চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং
সেপ্টেম্বর ২৯ : চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (সোমবার) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন।
ভাষণে সি চিন পিং উল্লেখ করেন, শান্তি হচ্ছে মানবজাতির অভিন্ন আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং মহান লক্ষ্য। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী মিশন শান্তির জন্য কাজ করছে এবং বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ উপায়ে পরিণত হয়েছে। শান্তিরক্ষী মিশন সংঘর্ষময় অঞ্চলে আস্থার সাথে কাজ করে এবং স্থানীয় জনসাধারণকে ভরসা দেয়।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীন শান্তি রক্ষার মৌলিক নীতি, জাতিসংঘ সনদ ও হামার্সজোল্ড নীতি অনুসরণ করে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচিত সম্পূর্ণভাবে তা কার্যকর করা। যে কোন দেশের নিজের অধিকারের বাইরে কোনো কাজ করা যাবে না। শান্তিরক্ষী মিশনকে সুসম্পন্ন করতে হবে। শান্তিরক্ষী মিশন নিয়ন্ত্রিত কূটনীতি, শান্তি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সংযুক্ত করা, রাজনৈতিক মধ্যস্থতা, আইন প্রশাসন ত্বরান্বিত, জাতীয় সমঝোতা ও জনগণের জীবিকার উন্নয়ন এক সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার।
তিনি বলেন, আফ্রিকাকে সাহায্যদানের মাত্রা বাড়াতে হবে। আফ্রিকান দেশগুলোর নিজস্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার সামর্থ্য উন্নত করায় সমর্থন করতে হবে। যাতে নিজস্ব উপায়েই আফ্রিকার সমস্যা সমাধান করা যায়।
সি চিন পিং ঘোষণা করেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হিসেবে চীন ২৫ বছর ধরে শান্তি রক্ষী মিশনে অংশ নিয়েছে। চীন শান্তিরক্ষী মিশনে সৈন্য পাঠানোর প্রধান দেশ ও করদাতা দেশ। চীন সক্রিয়ভাবে জাতিসংঘের অনুমোদন বিবেচনা করে শান্তিরক্ষী মিশনের জন্য আরো বেশি প্রকৌশলী, পরিবহন ও চিকিত্সক পাঠাবে।
তিনি জানান, পরবর্তী পাঁচ বছরে চীন বিভিন্ন দেশের জন্য ২ হাজার জন শান্তিরক্ষী কর্মী প্রশিক্ষণ দেবে। এছাড়াও ১০টি মাইন অপসারণ সহায়তা প্রকল্প করবে। চীন আফ্রিকান ইউনিয়নকে ১০ কোটি মার্কিন ডলার অপরিশোধযোগ্য সামরিক সাহায্যদান অর্থ দেবে। চীন আফ্রিকায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের জন্য প্রথম হেলিকপ্টার দল মোতায়ন করবে।
৭০টিরও বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতা বা প্রতিনিধিগণ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। (ইয়ু/মান্না)
| ||||