015-09-29 19:56:41  cri
বন্ধুরা, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। এ অনুষ্ঠানে আপনারা বিভিন্ন ছোট গল্প, আধুনিক ও প্রাচীন কবিতা, সাহিত্যিকের জীবনী ও তাদের কর্ম, উপন্যাস, নাটক- এক কথায় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে শুরু করা যাক, আজকের 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক অনুষ্ঠান।

প্রথমেই শুনুন 'শি চিন পিং: দ্যা গভর্নেস অফ চায়না' পোলিশ ভাষায় অনুদিত শিরোনামে একটি প্রবন্ধ। আশা করছি, বন্ধুদের এটি ভালো লাগবে।

বন্ধুদের কি মনে আছে যে, মে মাসে 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানে আমি জানিয়েছিলাম, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বহু ভাষায় অনুবাদিত বই, 'The Governance of China' বইটি লন্ডন বই মেলায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সম্প্রতি পোল্যান্ডের ভাষায় অনুবাদিত 'শি চিন পিং: দ্যা গভর্নেস অফ চায়না' বইটির ব্রিফিং নিয়ে দেশটির রাজধানী ওয়ার্শে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পোল্যান্ডে চীনের রাষ্ট্রদূত স্যুই চিয়েন, বইটির অনুবাদক ডক্টর Sylwestr Szafarz, পোল্যান্ডের প্রকাশনা মহল এবং চীন-পোল্যান্ডের এক'শও বেশি মানুষ এতে উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রদূত স্যুই বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন বিশ্ব জুড়ে বেশ কিছু বিষয়ে সুনাম অর্জন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বেড়েছে। দেশি-বিদেশি বন্ধু চীনের ওপর আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তারা চীনের উন্নয়নের পথ গবেষণা করছে। 'The Governance of China' বই প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী তা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বইটি বিক্রির রেকর্ড ৫ মিলিয়নও বেশি। পোলিশ ভাষায় 'শি চিন পিং: দ্যা গভর্নেস অফ চায়না' ওয়ার্শের নাগরিকদের চীনের প্রশাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে অনেক স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারবে। অর্থনৈতিক প্রশাসন পদ্ধতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ টপিক নিয়ে প্রেসিডেন্ট সি'র বইতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। বইটিতে প্রেসিডেন্ট সি তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। যা খুবই আকর্ষণীয়। প্রেসিডেন্ট সি'র দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার সঙ্গে চীনা জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পশ্চিমা পাঠকরা এটা নিয়ে খুবই আগ্রহী। দু'টি কারণে এ বই এত জনপ্রিয়। প্রথমত, চীনের উন্নয়ন, বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এত দ্রুত যা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দ্বিতীয়ত, প্রেসিডেন্ট সি'র ওপর চীনের আস্থা আছে। যা চীনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা করে।

২০১২ সালে ১৫ নভেম্বর থেকে ১৩ জুন ২০১৪ সাল পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট সি'র লেখা গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। বইটির বহুভাষায় অনুবাদগুলো গত বছর অক্টোবরে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রথমবারের মত প্রকাশিত হয়।

উল্লেখ্য, মে মাসে লন্ডন আন্তর্জাতিক বই মেলায় প্রেসিডেন্ট সি'র বইটি নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিয়েছেন ব্রিটেনে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ সিয়াও মিং, ব্রিটেনের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিওফ্রে হওসহ চীন ও ব্রিটেনের বিভিন্ন মহলের মানুষ।

 বৈশিষ্ট্যময় পাফর্ম্যান্স

বন্ধুরা, পোল্যান্ড ছেড়ে এবার আমরা ব্রাসেলসে যাবো। ১৬ সেপ্টেম্বর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রীয় পরিষদের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়েন তুং এবং বেলজিয়ামের উপ-প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিদিয়ের রেইন্দ্রেস যৌথভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তারা অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে চীনা সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যময় পাফর্ম্যান্স দেখেছেন।

 

চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র

আরহু ও চেলোর বাজিয়ে চীনের লোকসঙ্গীত 'লিয়াং চু'র সঙ্গে সঙ্গে ব্রাসেলসে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুরু হয়। বেলজিয়াম ও ইইউ'র বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিরা এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

উপমন্ত্রী লিউ ইয়েন তুং অনুষ্ঠানে বলেছেন,

লিউ ইয়েন তুং

"চীন ও বেলজিয়াম দু'টি দেশের সঙ্গীতজ্ঞ এত সুন্দরভাবে সমন্বয়ের সঙ্গে পরিবেশন করেছেন যে, তাতে বোঝা যায় সাংস্কৃতিক জগত সীমানাহীন।"

২০১৩ সালে অক্টোবরে চীন-বেলজিয়াম 'ব্রাসেলসে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার স্মারকলিপি' স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত বছর মার্চে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেলজিয়ামে সফরে বেশ কয়েকবার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করেছেন। ব্রাসেলসে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক ইয়েন চেন ছুয়ান বলেছেন,

'আমাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি আনন্দময়, স্বাভাবিক ও উষ্ণতার পরিবেশ তৈরি করা উচিত। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় লোকদের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ হওয়া। যাতে আরো বেশি মানুষ এখানে আসে, চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে।"

লিউ ইয়েন তুং বলেছেন,

রাষ্ট্রীয় পরিষদের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়েন তুং এবং বেলজিয়ামের উপ-প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিদিয়ের রেইন্দ্রেস

"গত শতাব্দীর ৩০ দশকে, চীনের ভাস্কর চিয়াং ছং রেন এবং বেলজিয়ামের ব্যঙ্গচিত্র অংকনকারী হার্জ (Hergé) যৌথভাবে 'The Adventures of Tintin: Blue Lotus' রচনা করেছিলেন। এতে ইউরোপ এবং ফরাসী ব্যবহার নাগরিকরা চীন সম্বন্ধে অনেক বেশি জানতে পেরেছিলেন। ৮০ বছর আগে, কার্টুন 'টিনটিন' (Tintin) হাজার হাজার মাইল দূর থেকে চীনে এসেছে। আর ৮০ বছরে পর আজ, আমরা বেলজিয়ামে এসে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি, আমি বিশ্বাস করি, ওয়ার্শের বন্ধুরা একটি সত্যি, রঙিন চীনা সংস্কৃতি উপভোগ করতে পারবে।"

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040