20150813music.m4a
|
মাইক্রোসফট জানিয়েছে যে, উইন্ডোজ ৭ এবং তার পরবর্তী উইন্ডোজ সংস্করণ ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে উইন্ডোজ ১০ সংস্করণটি হালনাগাদ করে নিতে পারেন। এ জন্য মাইক্রোসফটের আউটলুক বা লাইভ মেইল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
উইন্ডোজ ১০ সিস্টেম সম্পর্কে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, উইন্ডোজ ৮ সংস্করণের পর নয় বাদ দিয়ে সরাসরি উইন্ডোজ ১০ বাজারে উন্মুক্ত করা হয়েছে, তার মানে মানুষ যাই হোক না কেন ট্যাবলেট, ফোন ও কম্পিউটারে উইন্ডোজ ব্যবহার করে, তাদের সবাইকে একীভূত করা হবে। উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম অনেক বেশি দ্রুতগতির, অনেক নিরাপদ ও সহজ বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮-এর যুগে স্টার্ট বাটন সরিয়েছিল, নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমে সেটাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি মাইক্রোসফট ফিচার হিসেবে উন্নত ডিজিটাল সহকারী এবং দ্রুতগতির ব্রাউজার আনছে।
মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, 'উইন্ডোজ ১০ এক নতুন যুগের সূচনা করবে বলে মন্তব্য করেছেন ।
বন্ধুরা আসুন তাহলে নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমটির উল্লেখযোগ্য ১০ টি বৈশিষ্ট্য জেনে নেই।
১. ফিরে এলো স্টার্ট মেনু: যে কথা আগেই বলেছিলাম, স্টার্ট মেনু না থাকা অনেকের দৃষ্টিতেই উইন্ডোজ ৮-এর ব্যর্থতার কারণ। তাই এবার আর ভুল করেনি মাইক্রোসফট। নতুন স্টার্ট মেনুটি উইন্ডোজ ৭ আর ৮ এর মিলিত রূপ বলা যেতে পারে।
২. সব ডিভাইসেই চলবে: উইন্ডোজ ১০ এমন ভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে যে ৫ ইঞ্চি স্মার্টফোন কিম্বা ৪০ ইঞ্চি ডেস্কটপ সবখানেই একই অপারেটিং সিস্টেম আর একই অ্যাপ চালানো যাবে।
৩. মাইক্রোসফট এজ: মাইক্রোসফটের নতুন ব্রাউজার 'এজ'। এটির রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। অপেক্ষাকৃত দ্রুত গতির ব্রাউজ এবং যে কোনো ওয়েব পেইজ পড়ার জন্য রিডিং ভিউটি বেশ আকর্ষণীয়। তা ছাড়া, যে কোনো ওয়েব পেইজ মার্কিং, ক্রপ ও শেয়ার করার মতো ফিচার যুক্ত করা হয়েছে এই ব্রাউজারে।
৪. কি-বোর্ডের চমৎকার ফিচার: কি-বোর্ডের চমৎকার ফিচারটি সারফেস ট্যাবলেট ব্যবহারকারীদের বেশি কাজে লাগবে। এ ফিচারের ফলে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম চালিত ট্যাবে কি-বোর্ড যুক্ত করলে নোটিফিকেশনে দেখা যাবে ব্যবহারকারী কোন মোডে ডিভাইসটি ব্যবহার করতে চান। ট্যাব নাকি ডেক্সটপ মুডে।
৫. ভার্চুয়াল ডেস্কটপ: অনেক সময় কাজের প্রয়োজনে একই সঙ্গে কয়েকটি উইন্ডো ওপেন করার প্রয়োজন হয়। লিনাক্স কিংবা ম্যাকে এ কাজের জন্য ভার্চুয়াল ডেক্সটপ ফিচার আছে। যার সাহায্যে একাধিক উইন্ডো খুলে রাখা যায় আলাদা করে।
কাজ করা সময় যেন মনে হয়ে আলাদা আলাদা মনিটরে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুভূতি হয়। এ রকম সুবিধা নিয়ে হাজির হলো উইন্ডোজ ১০। ভার্চুয়াল ডেস্কটপ সুবিধাটির কারণে একই সময় চারটি ডেস্কটপ ওপেন করা যাবে। নতুন অপারেটিং সিস্টেমতে রয়েছে 'task view' বাটন। এটির সাহায্যে ভার্চুয়াল ডেস্কটপে পরিণত করা যাবে যে কোনো উইন্ডোকে।
৭. কমান্ড প্রম্পটে কাজ করবে কি-বোর্ড শর্টকাট: বর্তমানে কমান্ড প্রম্পটে কি-বোর্ড শর্টকাট করা করে না। ctrl+ v এবং ctrl+c এর মতো শর্টকাটগুলো কাজ করবে উইন্ডোজ ১০ এর কমান্ড প্রম্পটে। ফলে কমান্ড ব্যবহার করা আরও সহজ হবে যে কোন ব্যবহারকারীদের জন্য।
৮. উন্নত উইন্ডোজ ডিফেন্ডার: উইন্ডোজ ডিফেন্ডারকে করা হয়েছে আগের চেয়ে অনেক উন্নত। এটাকে একটি এন্টিভাইরাসের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
৯. কর্টানা: কর্টানা আপনার উইন্ডোজ ১০ এর পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট। যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে। তাকে লিখে কিমবা মুখে বলে সার্চের কাজটি করা যাবে
১০. স্টোর: উইন্ডোজ ১০ এর স্টোরে পাবেন মজার মজার সব এপিপি। উইন্ডোজ ফোনের অ্যাপও চলবে আপনার পিসিতে।