Web bengali.cri.cn   
চীনের শেনইয়াং লিকং বিশ্ববিদ্যালয়
  2015-09-09 18:16:24  cri


সম্প্রতি চীনের হানবানের উদ্যোগে 'আন্তর্জাতিক ভাষা ও সংস্কৃতি প্রচার কেন্দ্রের সফল অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বিশেষ সেমিনার' পেইচিং ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হয়।

হানবানের উচ্চপর্যায়ের উপদেষ্টা, পেইচিংয়ে গ্যাটে ইন্সটিটিউটের ডিন মাইকেল কান আকারম্যান, ইতালির সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিনিধি থাং দি, পেইচিং সার্ভেন্তেস ইন্সটিটিউটের ডিন ইনমা গঞ্জালেস এবং জাপানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ইয়োশিকাওয়া তাকেজি ও বিদেশের ৩০টি দেশের ৫২ জন কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের ডিন এ সেমিনারে অংশ নেন।

সেমিনারে চীনে অবস্থিত চারটি দেশের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তি নিজের পক্ষ থেকে সংস্কৃতি প্রচারের অভিজ্ঞতা ও সম্মুখীন সমস্যা নিয়ে চীনা ডিনদের সাথে সংলাপ করেন।

সেমিনারে ভাষা প্রশিক্ষণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি সংস্কৃতির আদান-প্রদান ও প্রচার নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ইতালির সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিনিধি থাং দি মনে করেন, ইতালির নানান ফ্যাশন প্রদর্শনীতে চীনের সংস্কৃতি তুলে ধরার একটি ভালো সুযোগ রয়েছে। যেমন ভেনিস চলচ্চিত্র উত্সবে চীনা চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া ভেনিস শিল্পকলাতে চীনের শিল্পকর্ম তুলে ধরা যায় এবং মিলানের ডিজাইন সপ্তাহে চীনা ডিজাইনারদের শিল্পকর্মও প্রদর্শন করা যায়।

জাপানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ইয়োশিকাওয়া তাকেজি মনে করেন, বর্তমানে চীনের বিদেশে সংস্কৃতি প্রচারের পদ্ধতির অনেক মিল রয়েছে। দেশটি অধিকাংশই ক্লাসিকাল শিল্পকর্ম পরিচয় করিয়ে দেয়।পরে নতুন যুগের শিল্পকর্মের পরিচয় তুলে ধরতে পারবে।

পেইচিংয়ে গ্যাটে ইন্সটিটিউটের ডিন ও কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটে কাজ করা মি. আকারম্যান মনে করেন, সাংস্কৃতিক বিনিময় শুধু নিজ দেশের সংস্কৃতি বিদেশে তুলে ধরা নয়, বরং সংশ্লিষ্ট দেশের সভ্যতার সাথে গভীর সমঝোতা করা। এভাবে বিভিন্ন স্থানের বৈশিষ্ট্য মিলে নিজ সংস্কৃতিকে যথাযথভাবে পরিচয় করে দেওয়া যায়।

সাংস্কৃতিক বিনিময় ও ভাষার প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করা শিক্ষকদের যোগ্যতা সাধারণ কূটনৈতিক কর্মের চেয়ে আরও কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, নিজ দেশ বা বিদেশের সংস্কৃতি, ভাষা, জীবনযাপন পদ্ধতি নিয়ে গভীরভাবে গবেষণা করতে হবে এবং নিজের পদ্ধতিতে বিভিন্ন সংস্কৃতির আদান-প্রদানে অবদান রাখতে হবে।

সার্ভেন্তেস ইন্সটিটিউটের প্রতিনিধি ইনমা বলেন, বিদেশি সংস্কৃতি প্রচার কেন্দ্রের দায়িত্বের অনেক মিল রয়েছে এবং প্রায় একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটসহ বিশ্বের নানান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জন্য এ সেমিনারের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বন্ধুরা, এতক্ষণ আপনারা চীনের হানবানের উদ্যোগে আয়োজিত 'আন্তর্জাতিক ভাষা ও সংস্কৃতি প্রচার কেন্দ্রের সফল অভিজ্ঞতা বিষয়ক বিশেষ সেমিনার' নিয়ে একটি প্রতিবেদন শুনলেন। এখন শুনবেন শিক্ষা সম্পর্কিত খবর।

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় দেশটির শিক্ষার্থীরা যারা চীনে লেখাপড়ার জন্য বৃত্তি পেয়েছেন তাদের এক বিদায়ী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

চীন-আসিয়ান কেন্দ্রের মহাসচিব ম্যাডাম ইয়াং সিউ পিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, গত বছর চীন ও আসিয়ান পরস্পরের কাছে মোট ১.৮ লাখ শিক্ষার্থী পাঠিয়েছে, তাদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার। এবার আরও ৬৮ জন শিক্ষার্থী চীনে লেখাপড়া করতে যাবেন বলে স্বাগত জানান তিনি এবং শিক্ষার্থীরা শ্রেষ্ঠ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যত দ্রুত সম্ভব বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করে স্বদেশ ও আসিয়ানের উন্নয়নে অবদান রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ম্যাডাম ইয়াং সিউ পিং বলেন, আগামী বছর চীন ও আসিয়ানের বিনিময় বর্ষ পালিত হবে। চীন-আসিয়ান কেন্দ্র এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দু'পক্ষের শিক্ষা খাতের সহযোগিতা জোরদার করবে, যাতে আসিয়ানের জন্য আরও বেশি শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়।

ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক দীর্ঘকাল ধরে সমর্থন ও সহযোগিতা করায় চীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষার্থীদের চীনে লেখাপড়ার সময় চীনা সংস্কৃতিকে বোঝা এবং মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করার জন্য উত্সাহ দেন। শিক্ষার্থীরা দু'দেশের শিক্ষা আদান-প্রদান বিশেষ করে যুবকদের মধ্যে মৈত্রীর দূতে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি, যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে অবদান রাখা যায়।


1 2 3
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040