লেখক স্যু থং
তুরস্কের (Okan) ওকান বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ক্লাসরুম সম্প্রতি 'চীনা সংস্কৃতির মুখোমুখি' শিরোনামে একটি সাহিত্য আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে চীনের বিখ্যাত লেখক স্যু থংসহ পাঁচ জন সমসাময়িক চীনা লেখক এবং তুর্কি লেখকরা সম্মিলিতভাবে চীনা সাহিত্যের বিশেষ আকর্ষণী ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করেছে। ইস্তাম্বুলে চীনের কনস্যুলেট জেনারেল শার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ডিং সিয়াও হং আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ডিং সিয়াও হং আলোচনা সভায় এক ভাষণে বলেছেন, দু'হাজার বছর আগের 'রেশম পথ' এবং নতুন যুগের 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রকল্পে চীন-তুরস্ক সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে। রেশম পথ কেবল দু'দেশের বাণিজ্যিক স্থানই নয়, এ পথ একটি মিলন ক্ষেত্রের মতো দুই বন্ধু দেশকে যুক্ত করে রাখছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো সাহিত্য। দু'দেশের লেখকদের বিনিময় অবশ্যই দু'টি সাংস্কৃতিক মহল এবং জনগণের সংস্কৃতির প্রতি জানাশোনা বাড়াবে।
তুরস্কের বিখ্যাত কবি, লেখক মিত আহমেত জানিয়েছেন, চীনের সংস্কৃতি হচ্ছে প্রাচ্য সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। তুরস্ক জাতির শেকড়ও প্রাচ্য সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। তাই, তুরস্কের লেখকরা প্রত্যাশা হলো, চীনের বিখ্যাত লেখকরা তুরস্কে গিয়ে প্রাচ্য সাহিত্যের সৌন্দর্য তুলে ধরবেন। গত কয়েক বছরে চীনা সাহিত্যিক কর্ম ধীরে ধীরে তুরস্কের সাহিত্যের মহলে প্রবেশ করেছে। <মি>, <উও দ্যা দি ওয়াং সেং হুও> এবং <ছি ছেই ছেং ছুন> তিনটি চীনা বই তুর্কি ভাষায় অনুদিত হওয়ার পর, বই তিনটির লেখক স্যু থং তুরস্কের পাঠকদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
সাহিত্য আলোচনা সভা
স্যু থং বলেছেন, রচনা হলো পথের বাতির মতো, আর পাঠক হলো বাতির নিচের পথচারী। সাহিত্যে কোনো সীমানা নেই, এ জগতে লেখনীর মাধ্যমে পাঠকদের সঙ্গে মিলিত হওয়া যায়। প্রত্যেক লেখক নিজ জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি থেকে উপকৃত হয়। তাই স্যু থং আশা করেন, চীনের ক্লাসিক্যাল সাহিত্যের শীর্ষ স্থানীয় উপন্যাস <红楼梦>-হং লও মেং তুরস্কে জনপ্রিয়তা পাবে।
হে পেই প্রদেশের লেখক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট হু স্যুই ওয়েন, সান ইয়েত-সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষা বিভাগের প্রফেসর সিয়ে ইও সুন, শানসি প্রদেশের লেখক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট কিয়ে স্যুই ফিং, ছিং হাই প্রদেশের লেখক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাও ইও ইয়ুন এবং কাগজ পত্রিকা <ওয়েন ই>র সম্পাদক উ ফিয়েন ফিয়েন এবার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।