20150910ruby
|
সাজ ও পোশাকের দিকে খেয়াল রাখুন
স্মার্ট নারীদের সর্বপ্রথম নিজের সাজ ও পোশাকের দিকে মনোযোগী হতে হয়। কারণ সব মানুষেরই প্রথমে নজর পড়ে সাজ ও পোশাকের দিকে। সুন্দর ও পরিপাটি পোশাকের একজন নারী সহজেই অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। এতে তার রুচির পরিচয় পাওয়া যায়। সমাজ ও পরিবেশের সঙ্গে বেমানান পোশাক পরবেন না। তাই স্মার্টনেসের জন্য শুরুতেই পোশাক-পরিচ্ছদে পরিপাটি হওয়া আবশ্যক।
সুন্দর কথা বলার কৌশল শিখুন
সুন্দর কথা সবাই পছন্দ করে। ভালো কথা বা সুন্দর কথার গুরুত্ব সবাই দেয়। তাই আমাদের উচিত সুন্দর করে কথা বলা। সেইসঙ্গে কথা বলার সময় কোনো অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য না করা। কারো নেতিবাচক দিকগুলো না বলে ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা। অন্যকে সম্মান করতে শেখা। বয়সে ছোট হলেও আপনি বলে সম্মানসূচক সম্বোধন করাটা বেশ ভালো একটা গুণ। নিজের কথা দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া যে আপনার মানসিকতা অনেক উন্নত। কোনো মানুষ সম্পর্কে ভাল কিছু না বলতে পারলে খারাপ কিছু বলবেন না। এতে আপনার সুন্দর চরিত্র ফুটে উঠবে।
মুখে সবসময় হাসি
মুখটা সব সময় ভার করে রাখবেন না। চেষ্টা করুন গম্ভীর বা ভাব গাম্ভীর্যে ভরপুর না থেকে আলতো একটি হাসি ধরে রাখতে। এটি আপনার বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের প্রকাশ ঘটাবে। যদি কখনো অপ্রীতিকর অবস্থার সম্মুখীন হন তাহলে কিংকর্তব্যবিমুঢ় না হয়ে মৃদু হেসে পরিস্থিতি সামাল দিন। আপনার স্মার্টনেস প্রকাশের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।
দায়িত্বশীল হন
কেবল পুরুষই কি সব দায়িত্ব পালন করে? এক্ষেত্রে কি নারীর কোনো দায় নেই? অবশ্যই আছে। যাই হোক আপনি একজন কন্যা কিংবা স্ত্রী, আপনার পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দায়িত্ব ভাগ করে নিন। এতে পরিবারের সম্পর্ক আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। কর্মক্ষেত্রেও অবশ্যই দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন। কাজের ক্ষেত্রে দোষ-ত্রুটি হতেই পারে। কাজ থেকে পালানো যেমন ভালো নয়, তেমনি কাজে দোষ-ত্রুটি হলে তা অস্বীকার না করাও ভালো নয়। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। অন্য কারো ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়া একটি বড় অন্যায়। এ কাজটি করার আগে চিন্তা করে দেখতে হবে, সে দোষটি আসলে কার। একজন স্মার্ট নারী কখনো দায়িত্ব এড়িয়ে চলবে না।
ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা
হয়তো আপনার চাকরি করার প্রয়োজন নেই, তবুও নিজের একটা ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করা উচিত। প্রতিটি ছোটো খরচের জন্য স্বামীর কাছে হাত পাতা স্মার্ট নারীদের আচরণ নয়। নিজের খরচ নিজে যোগাড় করতে পারাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ছাড়া জরিপে প্রকাশিত হয়েছে যে, ৮৩.৪% পুরুষই সঙ্গিনী হিসেবে একজন চাকরিজীবী নারী খুঁজে থাকেন।
কারণ, অনেক পুরুষ মনে করেন, চাকরিজীবী নারী আরও স্মার্ট হয়। তারা জানেন, কি করলে দু'জনেরই সম্পর্ক আরও মজবুত থাকে। বাসায় বসে শুধু দুশ্চিন্তা করলে সুসম্পর্কের অনেক ক্ষতি হয়।
ঘরে-বাইরে সামলানোর কৌশল শিখুন
একজন স্মার্ট মেয়ে সব দিকে সামলাতে পারে। ঘর সামলানো, ক্যারিয়ার সামলানো, সন্তান, পরিবার, সামাজিকতা সবকিছুই তারা সামাল দেন একা। একজন স্মার্ট নারীকে এই ভারসাম্য রক্ষার কৌশল শিখতে হয়।
সত্ মানুষ হোন
স্মার্ট লোকজন আজকাল এই অংশটি বাদ দিয়েই স্মার্ট বনে যাচ্ছেন। যারা নির্ভীক তারাই হয় সৎ এবং সত্যবাদী। যে নিজের অন্যায় অন্যকে জানাতে ভয় পায় সে হয় মিথ্যাবাদী। তাই সত্যবাদী হয়ে স্মার্ট হওয়াটা অবশ্যই। একজন মিথ্যাবাদী মানুষ যতোই স্মার্টনেস অর্জন করুক না কেন, তা স্থায়ী হয় না বেশি দিন। সত্ মানুষই হলো প্রকৃত স্মার্ট।
বদ অভ্যাস বাদ দিন
অনেক মানুষেরই কিছু খারাপ অভ্যাস রয়েছে। এসব কারণে তারা নিজেদের অবস্থান হারিয়ে ফেলেন। যেমন, নেশা করা, উত্কট পোশাক আশাক পরা এবং অসোভন কিছু করা ইত্যাদি। এসব বাদ দিতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। তা না হলে স্মার্ট হতে পারবেন না।
প্রেমের জন্য অস্থিরতা নয়
হ্যাঁ, প্রেম জীবনের একটা অংশ বটে। কিন্তু পুরো জীবন নয়। প্রেমের জন্য নিজের জীবন নষ্ট করে ফেলা বা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বাকি জীবন কাঁদতে কাঁদতে পার করে দেওয়ার যুগ শেষ। আজকের নারীদের জানতে হয়, প্রেমকে সামলে জীবন চালাতে।(ওয়াং তান হোং.তৌহিদ)