বন্ধুরা, এ অনুষ্ঠানে আপনাদের জন্য তুলে আনা হয়েছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা।
আর এ আয়োজনে আপনাদের সঙ্গে আছি আমি প্রকাশ এবং আমি আইরীন নিয়াজী মান্না।
প্রকাশ : তাহলে মান্না আপা আজ আমরা কি কি খবর নিয়ে আলোচনা করবো।
মান্না : ধন্যবাদ প্রকাশ। বাছাই করা একটি সংবাদ দিয়েই আজ আলোচনা শুরু করা যাক।
প্রথম খবর নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশ ভয়ঙ্কর : ইলিয়ট
সম্প্রতি বাজে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট। চলতি বছরের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হারের পর বাংলাদেশ সফরে এসে টি-টোয়েন্টি ছাড়া অন্য দুই ফরম্যাটের খেলায় ব্যর্থ প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে সফলতার মই বেয়ে একে একে ওপরেই উঠছে বাংলাদেশী টাইগাররা। জিম্বাবুইকে পরাজিত করার পর একে একে ক্রিকেটের প্রায় সব পরাশক্তিকে নাস্তানুবাদ করছে বাংলার টাইগাররা। জিম্বাবুইয়ের পর একে একে পাকিস্তান, ভারত ও দ. আফ্রিকাকে বদ করে তারা। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন শিক্তশালী দল।
এবার আসা যাক দ.আফ্রিকা যুবাদের প্রসঙ্গে। বর্তমানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলটি যেন হার মানাকেই নিজেদের নিয়তি করে নিয়েছে। সদ্য ঘরের মাঠে শেষ হওয়া সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে ৫-২ ব্যবধানে হেরেছে প্রোটিয়া অনূর্ধ্ব-১৯। এর আগে বাংলাদেশ সফরে তো আরো নাজুক অবস্থা ছিল। সেবার সাত ম্যাচের মধ্যে মেহেদি হাসানদের বিপক্ষে মাত্র একটি সান্তনার জয় পেয়েছিল দলটি।
বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড বর্তমানে দ.আফ্রিকা সফরে রয়েছে। যেখানে কিউইরা দুটি টি-২০ ও তিন ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। কিউইদের এই দলে রয়েছেন অলরাউন্ডার গ্র্যান্ট ইলিয়ট। যিনি দ.আফ্রিকান বংশদ্ভুত হলেও প্রায় এক দশক আগে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি দেন। আর বর্তমানে তিনি কিউই জাতীয় দলের অন্যতম ভরসার নাম। তাই প্রতিপক্ষ জন্মভূমি হলেও এখানকার আবহাওয়া তার কিশোর বয়স থেকে পরিচিত।
প্রোটিয়ারা বাংলাদেশের কাছে প্রথমবারের মত ওয়ানডে সিরিজ হারলেও টাইগারদের বেশ সম্মানের চোখেই দেখছেন ইলিয়ট। তার ভাষ্য মতে, বাংলাদেশ এখন আর কোন ছোট দল নয়।
আমলা বাহিনী বধে টাইগারদের প্রশংসা করে ইলিয়ট বলেন, 'আমি জানি নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশ কতটা ভয়ঙ্কর। যদিও দ.আফ্রিকার এই সিরিজ হারের পর তাদের অন্যভাবে মূল্যায়ন করা যাবে না। কারণ সেখানকার (বাংলাদেশ) কন্ডিশন খুবই কঠিন।'
তিনি আরো বলেন, 'বাংলাদেশ এখন চরম প্রতিযোগিতামূলক একটি দল। আমিও বাংলাদেশ সফর করেছিলাম। তবে সেখানে জয় পাওয়ার জন্য প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়।'
নিউজিল্যান্ড ২০১৩ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে এসেছিল। সেবার কিউইরা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। এর আগে ২০১০-১১ সালে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ৪-০তে কিউইদের হারিয়েছিল টাইগাররা। একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল। আগস্ট ১৩, ২০১৫
দ্বিতীয় খবর : ইন্দোনেশিয়ায় দ্রুত গতির রেলপথ তৈরিতে চীনের প্রস্তাব
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে বান্দুং পর্যন্ত দ্রুত গতির রেলপথ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে চীন। গেলো সোমবার এ সংক্রান্ত এক রিপোর্ট দিয়েছে পেইচিং।
চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর বিশেষ দূত, চীনের উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের মহাপরিচালক সুই সাও সি এদিন জাকার্তার প্রেসিডেন্ট ভবনে দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো ভিদোদোর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।
এরপর এক সাংবাদিক সম্মেলনে সুই সাও সি বলেন, চীন ও ইন্দোনেশিয়া ভালো প্রতিবেশী, ভালো অংশীদার এবং এশিয়ার দু'টি বড় উন্নয়নশীল দেশ। দু'দেশের সহযোগিতা জোরদার দু'দেশের স্বার্থ ও এ অঞ্চলের সমৃদ্ধের জন্য সহায়ক।
তিনি জানান, দু'দেশ জাকার্তা থেকে বান্দুংগামী দ্রুত গতির রেলপথ প্রকল্প নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে গত মার্চে পেইচিংয়ে সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
তৃতীয় খবর : ভারতে সাত মাসে ৪১ বাঘের প্রাণহানি
ভারতে গত সাত মাসে ৪১টি বাঘের প্রাণহানি হয়েছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্টের ৯ তারিখ পর্যন্ত এই প্রাণহানি ঘটে। ২০১৪ সালে একই সময়ের মধ্যে প্রায় সমান সংখ্যক বাঘের প্রাণহানি হয়।
ওয়াইল্ডলাইফ ট্রেড মনিটরিং নেটওয়ার্কয়ের অধীনে দেশটির ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন কর্তৃপক্ষ এক গবেষণা জরিপে এ তথ্য জানায়।
বুধবার ( ১২ আগস্ট) সকালে ওই জরিপের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর প্রকাশ করে।
জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাঘগুলোর শুধু প্রাকৃতিক কারণে প্রাণহানি হচ্ছে না। মানুষের অস্তিত্ব টিকেয়ে রাখার ক্ষেত্রে বাঘগুলোকে গুলি করে, ফাঁদে ফেলে এমনকি বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করেও মারা হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে মানুষকে বাঘের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কর্তৃপক্ষ বাঘকে গুলি করেও মারছে।
বেশির ভাগ বাঘের প্রাণহানি হচ্ছে দেশটির কর্ণাটক, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও তামিল নাডু রাজ্যের বনাঞ্চলে।
এদিকে, সম্প্রতি 'বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের ঘনত্ব' শীর্ষক বাঘ গণনা জরিপ-২০১৫'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা এখন সর্বসাকুল্যে ১০৬টি।
চোরা শিকারিদের বাঘ শিকার, বনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল ও বনের পাশে শিল্প অবকাঠামো নির্মাণ করায় বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
শুধু ভারত-বাংলাদেশ নয়। সারা বিশ্বেই বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাঘের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মানুষকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। আগস্ট ১২, ২০১৫
0828rdzj.m4a
|