চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান সি চিন পিং সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটি, জাতীয় গণ কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় পরিষদ, গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের পক্ষ থেকে চীনা জনগণের জাপানি আগ্রাসনবিরোধী যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রবীণ সৈন্য, দেশপ্রেমিক ও যুদ্ধে সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানান।
এ যুদ্ধে চীনা জনগণকে সহায়তা ও সাহায্য প্রদান করা বিদেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের অতিথি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান তিনি।
সি চিন পিং বলেন, আজ একটি স্মরণীয় দিবস, বিশ্বের জনগণের এ দিবসটিকে মনে রাখা উচিত। ৭০ বছর আগে চীনা জনগণ ১৪ বছরের সংগ্রাম ও প্রাণ বিসর্জনের মাধ্যমে জাপানি আগ্রাসনবিরোধী যুদ্ধ ও বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধে জয় লাভ করেন।
সেই যুদ্ধে চীনা জনগণ কঠোর সংগ্রামের মাধ্যমে জাপানি আগ্রাসনকে ব্যর্থ করে দেন। এর মাধ্যমে চীনা জাতির সভ্যতা, মানবজাতির শান্তি রক্ষা করে বিশ্বে যুদ্ধের ইতিহাসে বিস্ময়কর ব্যাপার সৃষ্টি করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, চীনা জনগণের জাপানি আগ্রাসনবিরোধী যুদ্ধজয় বিদেশি শত্রুদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনের সবচেয়ে বড় জয়।
এ যুদ্ধের মাধ্যমে জাপানি আগ্রাসীদের চীনকে উপনিবেশ বানানোর অপচেষ্টা ধূলিসাত হয়ে যায়। এ যুদ্ধে চীনা জনগণ বিশ্বের ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধের প্রাচ্য যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং বিরাট অবদান রাখেন।
এ যুদ্ধে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও ওশেনিয়ায় নিহতের সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি, তাদের মধ্যে চীনার সংখ্যা ৩.৫ কোটিরও বেশি এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের নিহত সংখ্যা ২.৭ কোটিরও বেশি।
সি চিন পিং বলেন, এ ঐতিহাসিক ঘটনা এড়ানোর জন্য আমরা অবশ্যই ইতিহাসকে স্মরণ করবো, শহীদদের স্মৃতিকে লালন করবো, শান্তি মূল্যায়ন করবো এবং সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করবো। (সুবর্ণা/টুটুল)