সাক্ষাতে সি চিন পিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশ সুপ্রতিবেশী রাষ্ট্র, ভালো বন্ধু ও অংশীদার। চীন বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক অংশীদার হিসেবে দেখে এবং বাংলাদেশে সঙ্গে অব্যাহতভাবে উচ্চ পর্যায়ের লেনদেন, বাণিজ্য, জ্বালানি উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক। চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চার দশক পূর্তির অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে এবং শিক্ষা ও সাংবাদিক মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াবে, যাতে দু'দেশের জনগণের আরও কল্যাণ হয়। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমন্বয় ও যোগাযোগ বজায় রাখার কথা বলেন প্রেসিডেন্ট সি। চীন বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যথাসাধ্য সমর্থন দেবে বলেও জানান তিনি।
সি চিন পিং আরও বলেন, বাংলাদেশে চীনা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং দু'দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক প্রকল্পে ঋণ প্রবাহ বাড়াতে চায় চীন। বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণে ঢাকার গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট সি।
অন্যদিকে শেখ হাসিনা বলেন, বিগত চার দশকে বাংলাদেশ ও চীনের ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে চীনের দীর্ঘ সমর্থন ও সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান হাসিনা। তিনি বলেন, সি চিন পিংয়ের সভাপতিত্বে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতামূলক গোলটেবিলে অংশ নিতে পেরে তিনি আনন্দিত। বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক, ব্যাংকিং, অবকাঠামো নির্মাণ, সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে এবং বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে ইচ্ছুক।
(ওয়াং তান হোং.তৌহিদ)