0830nvxing.
|
প্রিয় শ্রোতা, বাংলা সাহিত্যের প্রসারের কথা আপনারা সকলেই জানেন। বিশেষ করে কবিতা এক অনন্য উচ্চাতায় অবস্থান করছে। বাংলাদেশের এ সময়ের কবিরা সমান দক্ষতায় লিখে চলেছেন অবিরাম। তরুণ কবিদের মধ্যে জাহানারা পারভীন ইতমধ্যে নিজের মেধা ও মননের কারণে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আজকের 'নারীকণ্ঠ' অনুষ্ঠানে আমরা জাহানারা পারভীনের সাথে কথা বলবো। পেশায় তিনি একজন সাংবাদিক। এখন শুনবো তার লেখালেখির সাতকাহণ।
প্রশ্ন : জাহানারা আপা, 'নারীকণ্ঠ' অনুষ্ঠানে আপনাকে স্বাগতম। আপনি কেমন আছেন।
প্রশ্ন : দেশের তরুণ কবিদের মধ্যে অন্যতম একজন আপনি। কবিতার পথ পাড়ি দিয়ে এগিয়ে চলেছেন সামনের দিকে। কিভাবে, কখন থেকে এ পথে চলা শুরু হলো।
প্রশ্ন : এখন পর্যন্ত আপনার কয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে?
প্রশ্ন : দেশ-বিদেশে বেশ কটি পুরস্কার পেয়েছেন আপনি। কি কি পুরস্কার পেয়েছেন?
প্রশ্ন : দুই বাংলার কবিদের মধ্যে আপনার পছন্দের কবি কে কে।
প্রশ্ন : আপনার সমসাময়িকদের মধ্যে কাদের লেখা আপনাকে আকর্ষণ করে।
প্রশ্ন : সাংবাদিকতা একটি বহুল ব্যস্ত পেশা। পেশার সাথে লেখালেখির সমন্বয় কি ভাবে করেন।
প্রশ্ন : আপা, উত্তর উত্তর আপনার সফলতা কামনা করছি। আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
বন্ধুরা, এতক্ষণ আপনারা বাংলাদেশের তরুণ কবি জাহানারা পারভীনের সাক্ষাত্কার শুনলেন।
দ্বিতীয় পর্ব : বিশ্ব নারী :
শ্রোতাবন্ধুরা, টুকরো খবর বিভাগে প্রথমেই আলোচনা করবো জার্মানির একটি খবর নিয়ে।
এক. শরণার্থীর ঘরে জন্মেছেন অ্যাংগেলা মেরকেল! কথাটা শুনে যে কেউ ঘাবড়ে যাবেন। অবশ্য ঘাবড়ে যাওয়ার মতোই ব্যাপার। বিশ্বের প্রভাবশালী রাজনীতিকদের একজন, তিনি কি না শরণার্থীর মেয়ে।
জার্মানিতে সাময়িক মেয়াদে বসবাসের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত ঘানার এক শরণার্থী নারী ওফেলিয়া আদি। আর তিনি'ই জার্মান চ্যান্সেলরের প্রতি কৃতজ্ঞতাবশত তার নবজাতক কন্যাশিশুর নাম রেখেছেন অ্যাংগেলা মেরকেল। পুরো নাম অ্যাংগেলা মেরকেল আদি।
২৬ বছর বয়সী 'ওফেলিয়া আদি' ঘানার রাজধানী আক্রার পাশের একটি ছোট্ট শহর থেকে জার্মানির হ্যানোভারে আসেন আশ্রয়ের আশায়। চলতি বছরের শুরুর দিকে জার্মান সরকার ওফেলিয়া আদির আশ্রয় প্রার্থনা মঞ্জুর করে। তিন বছরের জন্য দেশটিতে বাস করার অনুমতি পান ওফেলিয়া।
রেড ক্রসের জার্মান শাখার মুখপাত্র নাদিন হিসি সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিজের মেয়ের নাম 'অ্যাংগেলা মেরকল' রেখে মূলত জার্মান চ্যান্সেলরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চান ওফেলিয়া। তার চোখে অ্যাংগেলা মেরকেল এক 'মহিয়সী নারী'।
জার্মান চ্যান্সেলরের নামে নাম রাখা শিশুটি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে হ্যানোভারে জন্মগ্রহণ করলেও সম্প্রতি বিষয়টি জার্মান মিডিয়ার নজরে আসে।
জুলাই মাসে মেরকেল একটি বিশেষ টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এক ফিলিস্তিনি কিশোরীর মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি ওই কিশোরীকে বোঝাচ্ছিলেন যে, চার বছর ধরে জার্মানিতে অবস্থানরত তার পরিবারের আগের ঠিকানা লেবাননে ফিরে যাওয়া উচিত হবে।
এ সময় ওই কিশোরী কাঁদতে শুরু করলে মেরকেল তাতক্ষণিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তার পরিবারকে জার্মানিতে বসবাসের অনুমতি দেন। তবে জার্মান চ্যান্সেলর জানান, যারা জার্মানিতে বসবাস করতে পছন্দ করেন তাদের সবাইকে দেশটিতে থাকতে দেওয়ার বাস্তবতা নেই।
২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এক লাখ ষাট হাজার শরণার্থীর আশ্রয় আবেদন গ্রহণ করেছে জার্মান সরকার। এ বছরের শেষ পর্যন্ত দেশটি সাড়ে চার লাখের বেশি অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীকে জায়গা করে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগস্ট ১৫, ২০১৫
দুই. ছবি হলো স্মৃতির সঙ্গে যোগাযোগের সেতু। সেই সঙ্গে ফেলে আসা দিনকে ধরে রাখার বড় আশ্রয়। তারকাদের স্মৃতিময় ফটো অ্যালবাম থেকে নির্বাচিত ছবি নিয়ে তারার ফুল বিভাগের নতুন আয়োজন 'পুরানো সেই দিনের কথা'। আজ রয়েছে শিল্পী বিপাশা হায়াতের তিনটি ছবির গল্প।
আবুল হায়াতের চাকরির সূত্রে বিপাশার শৈশব কেটেছে লিবিয়ায়। তখন তার বয়স সাত বছর। ওই বয়সেই ভূমধ্যসাগরলগ্ন রোমান সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ দেখেছেন সামনে থেকে। মা শিরিন হায়াতও মেয়েকে নিয়ে ঘুরেছেন।
রোমান সম্রাটদের স্মৃতিজর্জর নগরী লেপটিস ম্যাগনার ছিলো বিপাশাদের বাসার অদূরে। ত্রিপোলিসের তিন শহরের অংশ সাবরাতাহেও বেড়িয়েছেন তিনি। ওপরের ছবি তিনটি ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে লিবিয়ায় তোলা।
বেড়ে ওঠার পর মিশর, গ্রিস, রোম, পম্পেই ঘুরে-বেড়িয়ে দূর সভ্যতার বিচূর্ণ আয়নায় অতীতকে বারবার খুঁজে ফিরেছেন বিপাশা। তিনি যে প্রত্নপৃথিবীর গন্ধে বিভোর হয়ে থাকেন, তা ফুটে ওঠে রঙতুলি হাতে নিলেই! তার স্মৃতির রাজ্য এখন হাজির ক্যানভাসে। রাজধানীর গুলশানের বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জে চলছে বিপাশার একক চিত্রপ্রদর্শনী 'স্মৃতির রাজ্য'।
আবুল হায়াতই প্রথম বিপাশার হাতে রঙতুলি তুলে দিয়েছিলেন। স্মৃতির রোমন্থনে লিবিয়ার সোনালি ছবিগুলো ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। এ যেন মনোদেয়ালে স্মৃতিকথা লিখে চলা! আগস্ট ১৯, ২০১৫
চতুর্থ পর্ব : সাম্প্রতিক :
প্রাচীন মিশরীয় সাম্রাজ্যের রাণী নেফারতিতির দেহ সমাধিতে এখনো অক্ষত রয়েছে বলে জানা গেছে। তার ছেলে রাজপুত্র তুতেনখামেনের পাশে একটি গুপ্ত ঘরে তার মমি সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্মতত্ত্ববিদেরা।
এ বিষয়ে ব্রিটেনের এক গবেষক জানিয়েছেন, উচ্চ প্রযুক্তির ইমেজের মাধ্যমে দেখা গেছে, নেফারতিতির দেহ এখনো অক্ষত রয়ে গেছে।
নেফারতিতির ছেলে তুতেনখামেনের সমাধি কেভি৬২ নামে পরিচিত। তিনি ১২২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মারা যান। তখন তিনি কিশোর। তার দেহও অক্ষত অবস্থায় আবিষ্কার করা হয়। এখন থেকে ৯৩ বছর আগে তার দেহ আবিষ্কার করে প্রত্মতত্ত্ববিদেরা।
মিশরীয়বিদ নিকোলাস রীভসের নেতৃত্বে স্পেনিশ প্রত্মতত্ত্ববিদদের একটি দল গত বছর সমাধি ক্ষেত্রের ছবি তুলে ত্রিমাত্রিকভাবে স্ক্যান করে তা প্রকাশ করেন।
এদিকে, আমারনা রয়েল টমস প্রজেক্টের আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রকাশিত নিবন্ধে লেখেন, সমাধি ক্ষেত্রের স্ক্যানের সতর্ক মূল্যায়নে বলা যায়, সমাধি ক্ষেত্রে দুটি দরজার খোঁজ পাওয়া গেছে। এর একটিতে বড় দেওয়াল রয়েছে এবং দুটি অক্ষত মরদেহ দেখা যাচ্ছে।
তিনি নিবন্ধে লেখেন, এই ডিজিটাল ইমেজকে যদি আমরা বাস্তবের সঙ্গে মিলিয়ে দেখি, তাহলে দেখা যাবে, সমাধি ক্ষেত্রের পশ্চিমপাশে প্রাচীন মিশরের তুতেনখামেন যুগের দুটি কক্ষ দেখা গেছে।
এর মধ্যে উত্তরদিকের কক্ষে (যার সাংকেতিক নাম কেভি৬২) নেফারতিতির দেহ রাখা আছে। তিনি সফল শাসক ফারাও আখেনাতেনের জীবনসঙ্গী ছিলেন।
তারা দুজন প্রাচীন মিশরে সফল শাসক দম্পতি হিসেবে পরিচিতি পান। গবেষক রীভস মনে করেন, সেই সময় পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক সভ্যতা বিদ্যমান ছিল প্রাচীন মিশরে।
নেফারতিতি ৪০ বছর বয়সে ১৩৩০ খ্রিস্টপূর্বে মারা যান। তুতেনখামেন মারা যাওয়ার মাত্র কয়েক বছর আগে তিনি মারা যান বলে জানা গেছে। তার মৃত্যুর কারণ ছিল প্লেগ।
১৮ শতকের রাজ্য শাসকেরা 'ভ্যালি অব কিংস'-এলাকায় নেফারতিতির সমাধি খুঁজে পাননি। যদিও এখানে খ্রিস্টপূর্ব ১৬ থেকে ১১ শতকে ফারাওকে সমাহিত করা হয়।
নেফারতিতির নামের অর্থ হচ্ছে- 'অপূর্ব সুন্দরীর আগমন ঘটেছে'। তার নামের প্রভাব তার রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় জীবনেও প্রভাব ফেলেছিল।
গবেষক রীভস এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, নেফারতিতির মরদেহ প্রস্তর খণ্ডের ওপর রাখা এবং দেওয়ালে তার কীর্তিগাথা আঁকা রয়েছে। তার মুখ মুখোশ পরিহিত।
নেফারতিতিকে সমাহিত করার সময় ভাবা হয়নি যে, তুতেনখামেনের স্থানও একই সমাধি ক্ষেত্রে হবে।
পরে দশক জুড়ে যুদ্ধে রাজা ফারাওয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হয়। নেফারতিতির সমাধি ক্ষেত্র খননের সুযোগ ঘটলেও সংরক্ষিত বিধায় রাজা ফারাওয়ের সমাধি খনন করা হয়নি বলে রীভস উল্লেখ করেন। (মান্না)